নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা দেশের অগ্রগতির অন্তরায়
Published: 28th, November 2025 GMT
১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকায় নারীদের এক সম্মেলনে ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালনের দাবি উত্থাপন করা হয়। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনা মানবাধিকার সম্মেলনে দিবসটিকে স্বীকৃতি দিয়ে ঘোষণা করা হয়, ‘নারীর অধিকার মানবাধিকার, নারীর প্রতি সহিংসতা মানবাধিকার লঙ্ঘন’।
২০০০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২৫ নভেম্বরকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পর্যন্ত ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ বা ১৬ দিনের প্রচার অভিযান। সেই থেকে নানা আয়োজনে, প্রতিবাদ-সমাবেশে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে প্রতিরোধ পক্ষের কর্মসূচি।
এ বছর বৈশ্বিকভাবে পক্ষ পালনের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে, ইউনাইট টু এন্ড ডিজিটাল ভায়োলেন্স অ্যাগাইনেস্ট অল উইম্যান অ্যান্ড গার্লস। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে দেশের সার্বিক নারী নির্যাতনের পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘সাইবার সহিংসতাসহ নারী ও কন্যার প্রতি সকল প্রকার নির্যাতনকে “না” বলুন, নারী ও কন্যার অগ্রসরমাণতা নিশ্চিত করুন’।
লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা: নারী-পুরুষের অসম সম্পর্কবাংলাদেশ মহিলা পরিষদ পরিচালিত ‘নারী ও কন্যা নির্যাতন চিত্র-২০২৪’ শীর্ষক সমীক্ষায় দেখা গেছে, কন্যাশিশুদের ওপর যৌন সহিংসতার হার উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে প্রায়ই, বাড়ছে গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের মাধ্যমে নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং সফল উদ্যোক্তা হিসেবে সমাজে নেতৃত্বের জায়গায় আসার সুযোগ সৃষ্টি হলেও অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, এটি এখন নারী ও কন্যাদের জন্য আরেকটি সহিংসতার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। নারীর প্রতি বিরাজমান সামাজিক বৈষম্য আর পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার এ এক আধুনিক রূপ।
বাংলাদেশের সমাজ মূলত পুরুষ আধিপত্যবাদী সমাজ। এই সমাজের কাঠামো-পদ্ধতি, রীতিনীতি-প্রথা পুরুষ আধিপত্যবাদী সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত এবং নিয়ন্ত্রিত। ব্যক্তি-পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র প্রধানত এই সংস্কৃতিরই ধারক এবং বাহক। নারীর অবস্থান তাই এই সমাজে পুরুষের অধীন। শুধু লিঙ্গীয় পরিচয়ের কারণে বিশেষত নারী ও কন্যারা আমাদের সমাজে যৌন নির্যাতনের শিকার হন। এটি মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন এবং সমাজে বিদ্যমান লিঙ্গবৈষম্যের প্রতিফলন। বিবিএসের তথ্যমতে, প্রতি তিনজনের মধ্যে দুজন নারী কখনোই নির্যাতনের কথা কারো কাছে প্রকাশ করেন না, মেনে চলেন নীরবতার সংস্কৃতি।
নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার আরেকটি কারণ হচ্ছে, আমাদের সমাজের কিছু ক্ষতিকর প্রথা। যেমন যৌতুক, বাল্যবিবাহ, জোরপূর্বক বিবাহ পারিবারিক সহিংসতার বড় উৎস। পুরুষের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা নারীর প্রতি সহিংসতার সুযোগ উন্মুক্ত করে দেয়। সম্পদ-সম্পত্তিতে অসম অধিকার অথবা অধিকারহীনতা এ ক্ষেত্রে একটি বড় প্রভাবকের কাজ করে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বৈষম্য, মজুরিবৈষম্য নারী নির্যাতনের পথকে প্রশস্ত করে।
নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব এবং স্ত্রীর ওপর স্বামীর অধিকারের প্রতি সনাতনী বিশ্বাস মেনে নেওয়ার সংস্কৃতিতে নারীরা অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন। মানুষ হিসেবে পৃথক সত্তার বিকাশ ঘটে না। শিক্ষা-স্বাস্থ্য-পুষ্টি-কর্মসংস্থান-আত্মমর্যাদায় নারীরা থাকেন পিছিয়ে। নিষ্ঠুর সহিংসতার শিকার হলেও অধিকাংশ নারী প্রতিকারের পথ খোঁজেন না। বিবিএস বলছে, শহরের নারীদের ৫১ শতাংশ এবং গ্রামীণ নারীদের ৪৮ শতাংশ জানেন কোথায় গেলে সহিংসতার ঘটনার রিপোর্ট করা যাবে। কিন্তু রিপোর্ট করেন কতজন? তথ্য বলছে, দেশে সহিংসতার শিকার নারীদের প্রায় ৬৪ শতাংশ মুখ বুজে নির্যাতন সহ্য করেন।
বিভিন্ন জরিপে দেখা যায়, নারী নির্যাতনের ধরন পাল্টেছে, দেখা দিয়েছে নতুন উপসর্গ। সারা বিশ্বে বাড়ছে নারীবিদ্বেষী প্রচার-প্রচারণা। চলছে পশ্চাৎপদ রক্ষণশীল কায়দায় নারীদের পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পিত অপপ্রয়াস। দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে সাইবার সহিংসতা। নানা ডিভাইসের মাধ্যমে সংবেদনশীল ব্যক্তিগত ছবি বা অযাচিত অন্তরঙ্গ মেসেজের মাধ্যমে বাড়ছে নারী নির্যাতন।
বিবিএস এবং ইউএনএফপিএ প্রকাশিত জরিপে প্রথমবারের মতো প্রযুক্তিনির্ভর সহিংসতার তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে এ ধরনের সহিংসতা। ৮.
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন তাঁর আইডেন্টটি অ্যান্ড ভায়োলেন্স গ্রন্থে সহিংসতার ক্রম বিস্তারের রূপ প্রকাশ করতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমরা ক্রমেই ধর্ম আর সংস্কৃতির নামে নিজেদের বিভক্ত করে ফেলছি। সমাজে ঘৃণা, বিদ্বেষ আর সহিংসতার চাষ হচ্ছে। আর বলাই বাহুল্য, এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে সমাজের দুর্বলতর, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ওপর, বিশেষত নারী জনগোষ্ঠীর ওপর। একটা বিষয় অবশ্যই আমাদের বিবেচনা এবং সচেতনতার মধ্যে থাকা বাঞ্ছনীয় যে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্যপূর্ণ অসম ক্ষমতা সম্পর্ক নারীর প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি, অসম্মানজনক আচরণ এবং নানা ধরনের সহিংসতার জন্ম দেয়। এর ফল শুধু নারীরা ভোগ করেন না, ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র।
বাংলাদেশের প্রচলিত অনেক আইনে এবং নীতিমালায় নারীর অধিকার, নারী-পুরুষের সমতার বিষয় থাকলেও এসব আইন-নীতিমালার বাস্তবায়ন উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সংবিধান বৈষম্যহীনতা এবং সমতার নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত হলেও নানাভাবে এই নীতি ক্ষতিগ্রস্ত এবং বাধাগ্রস্ত। বাংলাদেশের সংবিধানের বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে নাগরিক হিসেবে নারীর জন্য আইনি সমতা, সম্পত্তির অধিকার, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সমান সুযোগ, রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনে অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করা।
সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা, নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ-সিডও, বেইজিং ঘোষণা এবং কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের বৈশ্বিক পর্যায়ে অঙ্গীকার থাকলেও কার্যত এ দেশের নাগরিক হিসেবে নারীদের জীবনে এসব অঙ্গীকারের প্রতিফলন অত্যন্ত সীমিত।
নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা: দেশের সার্বিক অগ্রগতির অন্তরায়সহিংসতা শুধু নারীর অগ্রগতিকেই রুদ্ধ করে না, সামগ্রিকভাবে সমাজ-রাষ্ট্রের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে। দেশের নারী জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ যদি দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে, শিক্ষাক্ষেত্রে, চাকরিক্ষেত্রে যদি পিছিয়ে পড়ে যায়, জনজীবনে ও রাজনীতিতে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ যদি সীমিত হয়ে যায়, তাহলে শুধু নারী জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার অবসান ঘটে না; সমাজে বাড়ে অস্থিরতা, অনাচার, সাম্প্রদায়িক এবং ব্যক্তিগত ঘৃণা-বিদ্বেষ, বাড়ে নানা সামাজিক কুপ্রথা।
বিবিএস ও ইউনিসেফের এক জরিপের ফলাফলে উঠে আসে বাল্যবিবাহের এক উদ্বেগজনক চিত্র। এ দেশের প্রতি দুজন মেয়ের মধ্যে একজনের বাল্য বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। দশম শ্রেণিতে ওঠার আগেই অর্ধেক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়ে যায় আর তাদের বেশির ভাগই আর স্কুলে ফেরে না। অল্প বয়সে মা হওয়ায় তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দেয়, জন্ম হয় অপুষ্টি শিশুর। পরিণতিতে বাড়ে অপুষ্টি শ্রমশক্তি। এভাবেই নারী ও কন্যার প্রতি অন্যায্যতা আর বহুমাত্রিক নির্যাতন সামগ্রিকভাবে দেশের অগ্রগতিকেই রুদ্ধ করে।
আতঙ্কজনক বিষয় হচ্ছে বাড়ছে ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যা, বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। বিচারহীনতা অথবা বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণে অপরাধীরা হয়ে ওঠে আরও বেপরোয়া। বাড়ে ঘটনার সংখ্যা এবং ভয়াবহতা। আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, কম বয়সী মেয়েরা যেমন ধর্ষণের মতো বর্বর সহিংসতাসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হচ্ছে, তেমনি এসব অপরাধের সঙ্গে কিশোর তরুণেরাও জড়িত হয়ে যাচ্ছে।
বৈশ্বিক এবং জাতীয় প্রেক্ষাপটবৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ৭৩৬ মিলিয়ন নারী জীবনে অন্তত একবার তাদের খুব কাছের সঙ্গী দ্বারা অথবা সঙ্গী নন এমন কারও দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর প্রভাব তাদের শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হতাশা-দুশ্চিন্তা, অযাচিত সন্তান ধারণ তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, নারী নির্যাতনের মতো একটি ভয়াবহ অপরাধের ঘটনার রিপোর্ট হয় সবচেয়ে কম।
সারা বিশ্বের এই সাধারণ চিত্রের প্রতিফলন আমরা বাংলাদেশের নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রেও দেখতে পাই। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক প্রকাশিত ২০২৪ সালের নারী নির্যাতন চিত্র আমাদের উদ্বেগজনক বার্তা দেয়। বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৭৬ শতাংশ নারী তাদের খুব কাছের মানুষ দ্বারা প্রধানত স্বামীর দ্বারা জীবনের কোনো না কোনো সময় শারীরিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, আর্থিক নির্যাতন, মানসিক নির্যাতন অথবা নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ধরন হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ বা দমনমূলক আচরণ। দেখা গেছে, ১৫-১৯ বছর বয়সী বিবাহিত মেয়েরা সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদে সংরক্ষিত ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর, ২০২৫ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে শুধু ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা ও ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যার ঘটনাই ঘটেছে ৭১৩টি। আমরা এ পরিস্থিতির অবসান চাই। আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সহিংসতামুক্ত মানবিক ও শান্তিপূর্ণ পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র চাই। নারীর প্রতি সহিংসতা কেবল নারীর বিষয় নয়, এটি অনিবার্যও নয়। এটি একটি অন্যতম সামাজিক ইস্যু, উন্নয়ন ইস্যু, নাগরিক অধিকার ইস্যু, মানবাধিকারের ইস্যু। এই সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার যোগ্য।
তাই, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আহ্বান—আসুন, আমরা সাইবার সহিংসতাসহ সব ধরনের নারী নির্যাতনকে ‘না’ বলি। সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত নারী ও কন্যাকে সম্মান দিই, তাদের পাশে দাঁড়াই। ঘৃণা-বিদ্বেষ আর বিভেদের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই। সহিংসতায় ভুক্তভোগী নারী ও কন্যার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানে রাষ্ট্রকে দায়বদ্ধ করি। আসুন, আমরা আমাদের সন্তানদের মানুষ হিসেবে বড় করে তুলি, নারী-পুরুষের সম-অধিকার ও সমমর্যাদার কথা বলি। আসুন, আমরা নিরাপদ প্রযুক্তি, সহিংসতামুক্ত ন্যায্যতাবিস্তৃত প্রযুক্তিব্যবস্থা গড়ে তুলি।
আসুন, আমরা বৈষম্য-অসমতা আর সহিংসতার বিরুদ্ধে নারী-পুরুষ, তরুণ প্রজন্ম মিলে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি।
রেখা সাহা লিগ্যাল এইড সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম নব ধ ক র জনগ ষ ঠ র ধরন র স আম দ র র জন য ন র সহ অন য য উদ ব গ প রক শ ব ব এস সবচ য় র ওপর র ঘটন র অবস
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় বাসের ধাক্কায় দুজনের মৃত্যু
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার হুগুলিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ইট ভাঙার ট্রাক্টরে বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন—কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ককড়িকান্দি গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৪৫) এবং একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হুগুলিয়া মার্কাজ মসজিদ এলাকায় মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ইট ভাঙার ট্রাক্টরকে পিছন দিক থেকে ধাক্কা দেয় স্টার লাইন পরিবহনের একটি বাস। ট্রাক্টরটি সড়কের পাশে উল্টে পড়ে। ঘটনাস্থলেই ট্রাক্টরে থাকা দুজনের মৃত্যু হয়।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেছেন, “নিহত একজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। বাসটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে। মরদেহ দুটি পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।”
ঢাকা/রুবেল/রফিক