লক্ষ্মীপুরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ী আবুল বাশার বসুকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মান্দারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন মাহমুদকে পিস্তল ঠেকিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে। স্থানীয় ‘বাহিনী প্রধান’ হিসেবে পরিচিত বাহার উদ্দিন এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী পূর্ব বাজার এলাকায় বিকেবি ব্রিকস কার্যালয়ে এ হামলা হয়। 

আহত আবুল বাশার বসু বিকেবি ব্রিকস ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাশার ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী। তিনি মান্দারী বাজার এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত বাহার উদ্দিন মান্দারী ইউনিয়নের মটবি গ্রামের বাসিন্দা ও যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে, সংগঠনে তার পদের বিষয়ে জানা যায়নি।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, আবুল বাশার বসু মটবি এলাকায় এলজিইডির প্রায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দের একটি রাস্তা সংস্কারের কাজ করছেন। বাহার উদ্দিন তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু, আবুল বাশার বসু ওই টাকা দিতে রাজি হননি। চাঁদা না দেওয়ায় বাহার তার অনুসারীদের নিয়ে আবুল বাশার বসুর ইটভাটায় যান। সেখানে আবুল বাশার বসুর মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন বাশার। এ সময় বাহার ঘটনাস্থলে থাকা বিএনপি নেতা রিয়াজকে পিস্তল ঠেকিয়ে ভয় দেখান বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে তারা সেখান থেকে চলে যান। আহত আবুল বাশার বসুকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মান্দারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বাহার চাঁদাবাজ ও ইয়াবার কারবারি। সে মূলত আমাকে মারতে এসেছে এবং আমাকে পিস্তল ঠেকিয়েছে। আমার সামনে আবুল বাশার বসুকে মারধর করেছে। এ বিষয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নেবে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে বাহার উদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) অরূপ পাল বলেছেন, আহত ব্যক্তির মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে। তাকে হাসপাতালে পর্যেবেক্ষণে রাখা হয়েছে। 

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান বলেছেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মামলা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

ঢাকা/লিটন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব হ র উদ দ ন ব যবস ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

জোটে গেলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান প্রশ্নে রুল

নির্বাচনে নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে—গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত এমন বিধান প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ রুল দেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) অধ্যাদেশের ওই বিধান–সংবলিত ৯ অনুচ্ছেদ সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের (২৮, ৩৮ ও ৩৯ অনুচ্ছেদ) সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না—রুলে সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। আইনসচিব, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) বিবাদীদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

নতুন ওই বিধান যুক্ত করে ৩ নভেম্বর আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। আগে কোনো রাজনৈতিক দল জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে জোটের শরিক যেকোনো দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেত।

ওই বিধান–সংবলিত অধ্যাদেশের ৯ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন। আজ রিটের ওপর শুনানি হয়।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাহেদুল আজম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, জোট করলেও দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বিএনপি। দলটি নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে তাদের আপত্তির কথা তুলে ধরে। বিএনপি মনে করে, জোটগত নির্বাচন করলেও নিজস্ব প্রতীকে ভোট করে ছোট দলগুলোর নেতাদের জয় সহজ হবে না। এর ফলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সুফল পেয়ে যেতে পারে।

তবে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এই সংশোধনের পক্ষে। শেষ পর্যন্ত জোট করলেও নির্বাচনে অংশ নিতে হবে নিজ দলের প্রতীকে, শেষ পর্যন্ত এমন বিধান যুক্ত করেই ৩ নভেম্বর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।

আরও পড়ুনজোটেও নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি ০৪ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ