জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, সারা দেশে সন্ত্রাস, হত্যা ও চাঁদাবাজির পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে টার্গেট কিলিং। এর শিকার হচ্ছেন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। এর সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্ত হয়েছে অগ্নিসন্ত্রাস এবং পেট্রোল বোমাবাজি। এসব কারণে রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষের জীবন আজ অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ তাদের স্বাভাবিক মৃত্যুরও নিশ্চয়তা পাচ্ছে না।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে নিজ কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ডিএমপির তথ্য অনুযায়ী, শুধু রাজধানীতেই গত দশ মাসে ১৫৮ জন মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এর বাইরে চট্টগ্রামের রাউজান, খুলনাসহ দেশের প্রায় সব জেলা–উপজেলায় নিয়মিতই হত্যাকাণ্ড ঘটছে। পাশাপাশি ঢাকা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে ককটেল হামলা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলো মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে।

তি‌নি বলেন, জাতীয় পার্টি সব সময় সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস, বোমাবাজি, মানুষ হত্যা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে। সরকারের উচিত এই সমস্ত নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির একাংশের নির্বাহী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহির, প্রেসিডিয়াম সদস্য জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, আরিফুর রহমান খান, সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ নুরুল ইসলাম ওমর, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জিয়া উর রহমান বিপুল, সৈয়দ সিরাজুল আরেফিন মাসুম এবং জামাল হোসেন।

বগুড়া থেকে নির্বাচিত দুই বারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম ওমর বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

এ সময় রুহুল আমিন হাওলাদার আরও বলেন, “পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টিকে আর কাউকে ব্র্যাকেটবন্দি করতে দেব না। পল্লীবন্ধুপ্রেমী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়ে তোলা হবে। জাতীয় পার্টিকে ছাড়া আগামীর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস রচনা সম্ভব নয়। যারা জাতীয় পার্টিকে রাজনীতি থেকে দূরে সরাতে চায়, সময়ের ব্যবধানে তারাই একদিন দেশীয় রাজনীতি থেকে মুছে যাবে। জাতীয় পার্টির রাজনীতি দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। এই দলের শিকড় এই মাটির অনেক গভীরে।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সন ত র স ল ইসল ম ন ত কর র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

জকসু নির্বাচন: কেন্দ্রীয় ও হল সংসদে ২৪৯ মনোনয়ন জমা, চলছে বাছাই

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার সময়সীমা শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) ও বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রবিবার (২৩ নভেম্বর) প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন।

আরো পড়ুন:

জকসু: জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ অনিকের সম্মানে পদ খালি রাখল ছাত্রশক্তি

জকসু: প্যানেল ঘোষণাতেই আচরণবিধি লঙ্ঘন শিবির-ছাত্রশক্তির

বুধবার (১৯ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান জানান, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের বিভিন্ন পদে ২১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর হল শিক্ষার্থী সংসদে জমা পড়েছে ৩৮টি মনোনয়ন।

নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের প্রাধ্যক্ষ আঞ্জুমান আরা বলেন, “হল সংসদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই চলছে। জমা দেওয়া ৩৮টি ফরমের মধ্যে একজনের প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে, কারণ তার নাম ভোটার তালিকায় নেই। প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী রবিবার (২৩ নভেম্বর)।”

জকসুর তফসিল অনুযায়ী, ১২ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৭ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র বিতরণের শেষ দিন, ১৮ নভেম্বর ছিল সংগ্রহ করা ফরম দাখিলের শেষ দিন।

১৯–২০ নভেম্বর বাছাই শেষে ২৩ নভেম্বর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, ২৪–২৬ নভেম্বর আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি, ২৭ ও ৩০ নভেম্বর ডোপ টেস্ট, ৩ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, ৪, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহার, ৯ ডিসেম্বর প্রত্যাহার তালিকা প্রকাশ, ৯–১৯ ডিসেম্বর প্রচারণা শেষে ২২ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ ও গণনা অনুষ্ঠিত হবে। গণনা শেষে ২২–২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ