শাকিবের সঙ্গে হঠাৎ এক ফ্রেমে দুই দেশের তিন নায়িকা, কেন...
Published: 25th, May 2025 GMT
ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে বিভিন্ন সময় অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের একাধিক নায়িকা। তাঁদের মধ্য থেকে তিনজনকে আজ রোববার শাকিবের সঙ্গে দেখা গেল। সকাল থেকেই চলচ্চিত্রের বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে ঘুরছে শাকিব খানের সঙ্গে তিন নায়িকার একটি স্থিরচিত্র, যেখানে আছেন জয়া আহসান, শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি ও শুভশ্রী গাঙ্গুলি। আরও আছেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য। একই ফ্রেমে আছেন পরিচালক রায়হান রাফী, বাংলাদেশের প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল ও ভারতের মহেন্দ্র সোনিকে। দুজনের দুই প্রতিষ্ঠান মিলে এখন এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড নামে ছবি নির্মাণ করছেন। জানা গেছে, মহেন্দ্র সোনির নিমন্ত্রণেই এই পুনর্মিলন। তবে ছবি দেখে নেটিজেনরা আশায় বুক বাঁধছেন হয়তো বড় কিছু অপেক্ষা করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘তাণ্ডব’ সিনেমার ডাবিংয়ের কাজে এখন কলকাতায় আছেন শাকিব খান ও জয়া আহসানরা। ডাবিংয়ের ফাঁকে প্রযোজক মহেন্দ্র সোনির কলকাতার বাড়িতে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দাওয়াতে অংশ নেন শাকিব খান, জয়া আহসান, রায়হান রাফী, প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল এবং কলকাতার অভিনয়শিল্পীরা। সেখানেই নৈশভোজের পাশপাশি আড্ডায় মেতে ওঠেন তাঁরা। এরপর মুহূর্ত ধরে রাখতে ফ্রেমবন্দীও হন তাঁরা।
টালিউডের প্রায় সব জনপ্রিয় নায়িকা শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। অনেকেই বলে থাকেন যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘শিকারি’ দিয়ে নতুন অধ্যায়ের শুরু হয় শাকিবের। ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘শিকারি’ ছবিতে শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেন শ্রাবন্তী। সিনেমাটির পর দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও শাকিবের ভক্ত-অনুরাগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরের বছর টালিউডের আরেক জনপ্রিয় নায়িকা শুভশ্রীর সঙ্গে শাকিবের ‘নবাব’ সিনেমাও ব্যবসায়িক সফলতা পায়। এর পরের বছর ফের শাকিব-শুভশ্রীকে দেখা যায় ‘চালবাজ’ সিনেমায়। শ্রাবন্তীর সঙ্গে ‘ভাইজান এলোরে সিনেমায়’ও দেখা গেছে শাকিবকে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ র বন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ভিডিও দেখে ঘুরতে গিয়ে দেখেন এমন কিছুই নেই
এখন সব দিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের জোয়ার। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষণা হচ্ছে, লেখালেখি হচ্ছে, অডিও-ভিডিওসহ নানা কিছু তৈরি হচ্ছে। এআই দিয়ে তৈরি একটি ভিডিওতে একটি দর্শনীয় স্থান দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন মালয়েশিয়ার এক প্রবীণ দম্পতি। তাঁরা প্রায় তিন ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে গিয়েছিলেন দেশটির পেরাক রাজ্যের একটি ছোট শহরে। কিন্তু যাওয়ার পরে তাঁরা জানতে পারলেন, যে দর্শনীয় স্থানটি দেখতে এসেছেন, আদতেই সেটার কোনো অস্তিত্বই নেই।
এই দম্পতি কুয়ালালামপুর থেকে গিয়েছিলেন কুয়াক হুলু শহরে। ভিডিওতে ‘কুয়াক স্কাই রাইড’ নামে মনোরম একটি কেব্ল কারের যাত্রা দেখানো হয়েছিল। যেখানে উপস্থাপিকা ট্রামে চড়ে পাহাড়ি দৃশ্য উপভোগ করছেন এবং দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথাও বলছিলেন।
সেই ভিডিও দেখে মুগ্ধ হয়ে ওই দম্পতি অনিন্দ্যসুন্দর স্থানটি নিজ চোখে দেখার লোভ সামলাতে পারেননি। স্থানটি ঘুরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। পরিকল্পনা করে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন। ৩০ জুন তাঁরা কুয়াক শহরের একটি হোটেলে পৌঁছান। রিসেপশনে গিয়ে জানতে চান, কুয়াক স্কাই রাইডে যাওয়ার উপায় কী?
হোটেল কর্মী ডায়া প্রথমে ভেবেছিলেন, অতিথিরা হয়তো মজা করছেন। কিন্তু পরে বুঝতে পারেন, তাঁরা আসলেই জায়গাটির ঠিকানা জানতে চাইছেন। তাঁদের পুরোপুরি বিশ্বাস, কুয়াকে এমন একটি দর্শনীয় স্থান আছে। ডায়া ওই দম্পতিকে বলেন, এই ছোট্ট সুনসান শহরে আসলে তেমন কোনো দর্শনীয় স্থানই নেই।
ওই দম্পতি ডায়াকে বলেন, তাঁরা ‘টিভি রাকইয়াত’ নামের একটি চ্যানেলের একটি ভিডিও দেখেছেন। সেখানে দারুণ চটপটে এক নারী উপস্থাপিকা কুয়াক স্কাই রাইডের বিস্তারিত পরিচয়, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি তুলে ধরেছেন।
তখন ডায়া তাঁদের বলেন, ভিডিওতে দেখানো উপস্থাপিকা, ট্রামযাত্রা, দর্শনার্থী, পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য, রেস্তোরাঁ—সবই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি। বাস্তবে এসবের অস্তিত্বই নেই। তাঁরা যা দেখেছেন, তার কোনো কিছুই বাস্তব নয়। এ কথা শুনে বৃদ্ধা চটে যান। বললেন, ‘মানুষকে নিয়ে কেন এই প্রতারণা?’
হোটেল কর্মী বলেন, ওই নারী এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে ভিডিওর সাংবাদিককে আদালতে নেওয়ার হুমকি দেন। ভিডিওর সবকিছু যে প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি, বারবার বোঝানো সত্ত্বেও তিনি তা বুঝতে পারছিলেন না।