গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তরুণী, চার দিন পর ঘরের তালা খুলে মিলল ঝুলন্ত মরদেহ
Published: 28th, November 2025 GMT
পরিবারের সঙ্গে রাজধানীতে থাকতেন সীমা আক্তার (১৯)। গত রোববার (২৩ নভেম্বর) তিনি চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে বাড়িতে যান। সেখানে পরিবারের অন্য কেউ থাকেন না। বেশির ভাগ সময় বসতঘরটি তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকত। সম্প্রতি ঘরটি থেকে দুর্গন্ধ বের হলে প্রতিবেশীরা সীমার মাকে খবর পাঠান। গ্রামে ফিরে তালা খুলে ঘরে ঢুকেই সীমার অর্ধগলিত অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ খুঁজে পান মা।
সীমা আক্তার গোবিন্দপুর গ্রামের শফিক তপাদারের মেয়ে। বাবার ব্যবসার সুবাদে সীমা সপরিবার ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার মা–বাবাকে বেড়ানোর কথা জানিয়ে সীমা নিজেদের গ্রামের বাড়ি গোবিন্দপুরে যান। ঘরটির তালা খুলে তিনি ভেতরে যাওয়ার পর আশপাশের লোকজন আর তাঁকে দেখেননি। ঘরটির বাইরের দরজায় তালা দেখে প্রতিবেশীরা ধারণা করেন, ওই তরুণী আবার ঢাকায় পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন।
গতকাল দুপুরে প্রতিবেশীরা আঁচ করেন, ওই ঘর থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। তাঁরা বিষয়টি মুঠোফোনে জানালে সীমার মা গতকাল বিকেলে বাড়িটিতে ফেরেন। একপর্যায়ে ওই ঘরের তালা খুলে ভেতরে মরদেহটি দেখতে পান। ওই সময় মরদেহটি ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। পরে গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
সীমা বেশ কয়েক দিন ধরে বিষণ্নতায় ভুগছিলেন বলে জানান তাঁর বাবা শফিক তপাদার। তিনি বলেন, সীমা সারাক্ষণ চুপচাপ থাকতেন। তবে কী কারণে চুপচাপ থাকতেন, তা পরিবারের কাউকে কখনো জানাননি। সীমা আত্মহত্যা করেছেন, নাকি কেউ তাঁকে হত্যা করে লাশটি ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছেন, তা আপাতত বলতে পারছেন না।
ঘটনাটি আত্মহত্যা, নাকি হত্যাময়নাতদন্তের পর পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছেন মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব র র থ কত ন গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তরুণী, চার দিন পর ঘরের তালা খুলে মিলল ঝুলন্ত মরদেহ
পরিবারের সঙ্গে রাজধানীতে থাকতেন সীমা আক্তার (১৯)। গত রোববার (২৩ নভেম্বর) তিনি চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে বাড়িতে যান। সেখানে পরিবারের অন্য কেউ থাকেন না। বেশির ভাগ সময় বসতঘরটি তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকত। সম্প্রতি ঘরটি থেকে দুর্গন্ধ বের হলে প্রতিবেশীরা সীমার মাকে খবর পাঠান। গ্রামে ফিরে তালা খুলে ঘরে ঢুকেই সীমার অর্ধগলিত অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ খুঁজে পান মা।
সীমা আক্তার গোবিন্দপুর গ্রামের শফিক তপাদারের মেয়ে। বাবার ব্যবসার সুবাদে সীমা সপরিবার ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার মা–বাবাকে বেড়ানোর কথা জানিয়ে সীমা নিজেদের গ্রামের বাড়ি গোবিন্দপুরে যান। ঘরটির তালা খুলে তিনি ভেতরে যাওয়ার পর আশপাশের লোকজন আর তাঁকে দেখেননি। ঘরটির বাইরের দরজায় তালা দেখে প্রতিবেশীরা ধারণা করেন, ওই তরুণী আবার ঢাকায় পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন।
গতকাল দুপুরে প্রতিবেশীরা আঁচ করেন, ওই ঘর থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। তাঁরা বিষয়টি মুঠোফোনে জানালে সীমার মা গতকাল বিকেলে বাড়িটিতে ফেরেন। একপর্যায়ে ওই ঘরের তালা খুলে ভেতরে মরদেহটি দেখতে পান। ওই সময় মরদেহটি ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। পরে গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
সীমা বেশ কয়েক দিন ধরে বিষণ্নতায় ভুগছিলেন বলে জানান তাঁর বাবা শফিক তপাদার। তিনি বলেন, সীমা সারাক্ষণ চুপচাপ থাকতেন। তবে কী কারণে চুপচাপ থাকতেন, তা পরিবারের কাউকে কখনো জানাননি। সীমা আত্মহত্যা করেছেন, নাকি কেউ তাঁকে হত্যা করে লাশটি ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছেন, তা আপাতত বলতে পারছেন না।
ঘটনাটি আত্মহত্যা, নাকি হত্যাময়নাতদন্তের পর পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছেন মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সালেহ আহাম্মদ। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের তরুণীর মরদেহটি গতকাল রাতে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।