শপথ নিলেন রাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা
Published: 26th, October 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটের নবনির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিরা শপথ গ্রহণ করেছেন।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
রাবিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২০ নভেম্বর
রাবির সুইমিংপুলে সাঁতারে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাকসুর রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড.
দীর্ঘ বিরতির পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের প্রতিনিধিরা আগামী ১ বছরের জন্য রাকসু, সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি ও হল সংসদের দায়িত্ব পালন করবেন।
এ সময় রাকসুর সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সালমান সাব্বির বলেন, “কিছু ইশতেহারকে সামনে রেখে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যে বিষয়গুলো নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা দরকার, তা নিয়ে আমরা শীঘ্রই কাজ শুরু করব। কিছু বিষয় আছে, যা ১ বছরে সম্ভব, সেগুলো আমরা করার চেষ্টা করব। আর যেগুলো ১ বছরে বাস্তবায়ন সম্ভব না, সেগুলো অন্ততপক্ষে শুরু করে রাখব।”
রাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাউদ্দীন আম্মার বলেন, “আজ অফিসিয়ালি দায়িত্ব পেয়ে ভালো লাগছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। শিক্ষার্থীরা যেহেতু আমাকে তাদের মুল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, আমাকে ঋণী করেছে— এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করা।”
তিনি বলেন, “যারা বিজিত হয়েছে তাদেরও শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করার অনেক ইশতেহার ছিল, আমরা তাদেরগুলো নিয়েও আমরা কাজ করতে চাই। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে রাকসু হয়নি, রাকসু ফান্ডের টাকাগুলো কোথায়, কীভাবে খরচ হয়েছে- তা প্রশাসনের কাছ থেকে জানবো প্রথম অধিবেশনেই। এরপর শিক্ষার্থীদের জন্য ১ বছর কাজ করে কোথায়, কীভাবে কত টাকা খরচ করেছি, তার হিসাব দিয়ে আমরা বিদায় নেব, ইনশাআল্লাহ।”
রাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, দীর্ঘ ৩৫ বছরের অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে আজ আমরা শপথ গ্রহণ করলাম। এর মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ইতিহাস সৃষ্টি হলো, তা বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের সবার ইশতেহারগুলো একত্র করে আমরা সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ, রিটার্নিং কর্মকর্তা স্যারসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে শেয়ার করব। এসব ইশতেহার বাস্তবায়নে কত বাজেট প্রয়োজন এবং কোনটি কখন বাস্তবায়ন করা হবে—সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করব।”
শপথ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদারসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং শিক্ষকবৃন্দ।
গত ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত রাকসু নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হন ছাত্রশিবির সমর্থিত মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, জিএস সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দীন আম্মার এবং এজিএস ছাত্রশিবির সমর্থিত এস এম সালমান সাব্বির। মোট ২৩টি পদের মধ্যে ২০টিতেই ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা জয়ী হন।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শপথ গ রহণ ইশত হ র ক জ কর উদ দ ন অন ষ ঠ ১ বছর
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই–পরবর্তী সময়েও ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের প্রাণ দিতে হয়েছে: ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেছেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ১৪২ জন শহীদ হয়েছেন। কিন্তু জুলাই–পরবর্তী সময়েও ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের প্রাণ দিতে হয়েছে।
আজ রোববার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের মাঠে শাখা ছাত্রদলের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে নাছির এ কথা বলেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা হাসিবুল ইসলামের অকালমৃত্যু এবং জোবায়েদ হোসেনের ওপর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় নাছির উদ্দীন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্যকে (শাহরিয়ার আলম সাম্য) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। কয়েক দিন আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জোবায়েদকেও একই কায়দায় হত্যা করা হয়। পারভেজ (জাহিদুল ইসলাম পারভেজ) হত্যার পর প্রশাসন খুনিদের গ্রেপ্তার করতে গড়িমসি করেছিল। সাম্য হত্যার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজনীতি হয়েছে। যে পরিমাণ প্রতিবাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে হওয়ার কথা ছিল, সেটা দেখা যায়নি।
নাছির আরও বলেন, ‘জোবায়েদ হোসেন হত্যার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে, এখনো রেখে যাচ্ছে। হাসিবের মৃত্যুর পর এবং জোবায়েদ হত্যার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে ভূমিকা রাখা হয়েছে, তার জন্য ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
আলোচনা সভায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের দলে কিছু বিপথগামী সদস্য আছে, সেটা স্বীকার করেই আমরা রাজনীতি করি। কিছু বিপথগামী ছাড়া ছাত্রদলের সবাই নৈতিক চরিত্রের অধিকারী।’
রাকিব বলেন, ‘স্বল্প সময়ে ছাত্রদলের পদধারী তিন নেতা—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্য, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পারভেজ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জোবায়েদকে হত্যা করা হয়েছে। ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের এমন মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ সাবিনা শরমীন, রেজিস্ট্রার শেখ গিয়াসউদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইছ্ উদদীন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল, সদস্যসচিব শামসুল আরেফিনসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বর্তমান ও সাবেক নেতা–কর্মীরা।