তুরাগ পাড়ে শুরু ৫ দিনের জোড় ইজতেমা
Published: 28th, November 2025 GMT
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার কার্যক্রম শরু হয়। আগামী ২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) আখেরি মোনাজাতের মধ্য ইজতেমার সমাপ্তি হবে।
তাবলিগ জামাত দুইভাগে বিভক্ত। এক ভাগে ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারী, অন্য ভাগে শুরায়ী নেজাম বা বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের অনুসারী। এখন যারা জোড় ইজতেমা শুরু করেছেন তারা শুরায়ী নেজাম।
আরো পড়ুন: টঙ্গীর তুরাগতীরে ৫ দিনের জোড় ইজতেমা শুরু শুক্রবার
তাবলিগ জামাতের সাথীরা জানান, প্রতিবছর ইজতেমার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে এই জোড় অনুষ্ঠিত হয়। এখানে তাবলীগের সাথীরা পুরো বছরের কাজের কারগুজারি পেশ করেন এবং মুরুব্বিদের থেকে রাহবারী নেওয়ার সুযোগ পান। এ উপলক্ষে দেশ-বিদেশের শুরায়ী নেজামের প্রবীণ মুরুব্বিগণ ইতোমধ্যেই টঙ্গীতে সমবেত হয়েছেন। জোড় ইজতেমায় কেবল ৩ চিল্লার সাথী এবং কমপক্ষে ১ চিল্লা সময় লাগানো আলেমরা অংশ নিতে পারেন। ফলে জোড়ের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও গুরুত্ব বজায় থাকে।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শুরায়ী নেজামের গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, “আজ ফজরে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে জোড় ইজতেমা। পাঁচ দিনের জোড় তাবলিগ জামাতের সোনালী ঐতিহ্য। দাওয়াতের কাজের চেতনার স্পন্দন জাগানো একটি বিশেষ আয়োজন। এখান থেকেই সারা বছরের কাজের সঠিক নকশা ও দিকনির্দেশনা নির্ধারিত হয়। দাঈদের আমল, দাওয়াত, তরতিব এবং দেশের প্রেক্ষাপটে করণীয়-নিষ্করণীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান উপস্থাপন করবেন মুরুব্বিরা।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত বল গ জ ম ত জ ড় ইজত ম
এছাড়াও পড়ুন:
জয়পুরহাটে বয়সের কারণে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদনে জটিলতা
জয়পুরহাটে বয়সের জটিলতায় অনেকেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে অনলাইন ভর্তির আবেদন করতে পারছে না। নীতিমালা অনুযায়ী, আবেদন করতে হলে বয়স ১১ থেকে ১২ বছরের মধ্যে থাকতে হয়। কিন্তু অনেকের বয়স ১২ বছর পেরিয়ে যাওয়ায় অনলাইন সিস্টেম ফরম গ্রহণ করছে না। এতে অভিভাবকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। অনলাইনে ভর্তি আবেদনের শেষ তারিখ আগামী ৫ ডিসেম্বর।
অভিভাবকেরা দ্রুত বয়সসীমা শিথিল বা বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, শিশুরা কোনো দোষ করেনি। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন অনিশ্চয়তা মেনে নেওয়া যায় না।
জয়পুরহাট শহরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক অভিভাবক মুঠোফোন ও সাইবার ক্যাফেতে ভিড় করছেন। কেউ কেউ সন্তানের ভর্তির আবেদন করতে পারছেন না, আবার কেউ বারবার চেষ্টা করেও সিস্টেম থেকে ‘অযোগ্য’ বার্তা পাচ্ছেন।
বয়সের কারণে গত কয়েক দিনে অনলাইনে দেড় শ শিক্ষার্থীর ভর্তির আবেদন করতে পারেননি। -সাদ্দাম হোসেন, কম্পিউটার কম্পোজ ও ফটোস্ট্যাটের দোকানদারআক্কেলপুর পৌর শহরের রেলগেট এলাকার কম্পিউটার কম্পোজ ও ফটোস্ট্যাটের দোকানদার সাদ্দাম হোসেন বলেন, বয়সের কারণে গত কয়েক দিনে অনলাইনে দেড় শ শিক্ষার্থীর ভর্তির আবেদন করতে পারেননি। অভিভাবকদের অভিযোগ, বয়স মাত্র কয়েক মাস বা কয়েক দিন বেশি হওয়ায় ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়া অযৌক্তিক। আক্কেলপুর পৌর শহরের বাসিন্দা ইলিয়াছ আহমেদ কাফি বলেন, ‘আমার মেয়ের জন্মসনদে ৮ নভেম্বর ২০১৩ সাল উল্লেখ আছে। বয়স বেশি হওয়ার কারণে অনলাইনে ভর্তির আবেদন গ্রহণ হচ্ছে না।’
আক্কেলপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল ফজল মো. রায়হান বলেন, ‘বয়সের কারণে ১২ জন শিক্ষার্থী ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন গ্রহণ হয়নি। বয়স সংশোধনের জন্য ইউএনও স্যারের কাছে আবেদন করেছি।’
জয়পুরহাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান তালুকদার বলেন, বয়সের জটিলতায় তাঁদের বিদ্যালয়ের অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারেনি। এই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা উচ্চ আদালতে রিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বয়সের কারণে অনেক শিক্ষার্থী অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে পারেনি বলে স্বীকার করেন জয়পুরহাট জেল মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালা শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রণয়ন করে দিয়েছে। অনলাইন সিস্টেম সেই নীতিমালার ভিত্তিতেই চলছে। এখানে স্থানীয়ভাবে কিছু করার সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
জয়পুরহাট সদর ইউএনও রাশেদুল ইসলাম বলেন, বয়সের জটিলতার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেনি বলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা তাঁকে জানিয়েছেন। অভিভাবকেরা ইউপি কার্যালয়ে গিয়ে বয়স সংশোধন করতে চাইছেন।