কানাডার ওপর শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের দলের ৪ সিনেটর
Published: 3rd, April 2025 GMT
কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের বিরোধিতা করে সিনেটে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। গতকাল বুধবার বিভিন্ন দেশের ওপর ট্রাম্প পাল্টা শুল্ক আরোপ করার কয়েক ঘণ্টা পর মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে প্রস্তাবটি পাস হয়।
সিনেটে ওই প্রস্তাবের পক্ষে ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্যদের সঙ্গে ভোট দেন ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির চার সদস্য। তাঁরা হলেন কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের সিনেটর র্যান্ড পল ও মিচ ম্যাককোনেল, মেইন অঙ্গরাজ্যের সিনেটর সুসান কলিনস এবং আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের সিনেটর লিসা মারকোস্কি।
আরও পড়ুনট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের তালিকায় রাশিয়া, উত্তর কোরিয়ার নাম নেই কেন৭ ঘণ্টা আগেসিনেটে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর টিম কেইন। কানাডার পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপে ট্রাম্পের জরুরি ঘোষণা বাতিল করতে প্রস্তাবটি আনা হয়। পরে প্রস্তাবটি ৫১–৪৮ ভোটে পাস হয়।
সিনেটে দেওয়া বক্তৃতায় কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের র্যান্ড পল বলেন, ‘আজ আমরা সিনেটে উপস্থিত হয়েছি। কারণ, আমাদের দেশের একজন ব্যক্তি শুল্ক বাড়াতে চান। আমাদের দেশ যে চেতনার ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এ সিদ্ধান্ত তার পরিপন্থী। একজন ব্যক্তির শুল্ক বাড়ানোর অনুমতি নেই। সংবিধান তা নিষেধ করে।’
পল আরও বলেন, ‘আমি গণতন্ত্রকে এড়িয়ে যাওয়া, সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্রকে এড়িয়ে যাওয়া, (যুক্তরাষ্ট্রের) প্রতিষ্ঠাকালীন নীতিগুলোকে অস্বীকার করার ধারণার বিরুদ্ধে। তবে এই বিরোধিতাটা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা থাকার কারণে নয়।’
আরও পড়ুনট্রাম্পের শুল্ক আরোপে চীন-জাপান-যুক্তরাজ্যসহ দেশে দেশে ক্ষোভ৮ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র শ ল ক আর প প রস ত ব র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।
সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’
সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’