আমার সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মামদানি
Published: 9th, November 2025 GMT
আমি বাংলাদেশি-মার্কিন, নিউইয়র্কের কুইন্সে থাকি। কাজ করি আর স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। সেই আমিও এমন স্বপ্ন কখনো দেখিনি যে অভিবাসী হিসেবে এই শহরের রাজনীতিতে আমাদের শক্ত কোনো অবস্থান থাকতে পারে। কারণ, এত দিন আমাদের কষ্ট বুঝে, পাশে থেকে, আমাদের পক্ষে উচ্চ স্বরে কথা বলার কেউ ছিলেন না। জোহরান মামদানির সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকে এই ধারণা বদলাতে শুরু করেছে। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার মানুষেরা ধর্ম, বর্ণ, উচ্চারণ, নাম নিয়ে পদে পদে রেসিজম বা বৈষম্যের শিকার হই। কিন্তু এসব আমরা ভুলে যেতে বাধ্য হই কাজের চাপে, নিউইয়র্ক শহরে টিকে থাকার যুদ্ধে। জীবনযাপনের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে থাকতে ক্লান্ত নিউইয়র্কবাসীর কাছে নতুন আশার নাম জোহরান মামদানি।
মামদানির সঙ্গে প্রথম দেখাহাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছেন জোহরান মামদানি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ম মদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
‘সালাম বম্বে!’, থেকে ‘মুনসুন ওয়েডিং’, মামদানির মাকে কতটা চেনেন
নিউইয়র্ক শহরের নবনির্বাচিত মেয়র হয়েছেন জোহরান মামদানি। তাঁর মেয়র হওয়ার পেছনে বাঙালি ভোটারদের যে অবদান ছিল, সেটা মামদানির জেতার খবরের বিজয় মিছিলেই দেখা গেছে। ‘আমার মেয়র-তোমার মেয়র, মামদানি-মামদানি’, ‘নিউইয়র্কের মেয়র, মামদানি-মামদানি’, ‘শ্রমিক শ্রেণির মেয়র, মামদানি-মামদানি’—এসব স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছিল কুইন্সের জ্যামাইকা শহর। তবে বাঙালি ভোটারদের মন জেতার পেছনের তাঁর একটা বাংলা প্রচারণার ভিডিও-ও ভূমিকা রেখেছে বলা যায়। লিটল বাংলাদেশ কেনসিংটনের বাঙালি কাউন্সিল মেম্বার শাহানা আরিফের সঙ্গে তাঁর বাংলায় কথোপকথন নজর কেড়েছে অনেকেরই। তাঁর সাবলীল কথা বলার ভঙ্গিতেই বোঝা যাচ্ছিল বাংলার ওপরও তাঁর দখল আছে বেশ। তবে মামদানির এই বাংলাপ্রীতি শুধু ভোট টানার জন্য ছিল না। এখানে রয়েছে তাঁর মায়ের অবদান। মামদানির মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিখ্যাত চিত্রপরিচালক মীরা নায়ার। সন্তান মেয়র হওয়ার পর নতুন করে আলোচনায় এই নির্মাতা।
শুরুর গল্প
১৯৫৭ সালের ১৫ অক্টোবর মীরা নায়ারের জন্ম ভারতের ওডিশায়। বেড়ে উঠেছেন ওডিশার রাজধানী ভুবনেশ্বরে। ভুবনেশ্বরের উত্তর-পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ হওয়ায় সেখানের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ বাঙালি। মীরা নায়ারের বন্ধুবান্ধব যেমন বাঙালি ছিল, তেমনি তিনি ছোটবেলায় গানও শিখেছেন এক বাঙালি শিক্ষকের কাছে। তিনি ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য, থিয়েটার ও সমাজবিজ্ঞানে গভীর আগ্রহী ছিলেন।