ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্চ লাইট জ্বালিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩০
Published: 18th, October 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পুকুরে গোসল করাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে রাতের আঁধারে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাতে উপজেলার ছোট দেওয়ানপাড়া ও হাওলাপাড়া গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরে হাওলাপাড়া গ্রামের তাইম তার কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ছোট দেওয়ানপাড়া গ্রামের একটি পুকুরে গোসল করতে যান। এসময় তারা মারধরের শিকার হন।
এরই জের ধরে রাতে ছোট দেওয়ানপাড়া ও হাওলাপাড়া গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এসময় তারা রাতের আঁধারে টর্চ লাইটের আলো জ্বালিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারফ হোসাইন বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/পলাশ/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাল টাকা নিয়ে সতর্ক করল বাংলাদেশ ব্যাংক
নগদ টাকার লেনদেনে জনসাধারণকে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি বড় অঙ্কের লেনদেন ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। দেশে জাল টাকার অনুপ্রবেশ হচ্ছে—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে বিপুল পরিমাণ নোট বাংলাদেশে প্রবেশসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ ধরনের তথ্য জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী জাল নোট তৈরি, বহন ও লেনদেন করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জাল টাকার বিস্তার ও এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন এবং জাল টাকার প্রচলন রোধে নিয়মিতভাবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপর।
এ পরিপ্রেক্ষিতে নগদ লেনদেনে জনসাধারণকে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন ও জাল নোট প্রচলন প্রতিরোধে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে রয়েছে নোট গ্রহণের সময় নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো, যেমন জলছাপ, অসমতল ছাপা, নিরাপত্তা সুতা, রং পরিবর্তনশীল কালি ও ক্ষুদ্র লেখা যথাযথভাবে যাচাই করা। বড় অঙ্কের লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সম্পাদন করা। নগদ লেনদেনে যথাসম্ভব ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা। সন্দেহজনক নোট পেলে বা এ–সংক্রান্ত কোনো তথ্য অবগত হলে অবিলম্বে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি অথবা জাতীয় জরুরি সেবা–৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করা।