মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুটি মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলাম ও সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউটর তারেক আব্দুল্লাহ।

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রামে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলামকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে ট্রাইব্যুনাল তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

প্রসিকিউশন জানিয়েছে, সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুর এলাকায় মো.

ওয়াসিম আকরাম, ফয়সাল আহমেদ শান্ত ও মো. ফারুক হত্যার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ততা এবং জুলাই আন্দোলন চলাকালে নিরীহ ছাত্র–জনতার বিরুদ্ধে ২৫টির অধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের প্রাথমিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সংঘটিত গুম–খুনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এএসপি মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসিকিউটর তারেক আব্দুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে রাজধানী থেকে মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয় এবং গুমের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

গুমের শিকার ৩৫ জনের বেশি ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তারেক আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, এ মামলায় এখন দুজন আসামি। মশিউর রহমান ছাড়া বরিশাল রেঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন এ মামলার আসামি। র‍্যাবে চাকরি করার সময় মশিউর রহমান আলেপ উদ্দিনের অন্যতম সহযোগী ছিলেন বলেও ট্রাইব্যুনাল সূত্র বলছে। এ মামলায় আগামী ৩০ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম নবত ব র ধ অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রস্তুত ‘দম’ টিম, যাচ্ছে শুটিংয়ে

অনেক দিন পর ঢালিউডে ঘটা করে আয়োজিত হলো কোনো সিনেমার মহরত। ‘দম’ সিনেমার আয়োজনের মধ্য দিয়ে আবারও সেই শব্দটি ফিরল চলচ্চিত্রপাড়ায়। মূলত শুটিং শুরুর আগে মহরতের মাধ্যমে প্রযোজক–পরিচালক–শিল্পী–কুশলীরা তাঁদের শুভানুধ্যায়ী ও দর্শকের দোয়া নিয়ে নির্মাণযাত্রা শুরু করেন। বুধবার ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি ক্লাবে আয়োজিত ‘দম’–এর মহরতে জানানো হয় শুটিং প্রস্তুতি, শিল্পী–কুশলীদের পরিচিতি ও নির্মাণসংক্রান্ত নানা তথ্য।

কাজাখস্তানে শুটিং
‘দম’ পরিচালনা করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা রেদওয়ান রনি। তিনি জানান, সিনেমার শুটিং শুরু হবে কাজাখস্তানে। ইতিমধ্যে সেখানে লোকেশন দেখা শেষ করেছেন নির্মাতা, প্রযোজক ও অভিনেতারা। কেন কাজাখস্তান? জানতে চাইলে রনি বলেন, ‘আমরা দুর্গম কিছু স্থানে শুটিং করব, আর এখন সেখানে আবহাওয়াও বেশ প্রতিকূল। গল্পের সঙ্গে মানানসই লোকেশন ও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তা একসঙ্গে পাচ্ছি বলেই সেখানে কাজ করতে যাচ্ছি। আপনাদের দোয়া নিয়ে এই যাত্রা শুরু করতে চাই।’

এক দমে দম
‘দম’–এর প্রযোজক এসভিএফ আলফা–আই এন্টারটেইনমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘শুটিং শুরু করার আগে সবার দোয়া নিতেই এ আয়োজন। আমরা এবার এক দমে সিনেমাটি শেষ করতে চাই। শুটিং শুরুতে দেরি হয়েছে। কারণ, এটি বেশ কঠিন একটি গল্পের কাজ। আমরা যেন সঠিকভাবে এটি শেষ করে দর্শকদের সামনে হাজির হতে পারি—এই দোয়া চাই।’

চিত্রনাট্য ও গল্প
মহরতে নির্মাতা রেদওয়ান রনি পরিচয় করিয়ে দেন ‘দম’–এর চিত্রনাট্যকার সৈয়দ আহমেদ শাওকী, আল–আমিন হাসান ও সাইফুল্লাহ রিয়াদকে। আরেক চিত্রনাট্যকার রবিউল আলম দেশের বাইরে থাকায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। রনি বলেন, ‘একটি ভালো চিত্রনাট্য ছাড়া সিনেমা তৈরি করা যায় না। “দম” যেহেতু সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত, তাই কী পরিমাণ বাস্তব অংশ রাখা যাবে, কোথায় কল্পনার সংযোজন হবে—পুরো প্রক্রিয়াটাই ছিল কঠিন। সবকিছু ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছে, শেষ পর্যায়ে কিছু পরিবর্তনও আসতে পারে।’

মহরতে নির্মাতা রেদওয়ান রনি পরিচয় করিয়ে দেন ‘দম’–এর চিত্রনাট্যকার সৈয়দ আহমেদ শাওকী, আল–আমিন হাসান ও সাইফুল্লাহ রিয়াদকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ