আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট
Published: 10th, May 2025 GMT
ঢাকার আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের চার ইউনিট কাজ করছে।
শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়কের করিম মিয়ার দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। রাত ৮ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একটি মুদি দোকানে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু দোকানে অনেকগুলো গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
আরো পড়ুন:
বেইলি রোডের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার
বেইলি রোডে রেস্তোরাঁয় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার লিটন বলেন, খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট ও জিরাবো ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা।
ঢাকা/আরিফুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তিন প্রার্থীর
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নিয়োগের পরীক্ষায় অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন পরীক্ষা দেওয়া তিন প্রার্থী। তাঁরা এ নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে পরীক্ষার বোর্ড সদস্যদের প্রত্যাহারের দাবি করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের তৃতীয় তলায় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। অভিযোগ করা এই তিন প্রার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুল নেছা, মহিমা আকতার এবং ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আকিব।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে মো. আকিব বলেন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন ৪৩ জন। তবে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ২৯ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন ১৩ জন। তবে তাঁদের কাউকে পাস করানো হয়নি। নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের স্বজনপ্রীতির কারণে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এমনটি করা হয়েছে বলে তাঁরা মনে করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, নিয়োগ বোর্ডে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের কোনো শিক্ষককে রাখা হয়নি। বরং অন্য বিভাগ ও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে নিয়োগ পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া লিখিত পরীক্ষার পরে পরীক্ষকদের খাতা পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা শিক্ষক তাঁর পছন্দের প্রার্থীর খাতা ঘুরে দেখেন এবং প্রশ্ন বুঝিয়ে দেন। সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করলে বিষয়টি প্রমাণ করা সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা বলেন, ‘লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি ও খাতা মূল্যায়ন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষক। ফলে তাঁর নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই উত্তীর্ণ হয়েছেন, আর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ প্রহসনমূলক। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এর ন্যায়বিচার ও যথাযথ সুরাহা চাই।’
আরও পড়ুনচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগে দলীয়করণ হচ্ছে, অভিযোগ বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের২৫ জুলাই ২০২৫এর আগে গত ১৯ এপ্রিল ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুই পদের বিপরীতে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের আইন অনুযায়ী এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে এ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা কমিটির অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এমনকি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বোর্ডেও বিভাগের কোনো শিক্ষক রাখা হয়নি। এসব বিতর্কের মধ্যে দিয়েই গত মঙ্গলবার এ নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছে।
তিন প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন কাদেরীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির কোনো বিষয় আমার চোখে পড়েনি। এ অভিযোগগুলো কতটা বাস্তব, তা জানা নেই। যাঁরা আজ সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তাঁরা হয়তো লিখিত পরীক্ষায় বাদ পড়েছেন। নিয়োগ পরীক্ষায় কোনো শিক্ষকের স্বজনপ্রীতি দেখানোর সুযোগ নেই। আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুননিয়োগপ্রার্থীর প্রোফাইল লাল করার স্ক্রিনশট ফেসবুকে দিলেন সহ-উপাচার্য১৬ আগস্ট ২০২৫