ঢাবিতে সড়কের বেহাল দশা, মেরামতে প্রশাসনকে স্মারকলিপি শিক্ষার্থীদের
Published: 22nd, January 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল থেকে মধুর ক্যান্টিন পর্যন্ত সড়কটি গত কয়েকবছর থেকে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাস্তাটি অবিলম্বে মেরামতের দাবিতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, পুরো রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা। বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তাটি ব্যবহার অযোগ্য এবং ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত এ সড়কে বিজয় একাত্তর হল, কবি জসীমউদ্দীন হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল, মাস্টার দা সূর্যসেন হল, আইবিএ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, কলা অনুষদের হাজারো শিক্ষার্থী চলাচলে ভোগান্তির শিকার হন।
তারা দাবি জানান, উল্লেখিত রাস্তা দ্রুত মেরামতের পদক্ষেপ নিতে হবে। বৃষ্টির মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই কাজ শেষ করার যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। সড়ক মেরামতের কাজে টেকসই ও মানসম্মত উপকরণ ব্যবহার করতে হবে, যেন বারবার মেরামতের প্রয়োজন না হয়। এতে পানি নিষ্কাশনের যথার্থ ব্যবস্থা রাখতে হবে।
স্মারকলিপি প্রদানকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আছেন সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র আব্দুল কাদের, অর্থনীতি বিভাগের নাহিয়ান ফারুক, আরবি বিভাগের আবু সাঈদ, সুলতানা, সাদিয়া ইয়াসমিন ঐতিহ্য ও লিমন হাসান প্রমুখ।
আব্দুল কাদের বলেন, রাস্তার বেহাল দশার দরুণ শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে নানারকম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ নিরসনে রাস্তা মেরামতের জন্য আমরা কোষাধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষা ভবনের সামনে আজও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান
প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে শিক্ষা ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
এসময় তারা ‘শিক্ষা সিন্ডিকেট বন্ধ করো, করতে হবে,’ ‘শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য চলবে না,’ ‘আমাদের দাবি মেনে নেও, নিতে হবে,’ ‘হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না, মামলা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না,’ ‘রাষ্ট্র তোমার সময় শেষ, অধ্যাদেশ জারি কর’ এমন স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, সাত কলেজের সমন্বয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রণীত ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রকাশিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫’ এর খসড়া নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা তর্ক বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য এখন শুধুই অধ্যাদেশ! এরইমধ্যে গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় উক্ত আইনের খসড়ার বিষয়ে অনলাইনের মাধ্যমে সকল অংশীজনের মতামত নিয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় খসড়া চূড়ান্ত করার অভিপ্রায়ে, গত ২০ ও ২১ অক্টোবর এবং গত ১৭ নভেম্বর যথাক্রমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাই- সুশীল সমাজের সঙ্গে তিনটি সভা করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখনো আমাদের চূড়ান্ত মুক্তি অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের কোনো গতিশীলতা চোখে পড়ছে না।
এ কারণে প্রস্তাবিত ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া চলতি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীসহ অধ্যয়নরত প্রায় দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পরিচয় সংকট এবং অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম নিয়ে নানা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেনে বলে তারা জানিয়েছেন।
প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি রূপান্তর আন্দোলনের সমন্বয়ক নাঈম হাওলাদার বলেন, "আমরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। গতকাল বাধ্য হয়ে আমরা সড়ক বন্ধ করেছি। আমাদের দাবি, আজকের মধ্যে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। আমরা সাত কলেজ বলে কিছু মানি না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি। সরকারকে বলব, টালবাহানা না করে অতি দ্রুত 'ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫' প্রণয়ন করুন।
এর আগে গতকাল রবিবার প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবন মোড় অবরোধ করেন। এতে ওই সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
ঢাকা/রায়হান/ইভা