বিএনপি নেত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য, ক্ষমা চাইলেন জাতীয় পার্টির ম
Published: 22nd, October 2025 GMT
বিএনপি নেত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্যের ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন।
বুধবার (২২ অক্টোবর) কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় উপজেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজের মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে নিঃশর্ত ক্ষমা চান।
আহসান হাবিব লিংকন বলেন, “আমি কথা বলতে বলতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী সম্পর্কে একটি মন্তব্য করে ফেলেছি। ইট ওয়াজ মাই স্লিপ অফ টাঙ্গ। গত ১৫ বছর তিনি রাজপথে আন্দোলনে ছিলেন। আমি বিএনপির নেতাদের ধন্যবাদ জানাই, তারা আমার ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। আমি স্বীকার করছি, এটা অনিচ্ছাকৃত ছিল। এজন্য আমি দুঃখিত এবং নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাইছি।’’
তবে বিএনপি নেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন এই ক্ষমা প্রার্থনাকে ‘অপ্রত্যাশিত’ ও ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন, “জনসভায় আমাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেছেন। কিন্তু, কয়েকজন সাংবাদিক ডেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চাওয়াটা কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এটা যথাযথ ক্ষমা প্রার্থনা না।’’
এর আগে, মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা বাজারে এক জনসভায় ফরিদা ইয়াসমিনকে উদ্দেশ্য করে অশালীন মন্তব্য করেন আহসান হাবিব লিংকন। এ ঘটনায় একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ভেড়ামারায় ফরিদা ইয়াসমিনের সমর্থকেরা ঝাড়ু মিছিল বের করেন।
ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনা আমাদের আসন ও টাকা অফার করেছিল: নুরুল হক নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘‘আওয়ামী লীগের আমলে শেখ হাসিনা আমাদের আসন অফার করেছিল, টাকা অফার করেছিল। কিন্তু আমরা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপস করিনি। আমরা ২-৪টি আসনের জন্য কারো সঙ্গে জোট করব না। যদি দেশের প্রয়োজনে জোট করি, তা ন্যায্যতার বিচারে সম্মানজনক আসন সমঝোতার ভিত্তিতে হবে।’’
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে দলীয় প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দিতে স্থানীয় গণঅধিকার পরিষদ এই জনসভার আয়োজন করে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দলের প্রার্থী হয়েছেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে আগাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন তার কার্যক্রম সম্পন্ন করছে। ১১ তারিখ তফসিল ঘোষণা করার কথা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের লড়াকু ও আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ থাকায় যদি কোনো প্রেক্ষাপট তৈরি হয় নির্বাচন পেছানোর, সেটি হয়তো নির্বাচন কমিশন এবং সরকার বিবেচনা করবে। অন্যথায় ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হোক আর এপ্রিলে হোক, নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। আর দেশের প্রয়োজনে যদি কোনো জোট করে, তাহলে যেসব জায়গায় জনসমর্থন আছে, সেসব আসনকে নিশ্চিত করেই আমাদের জোট হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা দেখতে পাই, কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারা পুরনো ফ্যাসিস্টদের মতোই হুমকি-ধমকি ও আধিপত্য বিস্তারের অপরাজনীতি দেশব্যাপী কায়েম করতে চান। তদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ১৬ বছরের অপশাসন মুহূর্তের মধ্যেই চুরমার হয়ে গেছে। জনগণের প্রতিবাদে নেতারা সীমান্ত দিয়ে, হেলিকপ্টার দিয়ে, নদী-নালা ও খাল-বিল দিয়ে যে যেভাবে পেরেছেন পালিয়ে গেছেন। কেউ জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তাদের পরিণতিও তা-ই হবে। গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন সব রাজনৈতিক দলকে সংযত এবং সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানাই।’’
ঢাকা/পলাশ/রাজীব