২৫ জেলার পেশাজীবীদের নিয়ে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো এসইও ও এআই সম্মেলন
Published: 23rd, November 2025 GMT
২৫ জেলা থেকে আসা এসইও পেশাজীবী, ফ্রিল্যান্সার, আইটি উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে চট্টগ্রামে হয়ে গেল এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) ও এআই নিয়ে সম্মেলন। গতকাল শনিবার নগরীর সিটি গেট এলাকার সুজানা স্কয়ারে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এ সম্মেলনে একাধিক সেশন, প্যানেল আলোচনা, কেস স্টাডি এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব আয়োজনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের সার্চ ইঞ্জিন অ্যালগরিদম, এআইয়ের বাস্তবিক প্রয়োগ, কনটেন্ট অপটিমাইজেশন, এসইও সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। আজ রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন সম্মেলনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান জায়ান্ট মার্কেটার্স।
সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে জায়ান্ট মার্কেটার্সের প্রতিষ্ঠাতা মাসুম বিল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বক্তা, অংশগ্রহণকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের উৎসাহ এবং সহযোগিতা ছাড়া এ আয়োজন সম্ভব হতো না। প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে আরও এগিয়ে নিতে এই সম্মেলন ভবিষ্যতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
সম্মেলনের সহ-আয়োজক এআই অটোমেটিকের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আউয়াল বলেন, সারা দেশের এসইও ও এআই পেশাজীবীদের জন্য আলাদা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আনন্দিত যে এই সম্মেলন সবার প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতা বিনিময়, নেটওয়ার্কিং এবং নতুন সম্ভাবনার এই যাত্রা আমরা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখতে চাই।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের মতে, এসইও এবং এআই-কে কেন্দ্র করে দেশে এত বড় পরিসরে প্রযুক্তি সম্মেলন এর আগে খুব বেশি হয়নি। এই সম্মেলনে নিজেদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি নতুন সুযোগ সম্পর্কে বাস্তব ধারণা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাউলশিল্পী আবুল সরকারের মুক্তি দাবিতে সংসদের সামনে মানববন্ধন
বাউলশিল্পী আবুল সরকারের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ‘সম্প্রীতি যাত্রা’। শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে এই মানববন্ধন হয়। এতে বিভিন্ন বাউল–সুফি সংগঠন, সাংস্কৃতিক অঙ্গন, সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের নেতা–কর্মীরা অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল— ‘আবুল সরকারের মুক্তি চাই’, ‘গান, জ্ঞান ও ভক্তির নিরাপত্তা চাই’, ‘মাজার দরবার রক্ষা করো’, ‘পৃথিবীটা একদিন বাউলের হবে’—এমন বক্তব্য–সংবলিত পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড
মানববন্ধনে বাংলাদেশ সুফি জাগরণ পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই দেশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সুফি–বাউলরা সব সময় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। পরিকল্পিতভাবে শিল্পী আবুল সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি না দিলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’ বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার বলেন, ‘একদিন পৃথিবীটা বাউলের হবে। শিল্পীদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তার মানবাধিকার লঙ্ঘন—এটি মেনে নেওয়া হবে না।’
ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘সরকার একদিকে লালনের অনুষ্ঠান করে, অন্যদিকে বাউল-ফকিরদের ওপর নির্যাতন চালায়। ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’মানববন্ধনে আহলে সুন্নত জামায়াতের সভাপতি মাওলানা নূরে আলম সাঈদ সরকারকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, আবুল সরকারকে মুক্তি না দিলে দেশের সব বাউল–ফকির রাস্তায় নামবে। বাউল সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিক সরকার বলেন, ‘আবুল সরকার মুক্তি না পেলে ২০ লাখ বাউল–ফকির রাস্তায় নামবেন।’
মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল সংসদের দক্ষিণ প্লাজার সামনে থেকে শুরু হয়ে খেজুরবাগান মোড় ঘুরে আবার দক্ষিণ প্লাজায় এসে শেষ হয়। পুরো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে শিল্পীর মুক্তি এবং সব ধরনের বৈষম্য ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।