লন্ডনের মাদাম তুসো জাদুঘরে নিজের নতুন মোমের মূর্তি দেখে বিস্মিত হয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। উচ্ছ্বসিত হয়ে এই ফরাসি ফুটবল তারকা বলেছেন, ‘‘এটা তো আমি! অবিশ্বাস্য, চমৎকার!’’

আগামী ৪ এপ্রিল থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে এই মূর্তিটি। মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে এমবাপ্পের জাতীয় দলের জার্সিতে তার চিরচেনা ‘বাহু ক্রস করে বুকের ওপর রাখা’ ভঙ্গিতে।

মূর্তিটি দেখে অভিভূত এমবাপ্পে বললেন, ‘‘শিল্পীরা অসাধারণ কাজ করেছেন। চুল, ভঙ্গি—সবকিছু এত নিখুঁত যে মনে হচ্ছে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এটা যেন অবিশ্বাস্য বাস্তবতা!’’ মূর্তির পোশাক থেকে শুরু করে জুতার ডিজাইন পর্যন্ত প্রতিটি সূক্ষ্ম কাজের প্রশংসা করেন তিনি।  

আরো পড়ুন:

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ‘সি’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ

“ইনশাআল্লাহ জুনে ফিরে আসব”

প্যারিসের ‘মিউজে গ্র্যাঁভাঁ’ এবং বার্লিনের ‘মাদাম তুসো’ জাদুঘরে ইতোমধ্যেই এমবাপ্পের দুটি মোমের মূর্তি রয়েছে। এবার লন্ডনের এই নতুন সংযোজন নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত তিনি, ‘‘এটা সত্যিই দারুণ সম্মানের বিষয়। আমি খুব খুশি। আমার জন্য এটি একটি বিশেষ দিন।’’

এই মূর্তি তৈরিতে কয়েক মাস ধরে এমবাপ্পে এবং জাদুঘরের শিল্পীরা একসঙ্গে কাজ করেছেন। নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে তার শত শত মাপ নেওয়া হয় এবং অনেকবার সংশোধন করা হয় যাতে তার শক্তি ও ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে।

এই সফরে এমবাপ্পে লন্ডন শহরের প্রতি নিজের ভালোবাসার কথাও জানান। তিনি বলেন, ‘‘আমি লন্ডনে আসতে খুব পছন্দ করি। এখানকার খাবার, সংস্কৃতি—সবকিছু দারুণ। এটি সত্যিই বিশ্বের অন্যতম সেরা শহর।’’

বার্লিনের মাদাম তুসো জাদুঘরে নিজের আগের মূর্তি দেখার সময় এমবাপ্পে মজা করে বলেছিলেন, ‘‘এটা এমবাপ্পের চেয়েও বেশি এমবাপ্পে!’’ তার এই হাস্যরসাত্মক মন্তব্য ভক্তদের বেশ আনন্দ দিয়েছিল।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ক ল য় ন এমব প প এমব প প জ দ ঘর

এছাড়াও পড়ুন:

ডেমরায় সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই শিক্ষার্থী নিহত

রাজধানীর ডেমরায় আজ শুক্রবার ভোররাতে সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তাঁরা একটি গায়েহলুদের অনুষ্ঠান শেষে ফিরছিলেন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন শিক্ষার্থী তাহসিন তপু (২৫) ও ইরাম হৃদয় (২৩)। দুজন বেসরকারি দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাহসিন সপরিবার ডেমরার সানারপাড়ায় থাকতেন। আর ইরাম চিটাগং রোড এলাকার একটি বাসায় থাকতেন।

ডেমরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রুবেল হাওলাদার আজ সকালে ‌প্রথম আলোকে বলেন, ডেমরার মিনি কক্সবাজার রোডের ধার্মিকপাড়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লাবাহী গাড়ির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই শিক্ষার্থী রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পর দুজন মারা যান। ময়লাবাহী গাড়িটি জব্দ করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছেন।

গায়েহলুদে অংশ নেওয়া ধর্মপাড়ার বাসিন্দা ও নিহত দুই শিক্ষার্থীর বন্ধু তাওসিফ হোসেন হাসপাতালে আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা এলাকার অনেকেই একই এলাকার এক বড় ভাইয়ের গায়েহলুদে গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে তাঁরা কয়েকজন চা খাচ্ছিলেন। এ সময় তাহসিন ও ইরাম মোটরসাইকেলে ঘুরতে যান। কিছু দূর যেতেই তাঁরা বিকট শব্দ শুনতে পান। গিয়ে গাড়ির নিচে মোটরসাইকেলটি দেখতে পান। রাস্তায় ছিটকে পড়ে ছিলেন তাহসিন ও ইরাম। পরে তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়।

সকালে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক মো. ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে চিকিৎসক তাহসিনকে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। আর ইরাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে মারা যান। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ