বান্দরবানের বিএনপির ঐক্য কেবল মুখে মুখে
Published: 9th, November 2025 GMT
বান্দরবান জেলা বিএনপির দুটি পক্ষের মুখে মুখে ঐক্য হলেও দলীয় কাজে আলাদাভাবে সক্রিয় রয়েছে দুটি পক্ষ। সাচিংপ্রু জেরীকে নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণার পরও দুই পক্ষ এক মঞ্চে কোনো সভা–সমাবেশ করতে পারেনি। গত শুক্রবার বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচিতে জেরী পক্ষের নেতা–কর্মী ও সমর্থকদের দেখা গেলেও ম্যামাচিং–জাবেদ পক্ষের কেউ ছিলেন না।
দলের উভয় পক্ষের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করার জন্য কেন্দ্র থেকে একাধিকবার কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই পক্ষের শীর্ষ নেতাদের চট্টগ্রামে ও ঢাকায় ডেকে সরাসরি নির্দেশ দেওয়ার পরও কাজ হয়নি। দুই পক্ষই মুখে মুখে বলে আসছে, দলে দ্বিধাবিভক্তি নেই। দল থেকে যাঁকে প্রার্থী মনোনীত করা হবে, সবাই তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। ৩ নভেম্বর সাচিংপ্রু জেরীকে সংসদ সদস্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু দুই পক্ষ এক মঞ্চে কাজ করা দূরের কথা, এখনো একসঙ্গে বসে আলাপও করেনি বলে দলীয় নেতা–কর্মীরা গতকাল শনিবার জানিয়েছেন।
সারা দেশে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে নির্বাচনী যাত্রা শুরু কর্মসূচিতে বান্দরবানেও বিশাল শোভাযাত্রা ও সমাবেশ হয়েছিল। কর্মসূচিতে শুধু সাচিংপ্রু জেরীর পক্ষের নেতা–কর্মীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। ম্যামাচিং–জাবেদ পক্ষের কেউ ছিলেন না। সমাবেশে সাচিংপ্রু জেরী বলেন, জেলা বিএনপিতে এখন সবাই ঐক্যবদ্ধ। সবাই একসঙ্গে নির্বাচনের কাজ করবেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ম্যামাচিং পক্ষের অন্যতম নেতা জাবেদ রেজা ও তাঁর সমর্থকেরা নিজের মতো কর্মসূচি পালন করছেন। গতকাল লামা ও আলীকদমে গেছেন তাঁরা। সেখানে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন। প্রার্থিতা না পাওয়ায় ব্যথিত নেতা–কর্মীদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য সফর বলে তাঁর পক্ষের নেতা–কর্মীরা জানিয়েছেন।
সারা দেশে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে নির্বাচনী যাত্রা শুরু কর্মসূচিতে বান্দরবানেও বিশাল শোভাযাত্রা ও সমাবেশ হয়েছিল। কর্মসূচিতে শুধু সাচিংপ্রু জেরীর পক্ষের নেতা–কর্মীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। ম্যামাচিং–জাবেদ পক্ষের কেউ ছিলেন না। সমাবেশে সাচিংপ্রু জেরী বলেন, জেলা বিএনপিতে এখন সবাই ঐক্যবদ্ধ। সবাই একসঙ্গে নির্বাচনের কাজ করবেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ম্যামাচিং পক্ষের অন্যতম নেতা জাবেদ রেজা ও তাঁর সমর্থকেরা নিজের মতো কর্মসূচি পালন করছেন। গতকাল শনিবার লামা ও আলীকদমে গেছেন তাঁরা। সেখানে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন। প্রার্থিতা না পাওয়ায় ব্যথিত নেতা–কর্মীদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য সফর বলে তাঁর পক্ষের নেতা–কর্মীরা জানিয়েছেন।ম্যামাচিং–জাবেদ পক্ষের জাবেদ রেজা বলেন, সাচিংপ্রু জেরী তাঁকে ৭ নভেম্বরের অনুষ্ঠানের জন্য ফোন করেছিলেন। কিন্তু কাজের কারণে তাঁকে চট্টগ্রামে যেতে হয়েছে। কর্মসূচিতে থাকতে পারেননি। জাবেদ বলেন, সাচিংপ্রু জেরীকে প্রাথমিকভাবে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবেশ–পরিস্থিতির পটভূমি বিবেচনায় প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারেন। প্রার্থিতা চূড়ান্ত হলে সবাই ধানের শীষের পক্ষে একযোগে কাজ করবেন। সেখানে ব্যক্তি কোনো বিষয় নয়, দলীয় প্রতীক শেষ কথা। দলে কোনো বিভেদ ও অনৈক্য নেই বলে জানিয়েছেন জাবেদ রেজা।
জেরী পক্ষের নেতা ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুর রশিদ ও জেলা কমিটির সদস্য নুমংপ্রু মারমা জানিয়েছেন, সাচিংপ্রু জেরী প্রার্থিতা ঘোষণার পর ম্যামাচিংয়ের কাছে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ম্যামাচিংয়ের সামনে জাবেদ রেজাকে ফোন করেছিলেন, কিন্তু জাবেদ ফোন ধরেননি।
বান্দরবান–৩০০ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাচিংপ্রু জেরী, সদস্যসচিব জাবেদ রেজা ও সাবেক জেলা সভাপতি ম্যামাচিং প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। জেরী ও ম্যামাচিং–জাবেদ পক্ষের কোন্দলে জর্জরিত বান্দরবান বিএনপি। নেতা–কর্মীরাও স্বীকার করেন বান্দরবানে এককভাবে বিএনপির ভোটার সবচেয়ে বেশি, কিন্তু দলীয় কোন্দলে দলটি বারবার নির্বাচনে হেরেছে। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় নেতারা পাল্টাপাল্টি দুটি জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে উভয় পক্ষের নেতা–কর্মীদের সমন্বিত একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। এরপরও একই জেলা কমিটিতে দুটি পক্ষ হয়ে সক্রিয় রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ম দ র স ব ন দরব ন ক জ করব ন কর ছ ল ন ব এনপ র একসঙ গ র জন য ক জ কর কর ম র
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলামে ভিন্ন ধর্মের মানুষের সঙ্গে সহাবস্থানের সংস্কৃতি
ইসলামে “সহাবস্থান” বা “তাআয়ুশ” হল এক বিশাল সমুদ্রের শান্ত স্রোতের মতো, যা বিভিন্ন ধর্ম, জাতি, সংস্কৃতির মানুষকে একসঙ্গে বয়ে নিয়ে যায়। প্রাচীন ইসলামি গ্রন্থগুলো “সহাবস্থান” শব্দটা সচরাচর পাওয়া যায় না, কারণ তখন ভিন্নতা নিয়ে উদ্বেগ ছিল না। ধর্মে জোর খাটানোর কোনো প্রশ্নই ওঠেনি।
কোরআনের স্পষ্ট নির্দেশনা, “ধর্মে কোনো জোরজবরদস্তি নেই” (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৫৬); “যে চায় ইমান আনুক, যে চায় কুফর করুক” (সুরা কাহফ, আয়াত: ২৯)। এই স্বাধীনতা ইসলামের মূল ভিত্তি। তবে জুলম বা নিপীড়ন যেই ধর্মের মানুষই করুক, ইসলাম সেখানে ছাড় দিতে রাজি নয়।
ভিন্নতা তো আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ম। কোরআন বলে, “তাঁর নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে আসমান-জমিনের সৃষ্টি, তোমাদের ভাষা ও রঙের ভিন্নতা—এতে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।” (সুরা রূম, আয়াত: ২২)
এই আয়াতটা যেন একটা জানালা খুলে দেয় বিশ্বের সৌন্দর্যের দিকে। খ্যাতিমান তাফসিরকার তাহের ইবনে আশুর এর ব্যাখ্যায় বলেন, মানুষ একই প্রজাতি হয়েও ভাষার ভিন্নতা একটা মহান নিদর্শন। এটি দেখায় আল্লাহ মানুষের স্বভাবে কত রকমের চিন্তা, অভিব্যক্তি দিয়েছেন—লেহাজ, সংক্ষেপণ, যোগ-বিয়োগ করে একই মূল থেকে হাজারো ভাষা গড়ে উঠেছে। (আত-তাহরির ওয়াত তানভির, ২১/১৪৫-১৪৭, দার আল-মাআরিফ, তিউনিস, ১৯৮৪)
তাঁর নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে আসমান-জমিনের সৃষ্টি, তোমাদের ভাষা ও রঙের ভিন্নতা—এতে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।কোরআন, সুরা রূম, আয়াত: ২২এই ভিন্নতা কোনো অভিশাপ নয়, বরং আল্লাহর রহমত—যা মানুষকে একে অপরের কাছাকাছি নিয়ে আসে, শেখায় সহনশীলতা।
সহাবস্থানের সংজ্ঞা খুব সহজ: মুসলিম ও অমুসলিমের মধ্যে সব ধরনের ভালো সম্পর্ক—সহযোগিতা, সমন্বয়, দয়া, যত্ন, পরিচর্যা। এটি ব্যক্তি থেকে সমাজ পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকে। আজকের বিশ্বে এর জন্য দরকার পারস্পরিক সম্মানের সংস্কৃতি। বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, মত, রাজনৈতিক ধারার মধ্যে এই সম্মান না থাকলে সহাবস্থান অসম্ভব। কোরআনের নির্দেশ, “তিনি তোমাদের মনোনীত করেছেন, ধর্মের ব্যাপারে তিনি তোমাদের উপর কোন কঠোরতা আরোপ করেননি... যাতে রাসুল তোমাদের সাক্ষী হন, তোমরা মানুষের সাক্ষী হও।” (সুরা হজ, আয়াত: ৭৮)
এই আয়াতটা একটা দায়িত্ব বাতলে দেয়—মুসলিমরা হবেন সারা বিশ্বের জন্য সাক্ষী, ন্যায়ের প্রতীক।
আরও পড়ুনধর্ম ও বিজ্ঞানের সম্পর্ক: পশ্চিমা অনুকরণ থেকে মুক্তির পথ২২ আগস্ট ২০২৫ইসলাম আকিদা (বিশ্বাস) ও সহাবস্থান (সামাজিক জীবন) আলাদা করে দেখে। আকিদা শরিয়াহর ভিত্তি এবং সহাবস্থান সমাজের বাস্তবতা। রাসুল (সা.)-এর হাদিস, “যে কোনো অঙ্গীকারভুক্ত লোককে জুলুম করে, তার অধিকার কমায়, তার সাধ্যের বাইরে কাজ চাপায় বা তার সম্মতি ছাড়া কিছু নেয়—কিয়ামতে আমি তার বিরুদ্ধে দাঁড়াব।” (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ৩০৫২)
এই হাদিস অমুসলিমদের অধিকার রক্ষার জন্য একটি ঢালস্বরূপ। অনেক ভুল বোঝাবুঝি আসে ধর্মীয় নির্দেশের ভুল ব্যাখ্যা থেকে। যা অকাট্য বিধান নয়, তাতে ইজতিহাদের জায়গা থাকে, দ্বিমত থাকে। ভিন্নতা গ্রহণ করা হলে অতিরিক্ত কঠোরতা এড়ানো যায়।
ইসলামি ঐতিহ্যে সহাবস্থানের বহু উদাহরণ রয়েছে। ফিকহ, কালামের গ্রন্থগুলো অন্যদের সঙ্গে সম্পর্কের আলোচনায় ভরপুর। এই চিন্তা ইতিহাসে প্রতিফলিত হয়েছে। প্রথম দিকের ফিকহে এই বিষয় “সিয়ার” নামে পরিচিত—যা মুসলিমদের সঙ্গে অন্যদের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করে থাকে।
যারা ধর্মে তোমাদের সঙ্গে লড়েনি, তোমাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেনি—তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে, ন্যায় করতে আল্লাহ বারণ করেন না। আল্লাহ ন্যায়কারীদের ভালোবাসেন।কোরআন, সুরা মুমতাহিনা, আয়াত: ৮সারাখসি (মৃ. ৪৯০ হি.) শাইবানির (মৃ. ১৮৯ হি.) আস-সিয়ার আস-সাগির বইয়ের ব্যাখ্যায় বলেন, এটা মুসলিমদের সঙ্গে যুদ্ধরত মুশরিক, চুক্তিবদ্ধ, জিম্মি, বিদ্রোহীদের সম্পর্ক তুলে ধরেছে। এমনকি বিদ্রোহীরা মুসলিম হলেও তাদের সঙ্গে আচরণ করা হবে মুশরিকদের মতো, কারণ তারা ভুল তাফসির করছে। (শারহ কিতাব আস-সিয়ার আল-কাবির, ১/৫-১০, দার আল-কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, বৈরুত, ১৯৯৩)
এই সম্পর্কের মূল কথা “আদল” বা ন্যায়। কোরআনের নির্দেশ, “যখন কথা বলো, ন্যায় বলো—যদি আত্মীয়ও হয়... এটা আমার সরল পথ, এটি অনুসরণ করো, অন্য পথে যেও না।” (সুরা আনআম, আয়াত: ১৫২-১৫৩)
ন্যায় মানে অন্যের বিশ্বাস নিয়ে ঠাট্টা নয়, জুলুম নয়। একই সঙ্গে যত্রতত্র কোনো মুসলিমকে কাফির বলে জাহান্নামের ফয়সালা করাও নয়। মুসলিমের কাজ সবার প্রতি ইহসান—রঙ, জাতি, বিশ্বাস যাই হোক না কেন। কোরআন বলে, “যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সঙ্গে লড়েনি, তোমাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেনি—তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে, ন্যায় করতে আল্লাহ বারণ করেন না। আল্লাহ ন্যায়কারীদের ভালোবাসেন।” (সুরা মুমতাহিনা, আয়াত: ৮)
হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, “ন্যায়নুগ আচরণকারীরা কিয়ামতে আলোর অধিষ্ঠানে (নুরের মিম্বরে) থাকবে, আল্লাহর আরশের ডানে। এরা হল তারা, যারা বিধানের ক্ষেত্রে এবং পরিবার ও দায়িত্ব পালনে ন্যায় বজায় রাখে।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৮২)
আরও পড়ুনইসলাম কি কোনো ধর্ম নাকি জীবনবিধান?১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইসলামের সহাবস্থান সংস্কৃতির চারটি মূল বৈশিষ্ট্য রয়েছে:
প্রথম, মানবিকতা: সহাবস্থান সকল মানুষের জন্য—শুধু মুসলিমদের জন্য নয়। কোরআন বলে, “তোমার প্রতিপালক চাইলে সবাইকে এক উম্মত বানাতেন, কিন্তু তারা ভিন্ন থাকবে—যাদের প্রতি রহমত করা হয়েছে, তারা ছাড়া। এজন্যই তাদের সৃষ্টি।” (সুরা হুদ, আয়াত: ১১৮-১১৯)
এই আয়াত বলছে, ভিন্নতা আল্লাহর ইচ্ছা—যা মানুষকে শেখায় সহনশীলতা, একতা।
দ্বিতীয়, পারস্পরিকতা: সহাবস্থান একতরফা নয়, দুই পক্ষের আদান-প্রদান। কোরআন বলে, “হে মানুষ, আমরা তোমাদের পুরুষ-নারী থেকে সৃষ্টি করেছি, জাতি-উপজাতি বানিয়েছি যাতে তোমরা একে অপরকে চিনতে পারে। আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত সে, যে সবচেয়ে খোদাভীরু।” (সুরা হুজুরাত, আয়াত: ১৩)
এখানে “তাআরুফ” বা পরিচয়ের কথা বলা হয়েছে—যা সম্মান, সহযোগিতার ভিত্তি।
তৃতীয়, বাস্তব অভিজ্ঞতা: সহাবস্থান কেবল কথায় নয়, কাজে প্রমাণিত। কোরআন বলে, “মহান তিনি, যার হাতে রাজত্ব, তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে পরীক্ষা করেন কে সবচেয়ে ভালো কাজ করে।” (সুরা মুলক, আয়াত: ১-২)
জীবন একটা পরীক্ষা—যেখানে ভালো কাজ দিয়ে সহাবস্থানের পরিবেশ গড়তে হয়।
চতুর্থ, সর্বজনীনতা: একই দেশে, একই সমাজে সবার জন্য সমান সুযোগ। যতক্ষণ মানুষ একসঙ্গে থাকে, সহাবস্থান তাদের সকলের দায়িত্ব। এটি কোনো সীমানায় বাঁধা থাকতে পারে না।
ইতিহাসে এই নীতি কত সুন্দরভাবে প্রয়োগ হয়েছে দেখুন। মদিনায় গিয়েই রাসুল (সা.) ইহুদিসহ সকলের সঙ্গে চুক্তি করেন, তাদের যার যা ধর্ম তা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন। ওমর (রা.) জেরুজালেম জয়ের পর গির্জায় নামাজ পড়তে অস্বীকার করেন, যাতে পরে মুসলিমরা তা দখল না করে। এই ঘটনাগুলো দেখায়, সহাবস্থান কেবল কথায় নয়, কাজের প্রমাণিত হয়েছে মুসলিম সভ্যতায়।
আজকের বিশ্বে বিভেদ, ঘৃণা বাড়ছে। ফলে আমাদের ইসলামের শিক্ষার দিকেই ফিরতে হবে। ভিন্নতা মানেই বিভেদ নয়, সৌন্দর্য। ন্যায়, দয়া, সম্মান দিয়ে গড়ে তুলতে পারি আমরা একটি শান্তির সমাজ।
সূত্র: ইসলাম অনলাইন ডটনেট
আরও পড়ুনইসলাম বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল ধর্ম২৪ জুলাই ২০২৫