কক্সবাজারে তিন দিনের বার্নিং ক্র্যাব ফেস্টিভ্যাল
Published: 11th, January 2025 GMT
ছবি: সংগৃহীত
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের চালে নতুন করে শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি ভারতের চাল, কানাডীয় সারসহ কিছু কৃষিপণ্য আমদানির ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করতে পারেন। এর অর্থ হলো এই দুই দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্যচুক্তি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এই আলোচনা চলতে থাকবে। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিমন্ত্রী ব্রুক রোলিন্স, কৃষিপ্রধান রাজ্যগুলোর আইনপ্রণেতা ও কৃষকদের সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠকে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে কৃষকেরা তাঁকে সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওই বৈঠকে মার্কিন কৃষকদের জন্য ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
ট্রাম্প বলেন, আমদানির কারণে দেশের উৎপাদকেরা চাপে পড়ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদকদের রক্ষা করতে তিনি জোরালোভাবে শুল্ক (ট্যারিফ) আরোপ করে এই সমস্যা মোকাবিলা করতে চান।
মার্কিন কৃষকদের মতে, সস্তায় আমদানি করা পণ্যের কারণে বাজারে প্রতিযোগিতায় তাদের টিকে থাকাটা কঠিন হয়ে উঠেছে। কিছু কৃষক পণ্যের দাম কমে যাওয়ার জন্য আমদানিকে দায়ী করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, ভারত ও থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলো তাদের ফসলের দাম কৃত্রিমভাবে কমিয়ে দিচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আশ্বাস দেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভারতীয় চালের ‘ডাম্পিং’-এর বিষয়টি ‘দেখে নেবেন’।
ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তাদের চাল ডাম্পিং করা উচিত নয়। আমি সেটা শুনেছি, অন্যদের কাছ থেকেও শুনেছি। আপনারা এটা করতে পারেন না।’
এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের দিকে ফিরে জানতে চান, ‘ভারতকে কেন এটা (যুক্তরাষ্ট্রে চাল ‘ডাম্পিং’) করার অনুমতি দেওয়া হয়। তাদের তো শুল্ক দিতে হবে। চালের ওপর তাদের কি কোনো ছাড় আছে?’
বেসেন্ট মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘না, স্যার। আমরা এখনো তাদের বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে কাজ করছি।’
ট্রাম্প তখন যোগ দেন, ‘তাদের (চাল) ডাম্পিং করা উচিত নয়।...তারা এটা করতে পারে না।’
রিপাবলিকান পার্টির এই প্রেসিডেন্ট একই সঙ্গে ইঙ্গিত দেন, কানাডা থেকে আমদানি করা সারের ওপরও তিনি শুল্ক আরোপ করতে পারেন। এটা এ জন্য করবেন, যাতে দেশে সারের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়।
ট্রাম্প বলেন, ‘সারের একটা বড় অংশ কানাডা থেকে আসে। তাই প্রয়োজনে আমরা সেগুলোর ওপর খুব কঠোর শুল্ক আরোপ করব। কারণ, আপনারা এভাবেই এখানকার উৎপাদনকে শক্তিশালী করতে চান। আমরা এটা এখানেই করতে পারি। আমরা সবাই এটা এখানেই করতে পারি।’
ট্রাম্প চলতি বছরের শুরুর দিকে ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। এর মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল কেনার শাস্তি হিসেবে ২৫ শতাংশ শুল্ক অন্তর্ভুক্ত ছিল।