বান্দরবানের লামায় অবৈধ ইটভাটায় অভিযানকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপে বিজিবি ও পুলিশের ১৫ সদস্য এবং প্রায় ৫০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের পাহাড়তলী এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।

ইটভাটার শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অভিযানের সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপে নারী ও শিশুসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযানকালে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সংঘর্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও বিজিবির ছয়টি সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ইটভাটার ৫  শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবি ও পুলিশের অন্তত ১৫ সদস্য আহত হয়েছেন।

এ বিশেষ অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজুয়ান উল ইসলাম। এতে অংশ নেন আলীকদম সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর হাফিজ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবায়েত আহমেদ এবং লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন। অভিযানে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তোফাজ্জল হোসেন বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল যেহেতু চকরিয়া থানার আওতায় তাই আটক ব্যক্তিদের চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

লামা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবায়েত আহমেদ বলেছেন, “ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকরা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করেছে। অনেকেই আহত হয়েছেন।”

লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.

মঈন উদ্দিন বলেছেন, “হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজুয়ান উল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা ইটভাটায় অভিযান চালাতে গেলে স্থানীয় লোকজন ও শ্রমিকরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে সরকারি ছয়টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পুলিশ ও বিজিবির ১৫ সদস্য আহত হন। ফোর্স ব্যবহার না করার নির্দেশ থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন পিছিয়ে আসে।”

ঢাকা/চাইমং/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত হয় ছ ন স ঘর ষ ইটভ ট সদস য উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর–সংলগ্ন মিরপুর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক, সতর্ক অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের দিন রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন একদল বিক্ষোভকারী। সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাঁদের বাধা দিয়েছে। এ নিয়ে সেখানে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকাসংলগ্ন মিরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে দিনভর সংঘর্ষের পর অবশেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।

আজ সোমবার রাত আটটার পর মিরপুর থেকে নিউমার্কেটগামী সড়কটি খুলে দেওয়া হয়। আর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিউমার্কেট থেকে মিরপুরগামী সড়কটি খুলে দেওয়া হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, মিরপুর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনের সড়কটিতে ছোট ছোট ইটের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীদের কাউকে দেখা যায়নি। পরে রাত ১১টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সড়ক পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সড়কটির প্রবেশমুখে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। সড়কটি দিয়ে কাউকে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি এলাকাটিতে বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক রাতে ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিক্ষোভকারীদের সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে দিয়েছি। যান চলাচল শুরু হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে রাতেও পুলিশের সতর্ক অবস্থান থাকবে।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গতকাল জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড হয়। সাবেক আইজিপি (পুলিশ মহাপরিদর্শক) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের হয় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড (তিনি রাজসাক্ষী বা অ্যাপ্রুভার ছিলেন)।

এ রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রোববার দিবাগত রাত থেকেই বিভিন্ন দল, সংগঠন, প্ল্যাটফর্ম ও ব্যক্তি পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর মধ্যে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের ওই বাড়িটি ভাঙার ঘোষণা দেন। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

রাত ১০টার পর নিউমার্কেট-মিরপুর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইটভাটায় অভিযানে যাওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা, সংঘর্ষে আহত ২০
  • এবার কান্দিরপাড়ে পাশাপাশি কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি বিএনপির দুই পক্ষের
  • আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে দৃশ্যমান পদক্ষেপ চাই
  • ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ধানমন্ডি ৩২ নম্বর–সংলগ্ন মিরপুর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক, সতর্ক অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
  • ধানমন্ডি ৩২: সাউন্ড গ্রেনেড ফাটার পর ছত্রভঙ্গ বিক্ষোভকারীরা
  • সরকারের প্রস্তুতি ভালো থাকায় নাশকতা হয়নি
  • ‘৩২ নম্বর ধূলিসাৎ না করা পর্যন্ত ফিরব না’
  • শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়: গোপালগঞ্জে মিছিল, সড়ক অবরোধের চেষ্টা