নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ জেলা। এই জেলা থেকে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব নিচ্ছেন।

অথচ এই জেলার মধ্যে ভালো মাপের কোন একটি মেডিকেল কলেজ নাই। নারায়ণগঞ্জ একটি ধনী জেলা বিবেচিত হলো এই জেলা সব সময়ই অবহেলিত ছিল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যদি আগামী দিনে রাষ্ট্রক্ষমতা দায়িত্ব পায় কোটার ভিত্তিতে এবং ন্যায্য হিসাবে মাধ্যমে আমরা এই জেলার উন্নয়ন করতে চাই। 

সারাদেশে যেভাবে উন্নয়ন হবে নারায়ণগঞ্জের ঠিক একইভাবে উন্নয়ন হতে হবে আমরা সেইভাবে নেতৃত্ব দিতে চাই। সারাদেশে যদি উন্নয়ন হয় তাহলে নারায়ণগঞ্জ কেন পিছিয়ে থাকবে। সুসময় সুষম বন্টন সেটাকে ন্যায্য কোটার মাধ্যমে আমাদেরকে আদায় করে আনতে হবে।

আগামীতে নারায়ণগঞ্জের যারা জন প্রতিনিধি হবে সেটা হবে তাদের মূল দায়িত্ব। ইনশাল্লাহ যদি আগামীতে আমি এই উপজেলার সংসদ সদস্য (এমপি) হতে পারি তাহলে এখানকার ন্যায্য হিস্যা আমি আদায় করে আনবো।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সোনারগাঁয়ের বারদী এলাকায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শনকালে তিনি তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অধ্যাপক মামুন মাহমুদের ব্যবস্থাপনায় ধারাবাহিক ফ্রি মেডিকেল সেবার অংশ হিসেবে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর ঐতিহাসিক বাড়িতে এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বারদী এলাকায় দুই হাজার সাত শত রোগীর চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে । 

চলতি মাসে এই ক্যাম্পটি অধ্যাপক মামুন মাহমুদের আয়োজনে পরিচালিত ষষ্ঠ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। এর আগে পাঁচটি ক্যাম্পে ১১ হাজারের অধিক মানুষকে সেবা দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই মেডিকেল ক্যাম্পে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী মেডিসিন ও চশমা ফ্রি দেওয়া হচ্ছে।

এ সময় অধ্যাপক মামুন মাহমুদ আরও বলেন, আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র মেরামতের যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছিলেন সে ৩১ দফার ২৬ নাম্বার দফা যে কথাটি তিনি বলেছিলেন সেটি হল বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল যদি আগামী দিনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনা দায়িত্ব পায় তাহলে বাংলাদেশের সকল মানুষের স্বাস্থ্য  সেবা নিশ্চিত করা হবে।

তিনি ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন সবার জন্য স্বাস্থ্য ও সার্বজনীন চিকিৎসা সেবা। বিগত ১৭টি বছর যে দলটি ক্ষমতায় ছিল তারা মানুষের স্বাস্থ্য সবাই তেমন কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে নাই। তারা মানুষের অন্য বস্ত্র ও বাসস্থান থেকে শুরু করে কোন কিছুতেই তারা খেয়াল রাখে নাই।

শুধু তাই না তারা মানুষের ভাতের নিশ্চয়তা তো কাপড়ের নিশ্চয়তা তো দিতে পারে নাই। তারা শিক্ষারও নিশ্চয়তা দিতে পারে নাই। সবচেয়ে সে গুরুত্বপূর্ণ মানুষের জীবনের চিকিৎসা সেবার তারা নিশ্চয়তা দিতে পারে নাই। আমরা দেখেছি চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে কি পরিমাণ অব্যবস্থাপনা ছিল। 

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ২৮ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে প্রচার করেছে। মানুষের যে প্রয়োজনের স্বাস্থ্য সেবা সেটা তারা পূরণ করতে পারেনি তারা শুধু লুটপাট আর দুর্নীতিতেই ব্যস্ত ছিল।

এই যে হাজার হাজার কোটি শেখ হাসিনা বিদেশে পাচার না করতো তাহলে বাংলাদেশে এই দিয়ে বড় বড় হসপিটাল নির্মাণ করা যেত। সকল হসপিটালে সাধারণ জনগণ তাদের চিকিৎসা পেতে পারত। 

সোনারগাঁ থানা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক ইউসুফ আলী এতে সভাপতিত্বে এসময়ে আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি ডাক্তার মজিবুর রহমান, সোনারগাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স কলেজের সহকারী অধ্যাপক বদরুননাহার। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক এথলেটিক সেক্রেটারি মাহবুব রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ন শ চয়ত ব এনপ র এই জ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাখাওয়াতকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় শিশু সন্তানদের সামনে বিচারপ্রার্থী বাবা ও মাকে মারধরের ঘটনায় মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখায়াত হোসেন সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। হামলার শিকার রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলার আসামিরা হলেন- মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান (৫০), সাত্তারের ছেলে ইসমাইল (৪৬), হিরন (৩৮), শাহালম (৪৮), টিটু (৫০), রাসেল ব্যাপারি (৩৫), এডভোকেট খোরশেদ আলম (৪০), এডভোকেট আল আমিন (৩৯), এডভোকেট বিল্লাল হোসেন (৩৮) এবং অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার।

এবিষয়ে মামলার বাদী রাজিয়া সুলতানা জানান, আজকে থানা থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হয়েছে যে মামলাটি নেয়া হয়েছে। আমরা থানা থেকে মামলার কপিটি সংগ্রহ করেছি। 

বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। 

এর আগে মামলার বাদি রাজিয়া সুলনার স্বামী ইরফান মিয়া (৪২) রোববার একটি মামলার শুনানীতে অংশ নিতে আদালতে গেলে তাঁর ওপর হামলা চালান এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের জুনিয়র আইনজীবী ও মুহুরি। এতে আহত হন মো. ইরফান মিয়া, তাঁর স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (৩৮) ও তাঁদের দুই সন্তান।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেনসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪ তেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে মামলা করতে গেলে এজাহারে আপত্তি জানায় পুলিশ।

পরে রাত ২টার দিকে ফতুল্লা থানা গেটের সামনে শিশুসন্তানকে নিয়ে বসে কান্নাকাটি করতে থাকেন রাজিয়া সুলতানা। এ সময় তিনি বলতে থাকেন, ‘নারায়ণগঞ্জের এসপি, সার্কেল এসপি, ওসি কেউ আমার মামলা নেয় নাই।

এখানে কেউ আসবেন না, এখানে কোনো বিচার নাই। মামলা না নেয়া পর্যন্ত আমি থানার গেইট থেকে যাবো না’। এক পর্যায়ে পুলিশ রাজিয়া সুলতানার অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করতে বাধ্য হয়।

এদিকে হামলার ঘটনার সঙ্গে কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবী করেছেন এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে ক্লিন ইমেজ নষ্ট করতে এই ষঢ়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবী করেন তিনি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা ’ আনিসুল ইসলাম সানি
  • নাসিক এলাকায় কমছেনা ডেঙ্গুর প্রকোপ  
  • সাংবাদিক শাওনের মায়ের মৃত্যুতে আনিসুল ইসলাম সানির শোক
  • সাংবাদিক শাওনের মায়ের মৃত্যুতে অধ্যাপক মামুন মাহমুদের শোক
  • বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুর পাশে ডিসি জাহিদুল
  • সাংবাদিক শাওনের মায়ের মৃত্যুতে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের শোক
  • নারায়ণগঞ্জে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি শীর্ষক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত 
  • ডেঙ্গু প্রতিরোধে রাজিবের নির্দেশনায় ফতুল্লায় মশক নিধন কর্মসূচি
  • সাখাওয়াতকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা