বগুড়ায় মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি পদপ্রার্থী শ্রমিক লীগ নেতা আনোয়ার হোসেনকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় শহরের চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আনোয়ার হোসেন বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং জেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি আমিনুল ইসলামের চাচা। আমিনুল ইসলাম বর্তমানে একাধিক হত্যা মামলার আসামি হিসেবে আত্মগোপনে আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, আনোয়ার হোসেনকে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনী কার্যালয় থেকে আটক করে পুলিশ পিকআপে তুলছিল। এ সময় তাঁর সমর্থকেরা পুলিশ সদস্যদের ঘিরে ফেলেন এবং পরে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে কয়েকজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের মামলার অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে নজরুল ইসলাম নামের একজন প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আনোয়ার হোসেনের বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে শ্রমিকেরা তাঁকে পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে যান। পরে দেখা গেছে, তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো সক্রিয় মামলা নেই। ২০২১ সালে একটি বিস্ফোরক মামলা থাকলেও সেই মামলায় তিনি জামিনে আছেন।

আরও পড়ুনশ্রমিক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতার প্রার্থিতা বাতিলে সময় বেঁধে দিল এনসিপি১৬ ঘণ্টা আগে

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও বগুড়া আদালতের কৌঁসুলি আবদুল বাছেদ জানান, কয়েকজন প্রার্থীর স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়ন দাখিল করার অভিযোগ আসায় যাচাই-বাছাই ও শুনানির জন্য গতকাল বিকেলে প্রার্থীদের সশরীর উপস্থিত থাকতে বলা হয়। এ সময় কয়েকজন প্রার্থী সশরীর উপস্থিত হয়ে অভিযোগ খণ্ডন করেন। শুনানি শেষে বের হওয়ার পর পুলিশ ক্রীড়া সম্পাদক প্রার্থী নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে জাল স্বাক্ষরের অভিযোগে আপত্তি দাখিল করা হয়েছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) ও গণ-অধিকার পরিষদের শ্রমিক উইং এসব আপত্তি তোলে। বিভিন্ন শ্রমিকেরা শুক্রবার মিছিল নিয়ে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় ঘেরাও করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানান।

২৩ মে বগুড়া জিলা স্কুলে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ১৩তম ত্রিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৩০টি পদে ভোট গ্রহণ হবে। ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ৪৭২।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কজন প র র থ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়া এলে ঢাকার কোন কোন পথে অভ্যর্থনা, রিজভীর নির্দেশনা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৬ মে ঢাকায় এলে তাঁকে পথে পথে অভ্যর্থনা জানাবেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। তাঁরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন।

আজ রোববার বেলা আড়াইটার পর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর ক্ষেত্রে বিএনপি ও এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কারা কোথায় অবস্থান নেবেন, তাঁরা কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না, সে বিষয়ে রুহুল কবির রিজভী আজকের সংবাদ সম্মেলনে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শেষে আগামীকাল ৫ মে (সোমবার) দেশে ফেরার কথা ছিল খালেদা জিয়ার। কিন্তু তিনি আগামীকাল দেশে ফিরছেন না। এক দিন পর ৬ মে (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টায় দেশে ফিরবেন তিনি। দেশে ফিরলে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন বিএনপি ও এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

রুহুল কবির রিজভীর নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি অবস্থান করবে বিমানবন্দর থেকে লো মেরিডিয়েন হোটেল পর্যন্ত। ছাত্রদল অবস্থান করবে লো মেরিডিয়েন হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত। যুবদল অবস্থান করবে খিলক্ষেত থেকে হোটেল র‍্যাডিসন পর্যন্ত। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি অবস্থান করবে হোটেল র‍্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত। স্বেচ্ছাসেবক দল অবস্থান করবে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত। কৃষক দল অবস্থান করবে বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত। শ্রমিক দল অবস্থান করবে কাকলী মোড় থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল পর্যন্ত। ওলামা দল, তাঁতীদল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল অবস্থান করবে শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত। মুক্তিযোদ্ধা দলসহ সব পেশাজীবী সংগঠন অবস্থান করবে বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত। মহিলা দল অবস্থান করবে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত অবস্থান করবেন। আর বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতা-কর্মীরা যাঁর যাঁর সুবিধামতো স্থানে অবস্থান নেবেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, সব নেতা-কর্মী দলীয় পতাকা ও জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার এক পাশে দাঁড়াবেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেলে যাওয়া যাবে না। হেঁটে হেঁটেও যাওয়া যাবে না। এ ছাড়া বিমানবন্দর ও বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ