Samakal:
2025-12-02@17:30:15 GMT

নেপালে হারে শুরু বাংলাদেশের

Published: 20th, April 2025 GMT

নেপালে হারে শুরু বাংলাদেশের

কাবাডি টেস্ট সিরিজে হারে শুরু বাংলাদেশ নারী দলের। আজ রোববার নেপালের ললিতপুলের সাতদোবাতোয়া তায়কোয়ানদো হলে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের কাছে ৪১-১৮ পয়েন্টে হেরে যায় বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টি আজ একই ভেন্যুতে হবে। 

শক্তিতে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে নেপাল নারী দল। এসএ গেমস ও এশিয়ান গেমসে নেপালের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ নারী দল। এ ছাড়া শারীরিক গড়নেও এগিয়ে নেপাল দল। ম্যাচে এই সুবিধা বেশ ভালোভাবে কাজ লাগিয়েছে তারা। শুরু থেকেই পয়েন্ট বাড়িয়ে নিতে থাকে স্বাগতিক দল। বোনাস পয়েন্টে এগিয়ে যায় তারা। পাশাপাশি প্রথমার্ধে একটি লোনা পায় নেপাল। ১৮-৬ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে নেপাল। দ্বিতীয়ার্ধেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। একই ছন্দে খেলে ম্যাচ নিজেদের আয়ত্তে রাখে নেপাল। এই অর্ধে আরও দুটি লোনা পায় নেপাল। হারের জন্য ভ্রমণ ক্লান্তি ও ইনজুরিকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ দলের কোচ শাহনাজ পারভিন মালেকা, ‘আমরা গতকালই (শনিবার) ঢাকা থেকে এখানে এসেছি। তাই সেভাবে বিশ্রামের সময় পাইনি। এ ছাড়া আমাদের দুই থেকে তিনজন খেলোয়াড় ইনজুরিতে আছে। এই ম্যাচ থেকে যে সমস্যাগুলো আমরা বুঝতে পেরেছি; আশা করছি, সেগুলো কাটিয়ে পরের ম্যাচগুলোতে আমরা ভালো কিছু করব। নেপাল নিয়মিত অনুশীলনে ছিল। কিন্তু আমরা ঈদের কারণে ছুটিতে গিয়েছিলাম। তাই আমাদের অনুশীলনের কিছুটা ঘাটতি ছিল। তবে আশা করছি, আগামীকালের (সোমবার) ম্যাচে আজকের তুলনায় অনেক ভালো খেলবে বাংলাদেশ।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কাদেরকে ‘ভিভিআইপি’ ঘোষণা করা হয়, তাঁরা কী কী সুবিধা পান

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর ‘ভিভিআইপি’ ঘোষণা করলে কী হয়, কী কী সুবিধা পাওয়া যায়, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে কৌতূহল দেখা দিয়েছে।

বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা ক্ষেত্রমত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

সরকার চইলে কোনো বিশেষ ব্যক্তিকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণা করতে পারে। বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা ক্ষেত্রমতে তল্লাশী, গ্রেপ্তার ও আটকের ক্ষেত্রে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) ক্ষমতা ভোগ করেন। আইনে বলা আছে, দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে তিনি সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’র নিরাপত্তার প্রয়োজনে গুলিবর্ষণ করা দরকার হলে তা করতে পারবেন।

সাধারণত বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বা অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বাংলাদেশে সফরে এলেও এ ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। যেমন গত মার্চে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশে আসার পর তাঁকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল সরকার। তখন তাঁর নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল এসএসএফ। সর্বশেষ গত মাসে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ঢাকা সফর করেন। এ সময় তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হয় এসএসএফের মাধ্যমে।

এর আগে ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সভাপতি শেখ হাসিনাকে কিছু সময়ের জন্য ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯’ জারি করা হয়েছিল। অবশ্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দায়িত্ব নেওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪ জারি করে। এর ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা বিশেষ নিরাপত্তার সুবিধা পাবেন না।

আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ