কুষ্টিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের সাইনবোর্ডে আগুন
Published: 23rd, November 2025 GMT
কুষ্টিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের আঞ্চলিক অফিসের সাইনবোর্ডে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) মধ্যরাতে সদর উপজেলার পিটিআই সড়ক এলাকায় অবস্থিত অফিসটিতে ঘটনাটি ঘটে। আগুনে ব্যাংকটির ভেতরে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরো পড়ুন:
নেত্রকোণার হাওর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যায় মামলা
বিপ্লব দাস নামে ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, “আমি ব্যাংকের ভেতরেই ছিলাম। রাত ১২টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। কিছুই টের পাইনি। সকালে উঠে কাজে ফিল্ডে চলে যাই। এরপর এক সহকর্মী ফোন করে জানান, অফিসের সাইনবোর্ডে আগুন দেওয়া হয়েছে।”
রবিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে পিটিআই সড়কে সরেজমিনে দেখা যায়, চারতলা ভবনের নিচতলায় অফিস। কিছু দূরেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়ি। অফিসের গ্রিলে টানানো সাইনবোর্ডের নিচের অংশে পোড়া দাগ রয়েছে।
কে বা কারা আগুন দিয়েছে এ সম্পর্কে কিছুই জানা নেই বলে জানান বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ারা। এরপর বেলা ১২টার দিকে গিয়ে অফিসে আর কাউকে পাওয়া যায়নি। সাইনবোর্ডও খুলে ফেলা হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। আগুনের তেমন কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র সাইনবোর্ডে পোড়া চিহ্ন রয়েছে। কেউ কিছুই বলতে পারেননি। ধারণা করছি, রাতে রাস্তায় টায়ারে আগুন দেওয়া হয়েছিল। সেই আগুনের আঁচ সাইনবোর্ডে লেগেছে।”
গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ভোরে কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের চৌরঙ্গী বাজার এলাকায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা অফিসে পেট্রল ঢেলে আগুন দেই সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থল থেকে এক বোতল পেট্রল জব্দ করে পুলিশ।
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন র স ইনব র ড অফ স র আগ ন দ
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের নতুন দাবি
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধ থামাতে নতুন দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নিরসন করতে ৩৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। এর পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে ফোন করে বলেছিলেন যে ‘আমরা যুদ্ধে যাব না।’
চলতি বছরের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে দুই দেশ। ট্রাম্প ৬০বারেরও বেশি বার দাবি করেছেন যে, এই যুদ্ধ থামানোর কৃতিত্ব তার। তবে ভারত যুদ্ধবিরতিতে ধারাবাহিকভাবে কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অস্বীকার করেছে।
বুধবার ট্রাম্প বলেছেন, “...আমি বিরোধ নিষ্পত্তিতে ভালো এবং আমি সবসময়ই ছিলাম। আমি বছরের পর বছর ধরে এ ব্যাপারে খুব ভালো করেছি, এমনকি এর আগেও। আমি বিভিন্ন যুদ্ধের কথা বলছিলাম... ভারত, পাকিস্তান... তারা এটি করতে যাচ্ছিল, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করেত যাচ্ছিল।”
সৌদি আরবের সফররত যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উপস্থিতিতে মার্কিন-সৌদি বিনিয়োগ ফোরামে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি দুই পারমাণবিক-সশস্ত্র প্রতিবেশীকে বলেছিলেন “তারা চাইলে যুদ্ধ করতে পারে, তবে আমি প্রতিটি দেশের উপর ৩৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আর কোনো বাণিজ্য হবে না তাদের। ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই তাকে এটা না করতে বলেছে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি এটা করতে যাচ্ছি। আমার কাছে ফিরে এসো, আমি এটা ধ্বংস করে দেব। কিন্তু আমি চাই না যে তোমরা একে অপরের দিকে পারমাণবিক অস্ত্র ছুড়ো, লাখ লাখ মানুষ মারা যাক এবং পারমাণবিক ধুলো লস অ্যাঞ্জেলেসের উপর ভেসে বেড়াত। আমি এটা করতেদিচ্ছি না।”
ট্রাম্প এরপর জানান, তিনি ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টকে বলেন যে (সংঘাত) নিষ্পত্তির জন্য ৩৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। তবে দুই দেশ যদি যুদ্ধ বন্ধ করে, ‘আমরা একটি সুন্দর বাণিজ্য চুক্তি করব।’ কারণ তারা বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার মাঝখানে রয়েছে।
ট্রাম্প এরপর দাবি করেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছ থেকে একটি ফোন পেয়েছিলাম। মোদি বলেছিলেন, আমাদের কাজ শেষ। আমি বলেছিলাম, আপনার কাজ শেষ? মোদি উত্তর দিয়েছিলেন: আমরা যুদ্ধে যাব না। আমি মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললাম, চলেন একটা চুক্তি করি।”
ঢাকা/শাহেদ