প্রেম নিয়ে কখনো টুঁ-শব্দটি করেননি ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। বিয়ের প্রসঙ্গ সামনে এলে নানাভাবে তা এড়িয়ে গিয়েছেন ৪১ বছর বয়েসি এই অভিনেত্রী। এবার যুক্তরাষ্ট্রে বেড়াতে গিয়ে প্রিয় মানুষের গলায় মালা পরালেন এই অভিনেত্রী। তার বরের নাম সুজিত বসু।  

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে উচ্ছ্বসিত তনুশ্রী চক্রবর্তী বলেন, “সবটা স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। এখনো ঘোর কাটেনি। বিশ্বাস হয়েও যেন হচ্ছে না! রাতারাতি ও সবটা ব্যবস্থা করে ফেলল।” 

আরো পড়ুন:

হোয়াইট হাউজের কাছে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে গুলি

ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই: ট্রাম্প

সুজিত বসু তনুশ্রীর অনেক দিনের পরিচিত। তবে তাদের ভালোবাসার বয়স মাত্র পাঁচ মাস। পাত্র সুজিত বসু আইটি ইঞ্জিনিয়ার। আটলান্টায় বসবাস করেন। গত ২৮ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। প্রেম অল্প দিনের সম্পর্ক গভীর। তনুশ্রীর ভাষায়—“ভালোবাসার বয়স কম হলে কী হবে, আমাদের প্রেম গভীর।” 

প্রেম গভীর হওয়ায় এ জুটির সাতপাকে বাঁধা পড়ার ভাবনাচিন্তাও চলছিল। এরই মাঝে তনুশ্রী ঠিক করেন, হবু বরের সঙ্গে আরো একবার বিদেশ ঘুরে দেখবেন। সেই ভাবনা থেকেই মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমান তনুশ্রী। তার ভাষায়, “হঠাৎ সুজিত বলল, ‘বিয়েটা সেরে ফেলি?” ফলে তনুশ্রীও ‘হ্যাঁ-না’ বলার আগেই আয়োজন সম্পন্ন করে ফেলেন সুজিত। তনুশ্রী বলেন, “রাতারাতি সব সেরে ফেলল। এমনকি বিয়ের লেহেঙ্গাও চলে এলো। সঙ্গে মানানসই গহনা। পুরোটাই যেন সিনেমার মতো।”  

ভিডিও কলে পরিবারের সবাইকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করেন তনুশ্রী-সুজিত। আর এ দৃশ্য দেখে কেঁদে ফেলেন তনুশ্রীর মা। তবে কলকাতায় আরেক দফা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হবে। এ বিষয়ে তনুশ্রী বলেন, “কলকাতাতেও আরো একপ্রস্ত বিয়ে হবে হিন্দু রীতিনীতি মেনে। আপাতত সে রকম ইচ্ছে আছে।” 

ফ্লোরিডায় তারা আরো কয়েক দিন কাটাবেন। তারপর ঠিক করবেন, ভারতে কবে ফিরবেন। যদিও ফেরার টিকিট কাটা আছে তার। বিনোদন দুনিয়াকে বিদায় জানাবেন কি না? এমন প্রশ্ন রাখা হলে তনুশ্রী বলেন, “একেবারে তা না। কাজ বন্ধ করব না। সুজিত আমার সঙ্গে কলকাতায় ফিরে আসতে পারে।” যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নেবেন কি না জানতে চাইলে তনুশ্রী বলেন, “এটা বিবেচনাধীন, যেখানেই থাকব আমরা একসঙ্গে থাকব।” 

ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী ২০১০ সালে ‘বন্ধু এসো তুমি’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। এরপর ‘খাদ’, ‘বুনো হাঁস’, ‘অভিশপ্ত নাইটি’, ‘কয়েকটি মেয়ের গল্প’, বেডরুম’-এর মতো অনেক দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ফুটবলে ম্যাচে মারামারির ঘটনায় ১৭ লাল কার্ড

বলিভিয়ার বার্ষিক কাপ প্রতিযোগিতা কোপা বলিভিয়া। দেশটির শীর্ষ লিগের ১৬টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। গত পরশু কোয়ার্টার ফাইনাল ফিরতি লেগে জেসুস বারমুদেজ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক হয়ে ব্লুমিংয়ের মুখোমুখি হয় রিয়াল অরুরো। প্রথম লেগ ২-১ গোলে জেতায় ফিরতি লেগ ২-২ গোলে ড্র করেও দুই লেগ মিলিয়ে শ্রেয়তর গোল ব্যবধানে সেমিফাইনালে ওঠে ব্লুমিং। কিন্তু এই ম্যাচের ফল ছাপিয়ে আলোচনায় দুই দলের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের মারামারির ঘটনা এবং ১৭টি লাল কার্ড!

বলিভিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘এল পোতোসি’ জানিয়েছে, ফিরতি লেগের ম্যাচ শেষে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। স্বাগতিক দল রিয়াল অরুরোর খেলোয়াড় এবং স্টাফরা মারামারি শুরু করেন। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে।

অফিশিয়াল সম্প্রচারকদের ফুটেজ থেকে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, রিয়াল অরুরোর খেলোয়াড় সেবাস্তিয়ান জেবায়োস, হুলিও ভিলা ও কোচ মার্সেলো রোবলেদো ম্যাচ শেষে পাশের অ্যাথলেটিক ট্র্যাকে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড় ও স্টাফদের ওপর চড়াও হন। জেবায়োসকে ব্লুমিংয়ের খেলোয়াড়েরা শান্ত করার চেষ্টা করেন। কোচ রোবলেদো বলিভিয়া জাতীয় দলের এক অফিশিয়ালের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান। ভিলা ঘুষি মারেন ব্লুমিংয়ের খেলোয়াড়কে।

মারামারি লাগার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। এল পোতোসির অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফিরতি লেগের ফল মেনে নিতে পারেনি রিয়াল অরুরোর খেলোয়াড়েরা। মেজাজ হারিয়ে তারা এই কাণ্ড ঘটান।

আরও পড়ুনকাতারে ছোটদের বিশ্বকাপ জিতল পর্তুগাল, রোনালদোর অভিনন্দন২ ঘণ্টা আগে

দুই পক্ষকে শান্ত করতে ২০ জন পুলিশ মাঠে ঢুকে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেন। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’ জানিয়েছে, অফিশিয়াল ম্যাচ প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্লুমিংয়ের ৭ জন খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখান রেফারি। রিয়াল অরুরোর ৪ জন খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখানো হয়। দুই দলের কোচিং স্টাফ থেকে আরও ৬ জনকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। সব মিলিয়ে মোট ১৭ জন লাল কার্ড দেখেন।

মিরর আরও জানিয়েছে, ব্লুমিংয়ের অন্তত ছয়জন খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখার নিষেধাজ্ঞার কারণে এবারের কাপ প্রতিযোগিতায় দলটির পরবর্তী ম্যাচগুলোয় খেলতে পারবেন না। তবে রেফারি রেনান কাস্তিয়ো ম্যাচের সম্পূরক প্রতিবেদন বলিভিয়ার স্পোর্টস ডিসিপ্লিনারি ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর পর শাস্তি আরও বাড়তে পারে। বলিভিয়ান অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘ভিশন৩৬০’ জানিয়েছে, রিয়াল অরুরোর কোচ রোবলেদো কাঁধে আঘাত পেয়েছেন এবং তাঁকে হাসপাতালেও যেতে হয়।

আরও পড়ুনফিফার ‘সাপও মরল, লাঠিও ভাঙল না’ নীতি—রোনালদোর শাস্তি স্থগিতের আসল গল্প৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ