জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জাহাঙ্গীরনগর’ শীর্ষক মাদকবিরোধী আলোচনা সভা ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আরো পড়ুন:

কুমিল্লায় ইউপি সদস্যের বাড়ির ছাদে শুকানো হচ্ছিল গাঁজা

উখিয়ায় বিজিবির পৃথক অভিযানে ৭০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে প্রক্টর অধ্যাপক ড.

এ. কে. এম. রাশিদুল আলম মাদকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। কেউ মাদকের সঙ্গে যুক্ত হলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, “মানুষ কৌতুহল থেকে মাদক গ্রহণ করে। একবার মাদকাসক্ত হলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা কঠিন। ছোট মাদক গ্রহণের মধ্য দিয়ে মাদকে প্রবেশ শুরু হয়। এরপর সে মাদকের বিভিন্ন দ্রব্যে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে।”

তিনি আরো বলেন, “আসক্তদের সর্বোচ্চ ১৭ শতাংশ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন। এজন্য মাদক থেকে দূরে থাকাই সবচেয়ে উত্তম।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “মাদকাসক্তরা বিভ্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত। একেকজন মানুষ একেকটি স্বপ্ন। পিতা-মাতার এই স্বপ্ন পূরণে লক্ষ্যচ্যুত হওয়া যাবে না।”

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “সঙ্গ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এমন কারো সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না, যাতে স্বভাবে নেতিবাচক পরিবর্তন আসে। এজন্য সবসময় মাদক ও মাদক সংশ্লিষ্টদের থেকে দূরে থাকতে হবে।”

শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ রহণ কর অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

জাবিতে এইচডব্লিউপিএল বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের ১১তম বর্ষপূর্তি

‘ইউনাইটিং ফর পিস অ্যান্ড ফুলফিলিং হিউম্যানিটি’স ডিউটি টুগেদার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে ‘সেপ্টেম্বর ১৮ এইচডব্লিউপিএল ওয়ার্ল্ড পিস সামিটের একাদশ বার্ষিকী’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে মানবতার দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক মাশরুর রহমান, এইচডব্লিউপিএল বাংলাদেশের প্রতিনিধিসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এইচডব্লিউপিএল বাংলাদেশের উপপ্রধান শাখা ব্যবস্থাপক ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (IUB) আইন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল খান।

তিনি বলেন, “বিশ্বে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কেবল সরকার বা আন্তর্জাতিক সংস্থার নয়, প্রতিটি নাগরিকেরও দায়িত্ব রয়েছে। এইচডব্লিউপিএল বিশ্বব্যাপী তরুণদের মধ্যে শান্তির সংস্কৃতি গড়ে তোলার কাজে নিরলসভাবে কাজ করছে।”

এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “আইনের চর্চা ন্যায় ও মানবতার চর্চা। এইচডব্লিউপিএল-এর মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো আমাদের তরুণ প্রজন্মকে শুধু আইনি জ্ঞান নয় বরং মানবিকতা, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মতো চিরন্তন মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত করছে। শান্তি প্রতিষ্ঠা কোনো একদিনের কাজ নয়- এটি একটি অবিরাম প্রক্রিয়া, যেখানে প্রতিটি নাগরিক, বিশেষ করে আইন শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

তিনি আরো বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, তরুণরা যদি ন্যায় ও মানবতার পথে এগিয়ে আসে, তবে একটি শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব।”

তিনি বলেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ ভবিষ্যতেও শান্তি, মানবাধিকার ও বৈশ্বিক ন্যায়ের পক্ষে এমন আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা ও দায়বদ্ধতা তৈরির মাধ্যমেই আমরা সত্যিকার অর্থে মানবতার বিজয় ঘটাতে পারব।”

প্রভাষক মাশরুর রহমান বলেন, “শান্তি কেবল একটি ধারণা নয়, এটি একটি অবিরাম প্রয়াস। শিক্ষার্থীদের উচিত ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে সামাজিক জীবনের প্রতিটি স্তরে শান্তি ও সহনশীলতার চর্চা করা।”

আলোচনা পর্বে বক্তারা বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা, শিক্ষায় মানবিক মূল্যবোধের অন্তর্ভুক্তি এবং আইন শিক্ষার নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানের শেষে ‘পিস আইডিয়া কনটেস্ট’-এর বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, এইচডব্লিউপিএল (হেভেনলি কিলচার, ওয়ার্ল্ড পিস, রেস্টোরেশন অব লাইট) একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), যা জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (UN ECOSOC)-এর স্বীকৃত অংশীদার। 

সংগঠনটির মূল লক্ষ্য যুদ্ধ ও সংঘাত বন্ধ করা, ধর্ম, সংস্কৃতি ও জাতি নির্বিশেষে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং বিশ্বজুড়ে শান্তির সংস্কৃতি গড়ে তোলা।

ঢাকা/আহসান হাবীব/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগ ও জাপার পদ থেকে ৫৬ জনপ্রতিনিধির পদত্যাগের ঘোষণা
  • জাবিতে এইচডব্লিউপিএল বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের ১১তম বর্ষপূর্তি
  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মহাবিপন্ন পাহাড়ি কচ্ছপ উদ্ধার