ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে বিভিন্ন সময় অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের একাধিক নায়িকা। তাঁদের মধ্য থেকে তিনজনকে আজ রোববার শাকিবের সঙ্গে দেখা গেল। সকাল থেকেই চলচ্চিত্রের বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে ঘুরছে শাকিব খানের সঙ্গে তিন নায়িকার একটি স্থিরচিত্র, যেখানে আছেন জয়া আহসান, শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি ও শুভশ্রী গাঙ্গুলি। আরও আছেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য। একই ফ্রেমে আছেন পরিচালক রায়হান রাফী, বাংলাদেশের প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল ও ভারতের মহেন্দ্র সোনিকে। দুজনের দুই প্রতিষ্ঠান মিলে এখন এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড নামে ছবি নির্মাণ করছেন। জানা গেছে, মহেন্দ্র সোনির নিমন্ত্রণেই এই পুনর্মিলন। তবে ছবি দেখে নেটিজেনরা আশায় বুক বাঁধছেন হয়তো বড় কিছু অপেক্ষা করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘তাণ্ডব’ সিনেমার ডাবিংয়ের কাজে এখন কলকাতায় আছেন শাকিব খান ও জয়া আহসানরা। ডাবিংয়ের ফাঁকে প্রযোজক মহেন্দ্র সোনির কলকাতার বাড়িতে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দাওয়াতে অংশ নেন শাকিব খান, জয়া আহসান, রায়হান রাফী, প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল এবং কলকাতার অভিনয়শিল্পীরা। সেখানেই নৈশভোজের পাশপাশি আড্ডায় মেতে ওঠেন তাঁরা। এরপর মুহূর্ত ধরে রাখতে ফ্রেমবন্দীও হন তাঁরা।
টালিউডের প্রায় সব জনপ্রিয় নায়িকা শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। অনেকেই বলে থাকেন যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘শিকারি’ দিয়ে নতুন অধ্যায়ের শুরু হয় শাকিবের। ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘শিকারি’ ছবিতে শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেন শ্রাবন্তী। সিনেমাটির পর দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও শাকিবের ভক্ত-অনুরাগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরের বছর টালিউডের আরেক জনপ্রিয় নায়িকা শুভশ্রীর সঙ্গে শাকিবের ‘নবাব’ সিনেমাও ব্যবসায়িক সফলতা পায়। এর পরের বছর ফের শাকিব-শুভশ্রীকে দেখা যায় ‘চালবাজ’ সিনেমায়। শ্রাবন্তীর সঙ্গে ‘ভাইজান এলোরে সিনেমায়’ও দেখা গেছে শাকিবকে।

‘শিকারি’ ছবিতে শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেন শ্রাবন্তী.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ র বন ত

এছাড়াও পড়ুন:

কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড গড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর, বেড়েছে রাজস্ব আয়

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে। নানা বাধা প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও বন্দরে বেড়েছে আমদানি। বন্দরে চাপ বাড়লেও বহির্নোঙরে জাহাজের অপেক্ষার সময় রীতিমতো শূন্যে নেমেছে। সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বছর পণ্য আমদানিতে ২৩ শতাংশের বেশি রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে। 

চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস হাউসের পরিসংখ্যানে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এই ১০ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর রেকর্ড ২৮ লাখ ৫০ হাজার টিইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। একই সময়ে কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ ১১ কোটি ৫০ লাখ টন। বিগত বছরের তুলনায় কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে সাড়ে ১২ শতাংশ। এছাড়া আগের বছরে তুলনায় এই বছরের ১০ মাসে বন্দরে জাহাজ বেশি এসেছে ৩৫১টি।

আরো পড়ুন:

ভারতের অনুমতির অপেক্ষায় বুড়িমারীতে আটকা ভুটানের পণ্য 

চট্টগ্রাম থেকে ভুটানের পথে প্রথম পণ্যবাহী কন্টেইনার

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার এইচ এম কবির জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের আগমন এবং কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বছর পণ্য আমদানিতে ২৩ শতাংশের বেশি রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, চলতি বছরের ১০ মাসেই রেকর্ড পরিমাণ কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে। নতুন মাইলফলক গড়ার অপেক্ষায় রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর।  ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, অটোমেশনসহ সামগ্রিকভাবে বন্দরের দক্ষতা বাড়ায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

তিনি জানান, বন্দরে এখন কোনো জাহাজ জট নেই। বহিনোঙরে কোনো জাহাজকে পণ্য খালাসের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয় না। জাহাজের অপেক্ষমান সময় শূন্যে নেমে এসেছে, ফলে সামগ্রীকভাবে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গতি বেড়েছে।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ