চাকসুতে কারা বেশি ভোট পেলেন, ব্যবধান কত
Published: 18th, October 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ একচেটিয়া বিজয় পেয়েছে। ২৬ পদের মধ্যে ২৪টি পদ দখল করেছেন সংগঠনটির প্রার্থীরা। সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচিত সাঈদ বিন হাবিব। তিনি ৮ হাজার ৩১ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের মো.
দ্বিতীয় সর্বাধিক ভোট পেয়েছেন সহসভাপতি (ভিপি) পদে ছাত্রশিবিরের মো. ইব্রাহিম হোসেন। তিনি ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের সাজ্জাদ হোসেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ দেড় গুণের বেশি ব্যবধানে জিতেছেন ইব্রাহিম।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ছাত্রদলের আইয়ুবুর রহমান জয়ী হয়েছেন ৭ হাজার ১৪ ভোট পেয়ে। তিনি ছাত্রশিবিরের প্রার্থী সাজ্জাত হোছনকে ১ হাজার ৯৬৯ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর গত বুধবার অনুষ্ঠিত সপ্তম চাকসু নির্বাচনে ভোট পড়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ। মোট ভোটার ছিলেন ২৭ হাজার ৫১৬। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৭ হাজার ৮৫৫ জন। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও নির্বাচন ছিল মোটাদাগে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর।
সম্পাদকীয় পদেও শিবিরের দাপটসম্পাদকীয় পদগুলোর ২২টিতেই জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্রার্থীরা। তবে কিছু আসনে ব্যবধান ছিল অল্প। আবার একটি পদে জিতেছেন অন্য সংগঠনের প্রার্থীও।খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মাত্র ৩৮২ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবিরের মোহাম্মদ শাওন (৪ হাজার ৬৩৫ ভোট)। প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আজহারুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ২৫৩ ভোট। এই পদে তুমুল লড়াই হয়েছিল।
অন্যদিকে সহ–খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে চমক দেখিয়েছেন ‘বিনির্মাণ শিক্ষার্থী ঐক্য’র তামান্না মাহবুব। শিবিরের বাইরে তিনিই একমাত্র বিজয়ী। তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ৯২৪ ভোট, যেখানে শিবিরের মো. শাহ পরাণ পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৯৪ ভোট। তামান্না ছাত্র ফেডারেশনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য।
সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে শিবিরের হারেজুল ইসলাম জয়ী হয়েছেন ৫ হাজার ৩২২ ভোট পেয়ে। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তানজির রহমানের ভোট ২ হাজার ৫৭৪। সহসাহিত্য সম্পাদক পদেও শিবিরের জিহাদ হোসাইন বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন—৬ হাজার ৭৮১ বনাম ৩ হাজার ১৭৬। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পার্থ চৌধুরী পেয়েছেন ৩ হাজার ১৭৬ ভোট। পার্থ ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ প্যানেলের প্রার্থী।
দপ্তর সম্পাদক পদে নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি লড়াই হয়েছে। শিবিরের আবদুল্লাহ আল নোমান জয়ী হয়েছেন মাত্র ২২ ভোটের ব্যবধানে। নোমান পেয়েছেন ৩ হাজার ২৫৮ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী (স্বতন্ত্র) মো. হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ৩ হাজার ২৩৬ ভোট।
কিন্তু সহদপ্তর সম্পাদক পদে ব্যবধান ছিল বিপরীতরূপে বিশাল। জান্নাতুল আদন নুসরাত পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৮২ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের শাহরিয়ার উদ্দিন পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৮২৭ ভোট। অর্থাৎ সাড়ে তিন গুণের বেশি ব্যবধান।
ছাত্রী কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদে নাহিমা আক্তার পেয়েছেন ৬ হাজার ১৬৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুমাইয়া শিকদারের (৩ হাজার ৮৬২ ভোট) চেয়ে ২ হাজার ৩০০ ভোটের বেশি ব্যবধানে জিতেছেন। সহ–ছাত্রী কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদাউস পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৩৬ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মাইশা মেহজাবিন পেয়েছেন ৩ হাজার ১১০ ভোট। মাইশা ‘সার্বভৌম শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে নির্বাচন করেছেন।
ফলাফল ঘোষণার পর চাকসুর নতুন ভিপি মো. ইব্রাহিম হোসেন (সাদা পাঞ্জাবি) ও জিএস সাঈদ বিন হাবিব। ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবন, ১৬ অক্টোবর ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র জয় প য় ছ ব যবধ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ডিআরইউর সভাপতি পদে সালেহ আকন, সা. সম্পাদক পদে সোহেল পুনর্নির্বাচিত
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে সভাপতি পদে আবু সালেহ আকন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মাইনুল হাসান সোহেল পুননির্বাচিত হয়েছেন।
আজ রোববার সকাল ৯টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। পরে সন্ধ্যায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
সভাপতি পদে নির্বাচিত দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান প্রতিবেদক আবু সালেহ আকন পেয়েছেন ৫০৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুরসালিন নোমানী পেয়েছেন ৪৩২ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে দৈনিক ইনকিলাবের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নির্বাচিত মাইনুল হাসান সোহেল পেয়েছেন ৭৫২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মঈনুল আহসান পেয়েছেন ৪৮৯ ভোট।
নির্বাচিত অন্যরা হলেন সহসভাপতি মেহ্দী আজাদ মাসুম, অর্থ সম্পাদক নিয়াজ মাহমুদ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম জসিম, নারীবিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদ সোহেল ও ক্রীড়া সম্পাদক ওমর ফারুক ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদে আমিনুল হক ভূঁইয়া।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন যুগ্ম সম্পাদক মো. জাফর ইকবাল, দপ্তর সম্পাদক মো. রাশিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন ও কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা।
এ ছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদে নির্বাচিত ব্যক্তিরা হলেন মো. আকতার হোসেন, আলী আজম, মাহফুজ সাদি, আল-আমিন আজাদ, মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন ও সুমন চৌধুরী।