শাকিবের ‘প্রিন্স’ সিনেমার জন্য অমিতাভ বচ্চনের শুভেচ্ছা
Published: 9th, November 2025 GMT
ঢাকাই সিনেমার মেগাস্টার শাকিব খান। তার পরবর্তী ‘প্রিন্স’ সিনেমার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে মুম্বাইয়ে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিনেমাটির পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ এবং প্রযোজক শিরিন সুলতান। মূলত, ‘প্রিন্স’ সিনেমার ডিওপি অমিত রায়ের বদৌলতে সাক্ষাৎ করেন তারা।
আরো পড়ুন:
গোঁফওয়ালা শাকিবকে দেখে ভক্তদের উল্লাস
শাকিবের নায়িকা হতে ইধিকার ৩৮ লাখ টাকা পারিশ্রমিক দাবি?
ক্রিয়েটিভ ল্যান্ড ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত হচ্ছে ‘প্রিন্স’। ক্রিয়েটিভ ল্যান্ড ফিল্মসের ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, “সম্মানের মুহূর্ত! ‘প্রিন্স’ টিম মুম্বাইয়ে কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন স্যারের সাথে দেখা করার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ‘শাহেনশাহ’ সিনেমাটির জন্য আশীর্বাদ এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ধন্যবাদ বিগ বি।”
আগামী ঈদুল ফিতরে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। ডিসেম্বরের শুরুতে দৃশ্যধারণের কাজ শুরু করবেন নির্মাতারা। এখন প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে মুম্বাইয়ে। এ কারণে পরিচালক ও প্রযোজক মুম্বাইয়ে অবস্থান করছেন।
অমিভাত বচ্চনের সঙ্গে ‘প্রিন্স’ সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজককে দেখে অনেকে চমকে উঠেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টটি ছড়িয় পড়ে। নেটিজেনরাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। একজন লেখেন, “নিশ্চয়ই অসম্ভব কিছু সম্ভব করতে যাচ্ছে ‘প্রিন্স’, যা দর্শকদের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে।”
মুম্বাই থেকে নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ বলেন, “অমিতাভ বচ্চন স্যার একটি শুটিংয়ে ছিলেন। তার মধ্যে অমিত দাদার সঙ্গে আমরা গিয়েছিলাম। বাংলা সিনেমায় আমরা অনেক বড় কিছু করতে যাচ্ছি জানতে পেরে ভীষণ খুশি হয়েছেন, এমনকি শাকিব ভাই সম্পর্কেও জেনেছেন। আমাদের সঙ্গে বাংলাতেও কথা বলেছেন। তার অতি মূল্যবান সময় থেকে কিছু সময় আমরা পেয়ে অনেক গর্বিত।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার আশা ছিল, ছেলে টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরবে, ফিরল লাশ হয়ে
রাজশাহীর বাগমারার গোয়ালপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক ইয়ানুস আলী বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ছেলে আনামুল হককে (৩১) সৌদি আরবে পাঠিয়েছিলেন। আশা ছিল, ছেলে অনেক টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরবে। তা আর হলো না, ছেলে বাড়ি ফিরল লাশ হয়ে।
পরিবারের সদস্যরা বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর আনামুল হক স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবে যান। প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তিনি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। সেখানে পৌঁছার পর তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। গত ১ অক্টোবর তিনি সৌদি আরবের আফিফ শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। লাশ ময়নাতদন্তের পর ওই শহরের একটি হাসপাতালের মর্গে সংরক্ষিত ছিল। ছেলের মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পর পরিবার খবর পায়। আজ রোববার দুপুরে তাঁর লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়েছে।
আনামুল হকের বাবা ইয়ানুস আলী আজ দুপুরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঋণপাতি করে ভালোভাবে চলার জন্য বেটাক (ছেলে) বিদেশ পাঠাছিনু। অনেক টাকা লিইয়্যা দেশেত আসবে ভাবছিনু, এখন সবই চইল্যা গেল।’ তিনি জানান, উপজেলার ঝিকড়া ইউনিয়নের ঝাড়গ্রামের আতিক হোসেনের মাধ্যমে সৌদি আরবে পাঠিয়েছিলেন ছেলেকে। প্রথমে কোনো কাজ দেওয়া হয়নি। পরে তিনি আরও এক লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। তবে টাকা দিতে পারেননি তাঁরা।
আনামুল হকের মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পর খবর পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্ত্রী বিলকিস বানু। তিনি বলেন, বিদেশ যাওয়ার পর থেকে স্বামীর সঙ্গে কথা হলেও গত ১ অক্টোবর থেকে কথা না হওয়ায় যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তবে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। পরে একজন পুলিশ সদস্যের সহযোগিতায় সৌদি দূতাবাসে যোগাযোগ করে দুই সপ্তাহ পর স্বামীর মৃত্যুর খবর জেনেছেন।
আজ রোববার দুপুরে বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের কান্নাকাটি করতে দেখা যায়। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা বলেন, আনামুল দেশে ভ্যান চালিয়ে সংসারের খরচ জোগাতেন। ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সৌদি আরবে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছেন। তাঁর ছেলে ইমতিয়াজ হোসেনকে (৮) বাবার কফিনের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন স্বজনেরা। তবে সে ভয়ে সেদিকে যাচ্ছিল না।
নিহতের মামাশ্বশুর পুলিশ সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, দূতাবাসে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, গত ১ অক্টোবর গাড়ি উল্টে আনামুল হকসহ আটজন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে আনামুল হক বাংলাদেশি। অন্যরা মিসর, সুদান ও পাকিস্তানের নাগরিক। পরে দূতাবাসের মাধ্যমে আনামুলের কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে আজ তাঁর লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, আতিকুর রহমানের প্রতি তাঁদের সন্দেহ রয়েছে। মৃত্যুর পরেও তাঁদের কাছ থেকে তিনি টাকা দাবি করেছিলেন।
এ বিষয়ে আতিকুর রহমানের মুঠোফোনে ও তাঁর বাড়িতে গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাঁর কোনো স্বজনও কথা বলতে রাজি হননি।