ঢাকার আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের চার ইউনিট কাজ করছে। 

শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়কের করিম মিয়ার দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। রাত ৮ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একটি মুদি দোকানে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু দোকানে অনেকগুলো গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

আরো পড়ুন:

বেইলি রোডের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার

বেইলি রোডে রেস্তোরাঁয় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার লিটন বলেন,  খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট ও জিরাবো ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা। 

ঢাকা/আরিফুল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

বাড়িতে থাকা টাকা হাতিয়ে নিতে মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীকে হত্যা: পুলিশ

রংপুরের তারাগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭০) এবং তার স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে (৬০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মোরসালিন ইসলাম (২৫) নামে এক টাইলস মিস্ত্রিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের ফাজিলপুর শেরমস্ত গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মোরসালিন একই গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।

আরো পড়ুন:

লালবাগে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

সালিশ বৈঠকে ভ্যানচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

আরো পড়ুন: স্বামী-স্ত্রী হত্যা: যোগেশ চন্দ্রকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায়

ডিবি পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে মোরসালিন বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে টাইলস লাগানোর কাজ করেন। ওই বাড়িতে প্রচুর টাকা আছে এমন ধারণা থেকে তার মনে লোভ জন্মে। এ থেকেই তিনি হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন।

গত শনিবার রাত ১০টার দিকে নিজের বাড়ির একটি চায়নিজ কুড়াল নিয়ে মোরসালিন যোগেশ চন্দ্রের বাড়ির পেছনে যান। কাঁঠাল গাছ বেয়ে দেয়াল টপকে তিনি বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমে তিনি সুবর্ণা রায়কে ও পরে যোগেশ চন্দ্র রায়কে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর আলমারির তালা ভাঙ্গেন মোরসালিন। সেখানে কোনো টাকা না পেয়ে তিনি বাড়িটি থেকে বের হন। হত্যায় ব্যবহৃত কুড়ালটি পাশের পুকুরে ফেলে দেন।

আরো পড়ুন: চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ ও সুবর্ণাকে

ডিবি পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোরসালিন হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থার সংকট এবং ৮ হাজার টাকার ঋণ তাকে এই পথ বেছে নিতে প্ররোচিত করেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

রংপুরের পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন মারুফ বলেন, “গত ৬ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তার স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন মোরসালিন। টাইলসের কাজ করার সময় বাড়িটিতে অনেক টাকা রয়েছে এমন ভুল ধারণা তৈরি হয় তার মধ্যে। ঋণের চাপ থেকেই তিনি হত্যার পরিকল্পনা করেন।”

আরো পড়ুন: রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীকে হত্যা

তিনি আরো বলেন, “হত্যার পর আলমারির তালা ভাঙ্গেন মোরসালিন। সেখানে কোনো টাকা না পেয়ে খালি হাতে পালিয়ে যেতে হয় তাকে। ঘটনাস্থল থেকে পুকুরে ফেলা কুড়ালটিও উদ্ধার করা হয়েছে।”

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ