৬ ভিপি-জিএসসহ হলের ১৯ পদ পেল ছাত্রদল
Published: 18th, October 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। ছাত্রদলের প্রার্থীরা ৬ ভিপি–জিএসসহ বিভিন্ন হলের ১৯ পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা জিতেছেন বিভিন্ন হলের ৮ ভিপি–জিএসসহ ৭৬টি পদে।
গত বুধবার কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় সংসদে ছাত্রশিবির একচেটিয়া জয় পেয়েছে। তবে হলে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয়।
ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা তিনটি হলে—সোহরাওয়ার্দী, আবদুর রব, শহীদ ফরহাদ হোসেন হলে ভিপি-জিএস দুটি পদেই জিতেছেন। এ ছাড়া সংগঠনটি শাহজালালে ভিপি ও শাহ আমানতে জিএস পদও পেয়েছে। অন্যদিকে ছাত্রদল ভিপি-জিএস দুটি পদেই জিতেছে এ এফ রহমান ও সূর্যসেন হলে। এ ছাড়া শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলে ভিপি ও আলাওল হলে জিএস পদে জিতেছে ছাত্রদল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) শুধু জগন্নাথ হলে ভিপি পদে ছাত্রদলের প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগর কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোট বর্জন করে ছাত্রদল। অন্যদিকে চাকসুর পরদিন হওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে হলের শীর্ষ তিন পদের একটিতেও ছাত্রদলের প্রার্থীরা জিততে পারেননি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্রদের জন্য ৯টি আবাসিক হল রয়েছে। প্রতিটি হলে ১৪টি করে পদ। এবার ছাত্রদল হলে প্যানেল ঘোষণা করেনি। তবে সংগঠনের কর্মীরা কৌশল নেন অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জোট বেঁধে বা স্বতন্ত্রভাবে লড়ার। এর ফলে ছয়টি হলে গুরুত্বপূর্ণ পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থীরা।
অন্যদিকে ছাত্রশিবির সাতটি হলে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দেয়। সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছেন, এর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী ও শহীদ ফরহাদ হোসেন হলে তারা পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে জয় পেয়েছে। অন্য হলে তেমন সাফল্য পায়নি।
একসময় এ এফ রহমান হলে ছাত্রশিবিরের প্রভাব ছিল। এবার এই হলে ভিপি-জিএস দুটিতেই হেরেছে তাদের প্রার্থী। উল্টো ছাত্রদল এখানে ভিপি-জিএসসহ তিন পদে জয়ী হয়ে শক্ত অবস্থান দেখিয়েছে। এটি ছাত্রদলের জন্য নির্বাচনের সবচেয়ে বড় প্রতীকী সাফল্য বলে মনে করছেন শিক্ষার্থী ও পর্যবেক্ষকেরা।
একইভাবে আলাওল হলে শিবির পেয়েছে মাত্র চারটি পদ—এর মধ্যে এজিএস (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) ও দুটি সম্পাদকীয় পদ। বিপরীতে ছাত্রদল পেয়েছে পাঁচটি পদ—এর মধ্যে আছে জিএস, লাইব্রেরি ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক, খেলাধুলা সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক এবং একটি সদস্য পদ। এই হলে জয়ী প্রার্থীদের অনেকে হলকেন্দ্রিক জনপ্রিয় মুখ হিসেবে পরিচিত।
শাহজালাল হলে ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা জিএস, এজিএস ও দুই সম্পাদকীয় পদে হেরে যান। এখানে ছাত্রদল এজিএস এবং সমাজসেবা ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে জয় পেয়েছে। শাহ আমানত হলে শিবির হারিয়েছে ভিপি পদ, যেখানে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। সমাজসেবা সম্পাদক পদটিও গেছে ছাত্রদলের হাতে।
মাস্টারদা সূর্যসেন হল ও অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলে শিবির প্যানেল দেয়নি। সূর্যসেন হলে ভিপি, জিএস ও লাইব্রেরি সম্পাদক পদে জিতেছে ছাত্রদল। বাকি পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। একইভাবে শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলেও প্যানেল দেয়নি শিবির। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ছাত্রদলের প্রার্থীরা ভিপি, দপ্তর সম্পাদকসহ চারটি পদে জয়ী হয়েছেন। ছাত্রীদের নবাব ফয়জুন্নেসা হলে যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক পদেও জয় পেয়েছেন ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী।
মোট ৯টি হল ও ১টি হোস্টেলের ১৪০টি পদে নির্বাচনের ফল অনুযায়ী শিবির পেয়েছে ৭৬টি পদ, ছাত্রদল পেয়েছে ১৯টি। বাকি ৪৫টি পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র ও বাম সংগঠনের প্রার্থীরা। তবে এ সংখ্যা ছাত্রদলের জন্য আশাব্যঞ্জক বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা। কারণ, কেন্দ্রীয়ভাবে একচেটিয়া পরাজয়ের পর হলে এই ফল তাদের জন্য ইতিবাচক।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের আরও বেশি প্রত্যাশা ছিল। আমরা আশা করেছিলাম কেন্দ্রীয় সংসদে আরও ভালো করার, কিন্তু হয়নি। তবে হল সংসদগুলোতে ভিপি, জিএস ও এজিএসে আমাদের কর্মীরা নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ করে সামনে এগিয়ে যাবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
ঐতিহাসিক নির্বাচন, শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস
এবারের চাকসু নির্বাচন নানা দিক থেকে ঐতিহাসিক ছিল। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর নির্বাচনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ২৮ আগস্ট তফসিল ঘোষণা করে গঠন করা হয় নির্বাচন কমিশন। এরপর টানা এক মাস ধরে ক্যাম্পাসে তৈরি হয় নির্বাচনী উত্তেজনা ও উৎসবমুখর পরিবেশ।
২৭ হাজার ৫১৬ ভোটারের মধ্যে ১১ হাজার ১৫৬ জন ছিলেন নারী। মোট প্রার্থী ছিলেন ৯০৮ জন—এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৬ পদে ৪১৫ জন এবং হলে ১৪টি হল ও ১টি হোস্টেলে ৪৯৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট হয় ৫টি কেন্দ্রের ৭০০ বুথে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ।
কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’-এর মো.
হলে ছাত্রদলের কৌশল
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ছাত্রদলের কোনো কমিটি নেই। প্রভাবও তুলনামূলক দুর্বল। তবু এ নির্বাচনে সংগঠনটি ভিন্ন কৌশল নেয়। প্যানেল না দিয়ে কর্মীদের স্বাধীনভাবে বা জোট বেঁধে অংশ নিতে উৎসাহিত করে। এ কারণেই ভিপি-জিএসসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে জয় পাওয়া সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন ছাত্রদলের নেতারা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রদের হলে জোট বেঁধে আমরা প্রার্থী দিয়েছি। আমাদের কর্মীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এ কৌশল সফল হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০টি পদে আমাদের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।’
আবদুল্লাহ আল নোমান আরও বলেন, ‘এই ফল আমাদের জন্য নতুন সূচনা। আমরা ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক রাজনীতির নতুন ধারা তৈরি করতে চাই। কেন্দ্রীয় সংসদে পরাজয়ের পর হলে এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছে।’
চাকসু ও হল নির্বাচন শেষে শিক্ষার্থীরা বলছেন, কেন্দ্রীয় সংসদে ছাত্রশিবিরের জয় সংগঠনের ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন হলেও আবাসিক হলে ছাত্রদলের সাফল্য ইঙ্গিত দিচ্ছে নতুন এক ছাত্ররাজনীতির সম্ভাবনার। কেননা হলগুলোতে ছাত্রশিবিরের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এর মধ্য থেকে ছাত্রদল প্রার্থীদের জিতিয়ে এনেছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র প র র থ ছ ন ছ ত রদল জয় প য় ছ ন স বতন ত র সমর থ ত জ এসসহ স ন হল হয় ছ ন আম দ র র জন য স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
নভেম্বরে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ও মৃত্যু বেড়েছে
নভেম্বর মাসে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা অক্টোবরের তুলনায় বেড়েছে। অক্টোবরে ৪৯টি সহিংসতার ঘটনায় ৫৪৭ জন আহত ও ২ জন নিহত হয়েছিলেন। পরের মাসে ৭২টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ৭২৪ জন আহত হয়েছেন আর নিহত হয়েছেন ৯ জন। সেই হিসাবে গত মাসের চেয়ে নভেম্বরে রাজনৈতিক সহিসংতায় মৃত্যু সাতজন বেড়েছে।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) নভেম্বর মাসের মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে। আজ রোববার গণমাধ্যমে এ প্রতিবেদন পাঠিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনটি। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন এবং নিজেদের তথ্যানুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
গণপিটুনিতে মৃত্যু বেড়েছেএমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসেও একই ধারাবাহিকতায় গণপিটুনি বা মব (উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণ) সন্ত্রাসে হতাহতের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে ঘটেই চলেছে। নভেম্বরে কমপক্ষে ৪৩টি গণপিটুনির ঘটনায় ১৯ জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ৩৮ জন। গণপিটুনির শিকার ২৩ জনকে আহত অবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনিতে নিহতের মধ্যে ১ জনকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে, ১৪ জনকে চুরির অভিযোগে, ২ জনকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে, ১ জনকে ডাকাতি ও ১ জনকে সালিসে হত্যা করা হয়।
অক্টোবর মাসে মোট গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছিল ৪৪টি। ওই মাসে গণপিটুনির শিকার হয়ে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ১২। আগের মাসে নিহত হয়েছিলেন ২৪ জন।
এমএসএফ বলছে, আইন অবজ্ঞা করে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। এ ক্ষেত্রে গণপিটুনির সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব।
কারা হেফাজতে মৃত্যুএমএসএফের পরিসংখ্যান বলছে, নভেম্বরে কারা হেফাজতে মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের মাসে এর সংখ্যা ছিল ১৩। চলতি মাসে ১ জন কয়েদি ও ১০ জন হাজতির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী বলে জানা গেছে।
মানবাধিকার সংগঠনটি বলছে, কারা অভ্যন্তরে চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি বন্দীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে হেফাজতে মৃত্যুর কারণ যথাযথভাবে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ ছাড়া সরকারকে অবশ্যই যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজে বের করে বন্দীদের চিকিৎসাসেবার সুযোগ দিতে হবে। চিকিৎসাসেবা থেকে কোনোভাবেই কারাবন্দীদের বঞ্চিত করা যাবে না।
নাজুক সীমান্তে পরিস্থিতিএমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বরে সীমান্ত পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত নাজুক। এ মাসে ভারতীয় জলসীমার কাছে বঙ্গোপসাগর থেকে ১০৮ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড। এ ছাড়াও নাফ নদী থেকে নৌকাসহ ৪৭ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি।
এ ছাড়া নভেম্বরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। ভারতীয় নাগরিকের গুলিতে নিহত হয়েছেন আরও একজন। ভারতীয় সীমান্তে অজ্ঞাত আরও এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। চোরাকারবারিদের হামলা ঠেকাতে গিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গুলিতেও এক যুবক নিহত হয়েছেন।
এমএসএফ বলছে, সীমান্তে পরিস্থিতির বিষয়ে প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আশাব্যঞ্জক প্রতিকার হচ্ছে না। সীমান্তে এ ধরনের ঘটনা কখনোই কাম্য হতে পারে না। অপর দিকে প্রতিবাদ সত্ত্বেও মিয়ানমার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে চলেছে। সীমান্তে এমন ঘটনা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
অজ্ঞাতনামা মরদেহ উদ্ধারএমএসএফ বলছে, নভেম্বরেও আগের ধারাবাহিকতায় অজ্ঞাতনামা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা বাড়ছে। অজ্ঞাতনামা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা জনজীবনের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি জোরালোভাবে সবার সামনে প্রতিফলিত হচ্ছে। পাশাপাশি পরিচয় উদ্ধারে অপারগতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৩ জন নারী ও ৪৫ জন পুরুষসহ মোট ৫৮টি অজ্ঞাতনামা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অল্পসংখ্যক ঘটনা ছাড়া সব কটি মরদেহের পরিচয় অজ্ঞাতই থেকে যাচ্ছে। আগের মাসে ৬৬টি অজ্ঞাতনামা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
উদ্ধার হওয়া মরদেহের বেশির ভাগই নদী বা ডোবায় ভাসমান, মহাসড়ক বা সড়কের পাশে, সেতুর নিচে, রেললাইনের পাশে, ফসলি জমিতে ও পরিত্যক্ত স্থানে পাওয়া যায়। কিছু মরদেহ গলা কাটা, বস্তাবন্দী, হাত-পা বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।