ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বুন্দেসলিগা জিতিয়েছেন, জিতিয়েছেন জার্মান কাপ, রানার্সআপ করেছেন ইউরোপা লিগে—সর্বশেষ মৌসুমে বায়ার লেভারকুসেনকে এমনই সাফল্যে ভরিয়েছেন জাবি আলোনসো। ৪৩ বছর বয়সী স্প্যানিশ কোচের অধীনে এ বছরও খুব একটা খারাপ খেলেনি লেভারকুসেন।

বুন্দেসলিগায় দ্বিতীয়, সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন, জার্মান কাপে সেমিফাইনাল আর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলো খেলেছে দলটি। লেভারকুসেন ইতিহাসের সফলতম কোচ হয়ে ওঠা আলোনসো মৌসুম শেষেই ক্লাব ছাড়তে চলেছেন। এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত জানিয়েও দিয়েছেন। গুঞ্জন আছে, রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হতে চলেছেন আলোনসো। প্রশ্ন হচ্ছে, আলোনসোর ছেড়ে যাওয়া জায়গায় কাকে কোচের দায়িত্ব দিচ্ছে আলোনসো?

লেভারকুসেনের পরবর্তী কোচ হিসেবে দুজনের নাম বিবেচনায় আছে বলে জানিয়েছে জার্মান সংবাদমাধ্যম কিকার। এর মধ্যে এগিয়ে আছেন এরিক টেন হাগ। ৫৫ বছর বয়সী এই ডাচ কোচ সর্বশেষ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ডাগআউটে ছিলেন। গত অক্টোবরে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে চাকরি ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে।

এর পর থেকে বেকার টেন হাগ। কিকারের খবরে বলা হয়, ইউনাইটেডকে লিগ কাপ ও এফএ কাপ জেতানো এই কোচ কোথাও যুক্ত না থাকায় তাঁকে দলে ভেড়ানো সহজই হবে। যদিও বেতনের দিক থেকে বেশিই খরচ করতে হতে পারে লেভারকুসেনকে।

এরিক টেন হাগ যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়

চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।

এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।

ব্রহ্মপুত্র নদের চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা

সম্পর্কিত নিবন্ধ