সিভাসুর ১৯ শিক্ষার্থী ইন্টার্নশিপে যাচ্ছে পাকিস্তান
Published: 25th, October 2025 GMT
শিক্ষা ও গবেষণা বিনিময়ের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) অনুযায়ী প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেসে (ইউভিএএস) ইন্টার্নশিপ করতে যাচ্ছেন সিভাসুর শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সিভাসুর প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলনকক্ষে ডিভিএম শিক্ষার্থীদের পাকিস্তানে ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের পূর্বপ্রস্তুতি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) দপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিভাসুর ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ২৫তম ব্যাচের ১৯ শিক্ষার্থী (৯ জন ছাত্রী ও ১০ জন ছাত্র) ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম এ অংশগ্রহণ করবেন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান শিক্ষার্থীদের বিদেশে অবস্থানকালে সিভাসুর মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা বিকাশে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ বৃদ্ধি করতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি হাতে–কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যোগ্য ও দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
আরও পড়ুনক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা: দেখে নাও ২০২৬ সালের সিলেবাস০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫সিভাসু কর্তৃপক্ষ জানায়, আগামী ১ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানের লাহোরে ইউনিভার্সিটি অব ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সাইন্সেসে (ইউভিএএস) ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করবেন। সিভাসুর শিক্ষার্থীরা ইউভিএএসের সিটি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল বিভাগে হাতে–কলমে কাজ শেখার সুযোগ পাবেন। ইউভিএএসের ভেটেরিনারি সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক আনিলা জামির দুররানির তত্ত্বাবধানে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুনএবার প্রস্তাবিত কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় চান না বিসিএস ২৫টি ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা৫ ঘণ্টা আগেপরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) অধ্যাপক এ কে এম সাইফুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক গৌতম কুমার দেবনাথ এবং পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) অধ্যাপক আবদুল আহাদ।
আরও পড়ুনহেনরিখ বল ফাউন্ডেশনের ইন্টার্নশিপ: মাসে ৭০০ ডলার, জে–১ ভিসাসহ যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ১১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান
দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।
সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প