মেঘালয় রাজ্যের ব্যাটসম্যান আকাশ কুমার চৌধুরী লিখে ফেলেলেন ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটের নতুন ইতিহাস। রবিবার (০৯ নভেম্বর) অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে রঞ্জি ট্রফির প্লেট গ্রুপের ম্যাচে টানা আটটি ছক্কা হাঁকিয়ে গড়েছেন এক অবিশ্বাস্য কীর্তি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটি করার রেকর্ড গড়েছেন!

শুধু তাই নয়, এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকিয়ে আকাশ যুক্ত হলেন এক অনন্য ক্লাবে। যেখানে এর আগে ছিলেন কেবল দুই কিংবদন্তি- ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্যার গ্যারি সোবার্স ও ভারতের রবি শাস্ত্রী।

আরো পড়ুন:

লরা উলভার্ট: হিমালয়ের চূড়ায় এক নিঃসঙ্গ শেরপা

আরব আমিরাতকে ৪৯ রানে গুঁড়িয়ে ইতিহাস গড়ল যুক্তরাষ্ট্র

সুরাটে অনুষ্ঠিত ম্যাচটির দ্বিতীয় দিনে ইনিংসের ১২৬তম ওভারে বাঁহাতি স্পিনার লিমার দাবির করা ছয়টি বলের সবকটিতে ছক্কা মারেন আকাশ। এর মধ্য দিয়েই ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার মাইক প্রোক্টরও একবার ছয় ছক্কা মেরেছিলেন। তবে তা এসেছিল দুটি ওভারে ভাগ হয়ে।

ইনিংসে ৮ নম্বরে নামা আকাশ শুরু করেন এক ডট বল ও দুইটি সিঙ্গেল নিয়ে। এরপর যা ঘটল, তা যেন সিনেমার মতো! পরের আটটি বলেই তিনি আটটি ছক্কা হাঁকিয়ে পৌঁছে যান ১১ বলের অবিশ্বাস্য ফিফটিতে। যা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত দ্রুততম।

এর আগে রেকর্ডটি ছিল লেস্টারশায়ারের ওয়েইন হোয়াইটের দখলে। যিনি ২০১২ সালে ১২ বলে ফিফটি করেছিলেন। তারও আগে ১৯৬৫ সালে ক্লাইভ ইনম্যান করেছিলেন ১৩ বলে অর্ধশতক। সময়ের হিসেবে আকাশের এই ফিফটি হয়েছে ৯ মিনিটে। যা এক মিনিট বেশি ইনম্যানের চেয়ে। ফলে সময়ের দিক থেকে তিনি দ্বিতীয় দ্রুততম।

২৫ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটার ২০১৯ সালে অভিষেকের পর এদিন খেললেন তার ৩১তম প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। এর আগে তার ব্যাটে দুইটি হাফ-সেঞ্চুরি মিলিয়ে ছিল ৫০৩ রান। গড় ১৪.

৩৭। পাশাপাশি তিনি ২৮টি ওয়ানডে ও ৩০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেছেন। চলতি মাসের শুরুতে বিহারের বিপক্ষেও তিনি ৬২ বলে অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংসে চারটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন।

আকাশের এই ইনিংস শুধু সংখ্যার হিসাবেই নয়, মন ভরানো ক্রিকেট রোমাঞ্চের জন্যও স্মরণীয় হয়ে থাকবে। যেখানে প্রতিটি ছক্কা যেন এক একটি বিস্ফোরণ। আর প্রতিটি বলেই যেন লেখা হচ্ছিল নতুন ইতিহাস।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

আমার সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মামদানি

আমি বাংলাদেশি-মার্কিন, নিউইয়র্কের কুইন্সে থাকি। কাজ করি আর স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। সেই আমিও এমন স্বপ্ন কখনো দেখিনি যে অভিবাসী হিসেবে এই শহরের রাজনীতিতে আমাদের শক্ত কোনো অবস্থান থাকতে পারে। কারণ, এত দিন আমাদের কষ্ট বুঝে, পাশে থেকে, আমাদের পক্ষে উচ্চ স্বরে কথা বলার কেউ ছিলেন না। জোহরান মামদানির সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকে এই ধারণা বদলাতে শুরু করেছে। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার মানুষেরা ধর্ম, বর্ণ, উচ্চারণ, নাম নিয়ে পদে পদে রেসিজম বা বৈষম্যের শিকার হই। কিন্তু এসব আমরা ভুলে যেতে বাধ্য হই কাজের চাপে, নিউইয়র্ক শহরে টিকে থাকার যুদ্ধে। জীবনযাপনের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে থাকতে ক্লান্ত নিউইয়র্কবাসীর কাছে নতুন আশার নাম জোহরান মামদানি।

মামদানির সঙ্গে প্রথম দেখাহাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছেন জোহরান মামদানি

সম্পর্কিত নিবন্ধ