বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আয়োজিত এ সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন।

আরো পড়ুন:

ইডিএস মাস্টার্স ফেলোশিপ পেলেন ঢাবি শিক্ষার্থী

‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ থাকায় জুলাই সনদ অনুষ্ঠান বর্জন ছাত্র সংসদ নেতাদের

তারা ইইউ এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ঢাবিতে উচ্চশিক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সহশিক্ষা কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া ঢাবি ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নতুন প্রযুক্তি, পাঠ্যক্রম উন্নয়ন এবং জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতা জোরদার করার সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার তরুণদের কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে একাডেমিয়া এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড.

সায়মা হক বিদিশা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে তিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহযোগিতা চান।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ডেলিগেশন বাংলাদেশের ফার্স্ট সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল) সেবাস্টিয়ান রিগার ব্রাউন এবং প্রেস ও ইনফরমেশন উপদেষ্টা তৌহিদ ফিরোজ উপস্থিত ছিলেন।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত তার টিমসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) কার্যালয়ে যান।

সেখানে তারা জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালা পরিদর্শন শেষে ডাকসু নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়কালে ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এসএম ফরহাদ, এজিএস মো. মহিউদ্দিন খাঁন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন, তরুণ নেতৃত্বের ভূমিকা এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য সহযোগিতা বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইইউ উপ উপ চ র য সহয গ ত

এছাড়াও পড়ুন:

প্রস্তুত ‘দম’ টিম, যাচ্ছে শুটিংয়ে

অনেক দিন পর ঢালিউডে ঘটা করে আয়োজিত হলো কোনো সিনেমার মহরত। ‘দম’ সিনেমার আয়োজনের মধ্য দিয়ে আবারও সেই শব্দটি ফিরল চলচ্চিত্রপাড়ায়। মূলত শুটিং শুরুর আগে মহরতের মাধ্যমে প্রযোজক–পরিচালক–শিল্পী–কুশলীরা তাঁদের শুভানুধ্যায়ী ও দর্শকের দোয়া নিয়ে নির্মাণযাত্রা শুরু করেন। বুধবার ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি ক্লাবে আয়োজিত ‘দম’–এর মহরতে জানানো হয় শুটিং প্রস্তুতি, শিল্পী–কুশলীদের পরিচিতি ও নির্মাণসংক্রান্ত নানা তথ্য।

কাজাখস্তানে শুটিং
‘দম’ পরিচালনা করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা রেদওয়ান রনি। তিনি জানান, সিনেমার শুটিং শুরু হবে কাজাখস্তানে। ইতিমধ্যে সেখানে লোকেশন দেখা শেষ করেছেন নির্মাতা, প্রযোজক ও অভিনেতারা। কেন কাজাখস্তান? জানতে চাইলে রনি বলেন, ‘আমরা দুর্গম কিছু স্থানে শুটিং করব, আর এখন সেখানে আবহাওয়াও বেশ প্রতিকূল। গল্পের সঙ্গে মানানসই লোকেশন ও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তা একসঙ্গে পাচ্ছি বলেই সেখানে কাজ করতে যাচ্ছি। আপনাদের দোয়া নিয়ে এই যাত্রা শুরু করতে চাই।’

এক দমে দম
‘দম’–এর প্রযোজক এসভিএফ আলফা–আই এন্টারটেইনমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘শুটিং শুরু করার আগে সবার দোয়া নিতেই এ আয়োজন। আমরা এবার এক দমে সিনেমাটি শেষ করতে চাই। শুটিং শুরুতে দেরি হয়েছে। কারণ, এটি বেশ কঠিন একটি গল্পের কাজ। আমরা যেন সঠিকভাবে এটি শেষ করে দর্শকদের সামনে হাজির হতে পারি—এই দোয়া চাই।’

চিত্রনাট্য ও গল্প
মহরতে নির্মাতা রেদওয়ান রনি পরিচয় করিয়ে দেন ‘দম’–এর চিত্রনাট্যকার সৈয়দ আহমেদ শাওকী, আল–আমিন হাসান ও সাইফুল্লাহ রিয়াদকে। আরেক চিত্রনাট্যকার রবিউল আলম দেশের বাইরে থাকায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। রনি বলেন, ‘একটি ভালো চিত্রনাট্য ছাড়া সিনেমা তৈরি করা যায় না। “দম” যেহেতু সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত, তাই কী পরিমাণ বাস্তব অংশ রাখা যাবে, কোথায় কল্পনার সংযোজন হবে—পুরো প্রক্রিয়াটাই ছিল কঠিন। সবকিছু ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছে, শেষ পর্যায়ে কিছু পরিবর্তনও আসতে পারে।’

মহরতে নির্মাতা রেদওয়ান রনি পরিচয় করিয়ে দেন ‘দম’–এর চিত্রনাট্যকার সৈয়দ আহমেদ শাওকী, আল–আমিন হাসান ও সাইফুল্লাহ রিয়াদকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ