ফরিদপুরের সালথায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক স্কুলশিক্ষক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফুকরা ঈদগাঁয়ের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত এস এস ইব্রাহিম শেখ (৪৬) উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের যোগারদিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের শারীরিক বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। তিনি উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কাকদী গ্রামের আবদুর রউফ শেখের ছেলে। তিনি বিবাহিত এবং এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা।

যোগারদিয়া উচ্চবিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে যোগারদিয়া স্কুল থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে সালথা উপজেলা কমপ্লেক্সের দিকে যাচ্ছিলেন ইব্রাহিম। ফুকরা ঈদগায়ের সামনে এলে বিপরীত দিক থেকে অন্য একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে তাঁর সংঘর্ষ হয়। এতে দুই মোটরসাইকেলের চালকই গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় বাসিন্দারা দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইব্রাহিমকে মৃত ঘোষণা করেন।

আহত আরেক মোটরসাইকেল আরোহীর নাম বাশার খালাসী (৪০)। তিনি সালথার সোনাপুর ইউনিয়নের নটখোলা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

যোগারদিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, ইব্রাহিম শেখের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়েছে। তাঁর নিহত হওয়ার ঘটনায় পরিবারের সদস্যরাসহ এলাকার লোকজন শোকাহত।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

গানে গানে মুখর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, লালন স্মরণে দারুণ এক রাত

সন্ধ্যা নামতেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভেসে আসছিল একের পর এক গান—‘সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে’, ‘তিন পাগলে হলো মেলা’, ‘আছে যার মনের মানুষ মনে তোলা’, ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’। রাত সাড়ে ১২টার পরও থামেনি গানের ধারা। তখন মঞ্চে লালন ব্যান্ড গাইছিল ‘এমন সমাজ কবে গো সৃজন হবে’। উদ্যানে তখনো অগণিত প্রাণের সরব উপস্থিতি। বাতাসে মিশে ছিল ভাব আর সুরের অনুরণন। কেউ চোখ বুজে গানের তালে দুলছিলেন, কেউবা হাততালি দিচ্ছিলেন। ব্যস্ত নাগরিক জীবনে এমন দারুণ এক রাত যেন হয়ে উঠেছিল ভাব, সুর ও মিলনের উৎসব।

জাতীয় পর্যায়ে লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয় লালন উৎসব ও লালন মেলা। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই জমে ওঠে আয়োজন। লালনের গানে মুখর হয়ে ওঠে উদ্যানের বড় অংশ। শত শত লালনভক্ত ও অনুরাগীর পদচারণে মুখর ছিল চারপাশ। মঞ্চের শিল্পীদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে গেয়েছেন দর্শকেরা। সেই গানে মিশে ছিল ভক্তির আবেশ, ভালোবাসার উচ্ছ্বাস আর একাত্মতার সুর। লালনের ভাব ও দর্শনের সুরে শুরু হলেও আয়োজনে বাজে লোকসংগীত, আধুনিক ও বাউল ঘরানার নানান গান।

লালন শুধু সংগীত সাধক নন; তিনি দার্শনিক, ভাবগুরু। তাঁর গান আজও মানুষকে ভাবায়, এক করে। উৎসবে সেই চেতনার প্রতিধ্বনি ছড়িয়ে পড়েছিল শিল্পীদের কণ্ঠে, দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায়।শত শত লালনভক্ত ও অনুরাগীর পদচারণে মুখর ছিল চারপাশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ