Samakal:
2025-05-01@07:45:30 GMT

যখন আমি নবীন চিত্রশিল্পী

Published: 20th, March 2025 GMT

যখন আমি নবীন চিত্রশিল্পী

আমি যখন ছাত্র ছিলাম প্রচুর কাজ করতাম। সব সময় বলতাম। শুধু শুধু আঁকলে হয় না। সেটা তৈরি করতে হয়। অবজারবেশন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি যতই বড় বড় কথা বলি, আমি তো একজন নারী। এটা চরম বাস্তব সত্য। তবে শিল্পীসত্তা আমাদের এক। আমি এটাকে প্রাধন্য দিই বেশি। একজন শিল্পী ছেলে বা মেয়ে বড় কথা নয়। কিন্তু যেহেতু আমার দেশের প্রেক্ষাপটে আমাকে বিচরণ করতে হয়। আমি কিন্তু উদার হতে পারি না। অনেক বাধাগ্রস্ত হয়েছি সেই সময়ে।
তবে পরিবার সাপোর্ট দিত। এখনও মনে হয় পরিবেশটা সেই রকম স্বচ্ছ হয়নি। আমি আশাবাদী, এমন পরিবেশ আগামীতে হয়তো থাকবে না। সার্বিকভাবে মেয়েদের সেভাবে কাজ করাটা কঠিন। আমাদের সময় ছিল। কিন্তু আমি ভিন্নভাবে কাজ করার চেষ্টা করতাম। আমি একাই বেরিয়ে যেতাম। আমার সাথে ছেলে বন্ধুরা বা ব্যাচমেট আমাকে নিতে ভয় পেত। বলত তোদের নিলে ঝামেলা হয়। এমনতিতেই সহযোগিতা করত। তবে জুনিয়র ছেলেরা কাজ শেখার জন্য আমার সাথে মিশত এবং সঙ্গে নিত। সত্যিকারভাবে আমি চিত্রশিল্পী হবো। এই উদ্দেশ্য নিয়ে চারুকলায় আসিনি। আমাদের পরিবারে সবাই কমবেশি আঁকাআঁকি করতেন। ম্যাট্রিক পাস করার পর ভর্তি হই। নিজের ভেতর তখন কাজ করার আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করে ফেলি। পরিশ্রমের বিকল্প নেই। আমাকে কোনো কাজ দিলে, সেটা নিয়ে গভীর মনোযোগী হয়ে যেতাম। সবার থেকে আলাদা কিছু করতে মরিয়া হয়ে যেতাম। এভাবে কাজ করতে করতেই নিজেকে জানান দিয়েছি। আমি যখন শিক্ষার্থী ছিলাম, তখন থাকতাম গোপীবাগে বা হলে। আমি চারুকলায় আসতাম রিকশাতে। তখন অনুধাবন করতাম একজন মেয়ে বাইরে কাজ করতে ছেলেদের মতো পারে না। নিজের মতো করে ড্রয়িংটা করতে পারতাম না। তো যাই হোক রিকশাতে চলার সময় চারপাশ দেখতাম। সেগুলো আমাকে ব্যাপক কাজে দিত আঁকাআঁকিতে।
আড্ডা-তর্কে সঙ্গী যারা
আমাদের সময় যারা ছিলেন তারা অনেক বিখ্যাত হয়ে গেছেন, কেউ কেউ চলে গেছেন। শাহাবুদ্দিন ভাই, অলোক রায় ওনারা বড় ভাই হিসেবে অনেক স্নেহ করতেন। আমি কাজপ্রিয় মানুষ ছিলাম। অনেকেই মনে করে আমি কম কথা বলি। সংসারজীবন বা সামাজিক জীবন বলেন আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমি ফেরেশতা নয় কিন্তু আমি নিজের মতো করে চলি। আমি প্রচণ্ড সততা নিয়ে চলি। ছবি বিক্রির জন্য কখনও ক্রেজি হয়ে যাই না।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

সেলফি’র ধাক্কায় গণস্বাস্থ্যের কর্মীর মৃত্যু, ৬ বাস আটক

সাভারে সেলফি পরিবহনের একটি চলন্ত বাসের ধাক্কায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের একজন সাবেক নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক বাস ও বাসের চালককে আটক করে স্থানীয়রা। পরে সেলফি পরিবহনের আরও পাঁচটি বাস আটক করে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মচারীরা। 

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১০টা ২০ এর দিকে সাভারের আশুলিয়া এলাকার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে ঢাকা মুখী লেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত ব্যক্তি হলেন, চাঁদপুর জেলার মতলব থানার লোকমান মোল্লার ছেলে শামসুল মোল্লা (৭০)। তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের শ্রীপুর(গাজীপুর) উপকেন্দ্রের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। 

আটককৃত বাসের চালক হলেন, ঢাকার ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের আব্দুল মবেদের ছেলে আব্দুল করিম (৪৫)। 

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অল্প কিছুদিন আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। তার পাওনাদি নেওয়ার জন্যেই তিনি আজ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসেছিলেন।

সাভার হাইওয়ে থানার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) বিষ্ণু পদশর্মা বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে আমরা এসেছি। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।”

ঢাকা/সাব্বির/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অমিতাভের চিরকুট কিংবা ফ্যাশন নিয়ে রাধিকার ১০ প্রশ্নের জবাব, ১০ ছবি
  • মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
  • একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
  • বড় বন্দরে ভারী কাজ করেও চলে না সংসার 
  • নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতির মেয়ে
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
  • ৫০ পেরোনো নারীর খাদ্যাভ্যাস যেমন হতে হবে
  • যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছে চীন
  • সেলফি’র ধাক্কায় গণস্বাস্থ্যের কর্মীর মৃত্যু, ৬ বাস আটক