পে-কমিশনের সঙ্গে ইউজিসি মতবিনিময়, সর্বোচ্চ বেতন দেড় লাখ করার প্রস্তাব
Published: 30th, October 2025 GMT
নতুন বেতন কাঠামোতে সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ মূল বেতন ১ লাখ ৫০ হাজার এবং সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) অফিসার্স এসোসিয়েশন। পাশাপাশি বছরে ১০ শতাংশ বেতন, শতভাগ পেনশন সুবিধা প্রদান, আনুতোষিক বৃদ্ধিসহ মোট ১৫টি প্রস্তাব পে-কমিশনের কাছে পেশ করেছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় বেতন কমিশনের সঙ্গে ইউজিসি অফিসার্স এসোসিয়েশনের এক মতবিনিময় সভায় এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউজিসি অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো.
এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাড়ি ভাড়া ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মূল বেতনের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ, অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৬০ শতাংশ এবং অন্যান্য স্থানে ৫০ শতাংশ করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য মাসিক চিকিৎসা ভাতা ৫ হাজার টাকা এবং অবসরপ্রাপ্তদের জন্য মাসিক ৭ হাজার ৫০০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য একটি সমন্বিত স্বাস্থ্য বীমা চালুরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিবহন ও গাড়ি সুবিধা বিষয়ে ১১ থেকে ২০ তম গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য মাসিক ২ হাজার টাকা পরিবহন ভাতা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া, প্রশাসন ক্যাডার, জুডিশিয়াল সার্ভিস, নির্বাচন কমিশন, লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং বিভাগ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ৫ম গ্রেড ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের মতো সবার সার্ভিসে গাড়ি ক্রয়ে সুদমুক্ত ঋণ এবং যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়।
শিক্ষা সহায়ক ভাতা সন্তান প্রতি মাসিক ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ দুই সন্তানের জন্য ৫ হাজার টাকা এবং ৯ম গ্রেড ও তদুর্ধ্ব কর্মকর্তাদের জন্য আপ্যায়ন ভাতা ও গৃহপরিচারক ভাতা চালুর প্রস্তাব করা হয়।
এছাড়া, পেনশন সুবিধা বিদ্যমান ২১ থেকে ৯০ শতাংশের পরিবর্তে ৪০ থেকে ১০০ শতাংশ, আনুতোষিক বিদ্যমান ২৬৫/২৬০/২৪৫/২৩০ গুণের পরিবর্তে ৩৩০/৩২০/৩১০/৩০০ করা, বিনোদন ছুটি ৩ বছরের পরিবর্তে ২ বছর করা, বাংলা নববর্ষ ভাতা মূল বেতনের সমপরিমাণ করা, রেশন সুবিধা, এককালীন পেনশন সুবিধা এবং করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/আসাদ/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র প রস ত ব দ র জন য ইউজ স
এছাড়াও পড়ুন:
প্রস্তুত ‘দম’ টিম, যাচ্ছে শুটিংয়ে
অনেক দিন পর ঢালিউডে ঘটা করে আয়োজিত হলো কোনো সিনেমার মহরত। ‘দম’ সিনেমার আয়োজনের মধ্য দিয়ে আবারও সেই শব্দটি ফিরল চলচ্চিত্রপাড়ায়। মূলত শুটিং শুরুর আগে মহরতের মাধ্যমে প্রযোজক–পরিচালক–শিল্পী–কুশলীরা তাঁদের শুভানুধ্যায়ী ও দর্শকের দোয়া নিয়ে নির্মাণযাত্রা শুরু করেন। বুধবার ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি ক্লাবে আয়োজিত ‘দম’–এর মহরতে জানানো হয় শুটিং প্রস্তুতি, শিল্পী–কুশলীদের পরিচিতি ও নির্মাণসংক্রান্ত নানা তথ্য।
কাজাখস্তানে শুটিং
‘দম’ পরিচালনা করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা রেদওয়ান রনি। তিনি জানান, সিনেমার শুটিং শুরু হবে কাজাখস্তানে। ইতিমধ্যে সেখানে লোকেশন দেখা শেষ করেছেন নির্মাতা, প্রযোজক ও অভিনেতারা। কেন কাজাখস্তান? জানতে চাইলে রনি বলেন, ‘আমরা দুর্গম কিছু স্থানে শুটিং করব, আর এখন সেখানে আবহাওয়াও বেশ প্রতিকূল। গল্পের সঙ্গে মানানসই লোকেশন ও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তা একসঙ্গে পাচ্ছি বলেই সেখানে কাজ করতে যাচ্ছি। আপনাদের দোয়া নিয়ে এই যাত্রা শুরু করতে চাই।’
এক দমে দম
‘দম’–এর প্রযোজক এসভিএফ আলফা–আই এন্টারটেইনমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘শুটিং শুরু করার আগে সবার দোয়া নিতেই এ আয়োজন। আমরা এবার এক দমে সিনেমাটি শেষ করতে চাই। শুটিং শুরুতে দেরি হয়েছে। কারণ, এটি বেশ কঠিন একটি গল্পের কাজ। আমরা যেন সঠিকভাবে এটি শেষ করে দর্শকদের সামনে হাজির হতে পারি—এই দোয়া চাই।’
চিত্রনাট্য ও গল্প
মহরতে নির্মাতা রেদওয়ান রনি পরিচয় করিয়ে দেন ‘দম’–এর চিত্রনাট্যকার সৈয়দ আহমেদ শাওকী, আল–আমিন হাসান ও সাইফুল্লাহ রিয়াদকে। আরেক চিত্রনাট্যকার রবিউল আলম দেশের বাইরে থাকায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। রনি বলেন, ‘একটি ভালো চিত্রনাট্য ছাড়া সিনেমা তৈরি করা যায় না। “দম” যেহেতু সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত, তাই কী পরিমাণ বাস্তব অংশ রাখা যাবে, কোথায় কল্পনার সংযোজন হবে—পুরো প্রক্রিয়াটাই ছিল কঠিন। সবকিছু ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছে, শেষ পর্যায়ে কিছু পরিবর্তনও আসতে পারে।’