একদিনের সফরে সিলেটে এসেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে আসেন তিনি। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

সিলেট মেট্রোপলিটন কমিশনারের কাছে ক্ষুব্ধ স্বরে জানতে চান, ‘‘থানায় এই ব্যবস্থা কেন? না করছি যেটা সেটা কেন রাখছ। এখন উঠাও। কাম না করে খালি আকাম করো।’’

এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা লাল গালিচা উঠানোর ব্যবস্থা করেন। থানা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

আরো পড়ুন:

‘ক্রিম আপা’র বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা

থানা থেকে ছাত্রদল নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ওসিসহ ৪ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আগের চেয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে, এখনো পুলিশকে পুনর্গঠন করা যায়নি। ৫ আগস্টের সময় অনেক গাড়ি, থানা পুড়েছে। এখনো তাদের একটি গাড়িও কিনে দেওয়া যায়নি। অর্থ বরাদ্দ পেলে এই ব্যবস্থার আরো উন্নয়ন হবে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘থানা থেকে লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অস্ত্র উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। লুট হওয়া অস্ত্র বাহিরে থাকলে নিরাপত্তার হুমকি থাকবে।’’

ঢাকা/নূর/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় চাঁদা না দেওয়ায় হাতুড়িপেটা, আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু

মামলা তুলে না নেওয়ায় এবং দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বগুড়ার শাজাহানপুরে আল-আমিন (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে হাতুড়িপেটা করা হলে পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা গেছেন। শনিবার (২ আগস্ট) রাত ১১টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে গত ২৮ জুলাই তার উপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। 

নিহত আল-আমিন শাজাহানপুর উপজেলার ভাদাইকান্দি গ্রামের আফসার আলীর ছেলে। তিনি বগুড়া সদরে নিউ মার্কেটে প্রসাধনীর ব্যবসা করতেন।

নিহতের স্বজনেরা জানান, দেড় বছর ধরে প্রতিবেশী নূরুল ইসলাম, আবু হোসেন ও ফজলুল হক আল-আমিনের এক একর কৃষিজমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে দুই দফা হামলার শিকার হন তিনি এবং তার পরিবার। প্রতিবারই থানায় মামলা করেন আল-আমিন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তরা সম্প্রতি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয় এবং দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২৮ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আল-আমিনের ওপর হামলা চালানো হয়। হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় তাকে। এ সময় তার বাবা আফসার আলীও আহত হন। এবং তার কাছ থেকে সোয়া এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। ঘটনার পর নিহতের পরিবার ৩০ জুলাই শাজাহানপুর থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ  শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আজ দুপুরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’’
 

ঢাকা/এনাম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ