বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী জাকেরীনের নেতৃত্বে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা
Published: 24th, November 2025 GMT
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দেওয়ান জয়নুল জাকেরীনের নেতৃত্বে আজ সোমবার মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি তাঁর সমর্থকদের নিয়ে দুপুরে মোটরসাইকেল শোভায়াত্রা করেন।
মরমি সাধক হাছন রাজার প্রপৌত্র দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য। তিনি সুনামগঞ্জ পৌরসভার একবার এবং সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের টানা চারবারের সাবেক চেয়ারম্যান। সুনামগঞ্জ-৪ আসনে তিনি বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের তেঘরিয়া এলাকার হাছন রাজার বাড়িতে সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল নিয়ে জমায়েত হন। পরে মোটরসাইকেল শোভায়াত্রা বের করেন তাঁরা। এতে নেতৃত্ব দেন দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন। মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাটি শহরে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক ধরে সদর উপজেলার মদনপুর এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা–কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন।
এ সময় জয়নুল জাকেরীন বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতি করছেন। সুনামগঞ্জ-৩ আসনে একবার তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। দলের সংকটকালেও নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি এবার সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষের জয় নিশ্চিত করতে চান।
আরও পড়ুনদলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিএনপির এক পক্ষের বিক্ষোভ১৭ নভেম্বর ২০২৫দেওয়ার জয়নুল জাকেরীন আরও বলেন, ‘গত ১৭ বছর আমি নেতা–কর্মীদের পাশে ছিলাম। নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি গ্রামে এবং শহরে দলের নেতা-কর্মীরা আমার জন্য কাজ করছেন। আমি আশাবাদী দল এবার এই আসনে আমাকেই মনোনয়ন দেবে।’
সুনামগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে তিনটিতে বিএনপির দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। যে দুটিতে প্রার্থী ঘোষণা হয়নি, তার একটি সুনামগঞ্জ-৪ আসন। জেলা সদরের এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।
এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য নুরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য আবুল মনসুর মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ ৪ আসন ব এনপ র স ব ক স সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম গণসংযোগ করলেন বিএনপি নেতা ইসরাফিল খসরু
নির্বাচনী প্রচারণায় জমে উঠছে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর পতেঙ্গা) আসন। এই আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। তবে দলের মনোনয়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরে মাঠে সক্রিয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু। তিনি প্রতিদিনই এলাকায় সভা, সমাবেশ ও উঠোন বৈঠক করছেন। গতকাল শনিবার নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় গণসংযোগ শুরু করে বারিক বিল্ডিং মোড়ে সমাবেশ করেন ইসরাফিল খসরু।
বিগত ১৭ বছর বিএনপির কেউ মাঠ ছেড়ে যায়নি মন্তব্য করে ইসরাফিল খসরু বলেন, বিএনপি জনগণের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছে। তাই আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রশাসনে নিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনা হবে, বিচার বিভাগ স্বাধীন করা হবে এবং তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি জাতির পুনর্জাগরণের নীলনকশা। এই দফাগুলোর মাধ্যমে দেশে সুশাসন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের ১০টিতে প্রার্থী ঘোষণা হয়। চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এ আসনে দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী ইসরাফিল খসরু ও নগর বিএনপির সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান। ইসরাফিল খসরু বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সালের নির্বাচন পর্যন্ত পরপর চারবার এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আমীর খসরু মাহমুদ।
এবারের নির্বাচনে এক পরিবার থেকে একজনকে প্রার্থী করার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির। এর মধ্যেও দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরাফিল খসরু প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আশাবাদী। বাকিটা দলের নীতিনির্ধারকদের বিষয়।’