Samakal:
2025-11-28@20:28:12 GMT

নেপালে হারে শুরু বাংলাদেশের

Published: 20th, April 2025 GMT

নেপালে হারে শুরু বাংলাদেশের

কাবাডি টেস্ট সিরিজে হারে শুরু বাংলাদেশ নারী দলের। আজ রোববার নেপালের ললিতপুলের সাতদোবাতোয়া তায়কোয়ানদো হলে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের কাছে ৪১-১৮ পয়েন্টে হেরে যায় বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টি আজ একই ভেন্যুতে হবে। 

শক্তিতে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে নেপাল নারী দল। এসএ গেমস ও এশিয়ান গেমসে নেপালের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ নারী দল। এ ছাড়া শারীরিক গড়নেও এগিয়ে নেপাল দল। ম্যাচে এই সুবিধা বেশ ভালোভাবে কাজ লাগিয়েছে তারা। শুরু থেকেই পয়েন্ট বাড়িয়ে নিতে থাকে স্বাগতিক দল। বোনাস পয়েন্টে এগিয়ে যায় তারা। পাশাপাশি প্রথমার্ধে একটি লোনা পায় নেপাল। ১৮-৬ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে নেপাল। দ্বিতীয়ার্ধেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। একই ছন্দে খেলে ম্যাচ নিজেদের আয়ত্তে রাখে নেপাল। এই অর্ধে আরও দুটি লোনা পায় নেপাল। হারের জন্য ভ্রমণ ক্লান্তি ও ইনজুরিকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ দলের কোচ শাহনাজ পারভিন মালেকা, ‘আমরা গতকালই (শনিবার) ঢাকা থেকে এখানে এসেছি। তাই সেভাবে বিশ্রামের সময় পাইনি। এ ছাড়া আমাদের দুই থেকে তিনজন খেলোয়াড় ইনজুরিতে আছে। এই ম্যাচ থেকে যে সমস্যাগুলো আমরা বুঝতে পেরেছি; আশা করছি, সেগুলো কাটিয়ে পরের ম্যাচগুলোতে আমরা ভালো কিছু করব। নেপাল নিয়মিত অনুশীলনে ছিল। কিন্তু আমরা ঈদের কারণে ছুটিতে গিয়েছিলাম। তাই আমাদের অনুশীলনের কিছুটা ঘাটতি ছিল। তবে আশা করছি, আগামীকালের (সোমবার) ম্যাচে আজকের তুলনায় অনেক ভালো খেলবে বাংলাদেশ।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ছায়ানট সংগীতবিদ্যায়তনের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

ছায়ানট সংগীতবিদ্যায়তনের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি–ভবনে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিদ্যায়তনের ১৪২১ থেকে ১৪৩০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সমাপনী অভিজ্ঞানপত্র দেওয়া হয়। এ সময় চার শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৩১ জন উপস্থিত ছিলেন।

সমাবর্তনের প্রধান অতিথি ছিলেন সংগীতশিল্পী ফাহ্‌মিদা খাতুন। তাঁকে মঞ্চে নিয়ে আসেন সংগীতবিদ্যায়তনের শুরু অর্থাৎ ১৯৬৩ সালে ভর্তি হয়ে ১৯৬৭ সালে উত্তীর্ণ দুই শিক্ষার্থী—সেলিনা মালেক চৌধুরী ও ইফ্‌ফাত আরা দেওয়ান। ‘বাজাও তুমি কবি’, ‘নবীন আশা জাগল রে আজ’ ও ‘এমন মানবজনম আর কি হবে’—এই তিনটি গান গেয়ে প্রধান অতিথিকে বরণ করে নেন শিক্ষার্থীরা।

শুরুতে ছিল ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসার স্বাগত সম্ভাষণ। প্রধান অতিথি ফাহ্‌মিদা খাতুনের ওপর একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপনের পর তিনি সমাবর্তন ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক বাধা অতিক্রম করে সংগীত শিক্ষা করেছি। বর্তমান প্রজন্ম অত্যন্ত ভাগ্যবান। তারা জীবনের শুরুতে ছায়ানটের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে।’

অনুষ্ঠানে ছায়ানটের সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ‘এখন যে ভূমিকম্পের রেখার কথা শুনছি, এ দেশের মানুষের মধ্যে তার চেয়ে অনেক বড় বিভেদরেখা দৃশ্যমান। সংগীত মানুষে মানুষে বিভেদ দূর করতে পারে।’ সভাপতির বক্তব্যের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে অভিজ্ঞানপত্র বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল সেরা শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা। এই পর্বে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন দীপ্র নিশান্ত, নজরুলসংগীত পরিবেশন করেন মিরাজুল জান্নাত, লোকসংগীত পরিবেশন করেন মতিউর রহমান, দ্বৈত কণ্ঠে রাগ হংসধ্বনি পরিবেশন করেন দিপু সমদ্দার ও লায়েকা বশীর, একক তবলাবাদন করেন অনন্য ইগ্নেসিউস রোজারিও, মণিপুরী নৃত্য পরিবেশন করেন দীপান্বিতা আনজুম এবং ভরতনাট্যম পরিবেশন করেন রিতু পাল। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ