চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মো. আবু সুফিয়ান নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সার্জেন্টের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের মাছুমের তালুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতেরা ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, টাকা ও মুঠোফোন লুট করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সরেজমিনে দেখা যায়, মো.

আবু সুফিয়ানের একতলা পাকা বাড়ির সদর দরজার তালা ভাঙা। এ তালা ভেঙেই ডাকাত দলের সদস্যরা ভেতরে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেন সুফিয়ান। ঘরের অন্তত চারটি কক্ষের আলমারিসহ বিভিন্ন আসবাব তছনছ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

জানতে চাইলে মো. আবু সুফিয়ান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘরে দুই ছেলের স্ত্রী, তাঁদের দুই শিশুকন্যা এবং আমি ও আমার স্ত্রী ঘরে ছিলাম। দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘরের সদর দরজার তালা ভেঙে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ সাত ডাকাত ঘরে ঢোকে। তারা প্রথমেই আমার কক্ষে প্রবেশের পর গলায় ছুরি ধরে আমাকে জিম্মি করে রাখে। এরপর আমার হাত বেঁধে অন্যান্য কক্ষে প্রবেশের পর লুটপাট শুরু করে।’

স্বর্ণালংকার দেরিতে দেওয়ায় দুই পুত্রবধূকে মারধর করা হয়েছে জানিয়ে আবু সুফিয়ান বলেন, ‘ডাকাতেরা আমার দুই ছেলের স্ত্রীকে মারধর ও তাঁদের ছোট শিশুদের গলা টিপে ধরে। আধা ঘণ্টার মধ্যে তারা ঘরের বিভিন্ন কক্ষের আলমারি ভেঙে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, ২৫ হাজার ৭০০ টাকা, চারটি মুঠোফোন ও একটি ঘড়ি নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করব।’

জানতে চাইলে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতেই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অপরাধীদের ধরতে অভিযান চলছে।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত প্রশান্তি আসবে না: হাসিনুর রহমান

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘মহান আল্লাহর শুকরিয়া, আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রশান্তি আসবে না।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ সোমবার শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১। রায় প্রকাশের আগে থেকেই হাইকোর্টের মাজার ফটকে ‘মঞ্চ ২৪’ নামের একটি সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান৷

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রকাশের পর বেলা তিনটার দিকে প্রতিক্রিয়া জানান হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক। তিনি বলেন, ‘এই রায়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর ভাষা নেই। সেই আয়নাঘর, চাকরিরত অবস্থায় গুম ও জেলখানায় নির্যাতন আমাকে সহ্য করতে হয়েছে। মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রশান্তি আসবে না। জুলাই বিপ্লবে শহীদ ১ হাজার ৪০০ মানুষের জন্য আজকে আমরা এখানে। ...দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘যোগ্য ব্যক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করে হাসিনুর রহমান বলেন, আইনি সহায়তার মাধ্যমে তিনি বিদেশ থেকে হাসিনাকে আনতে পারবেন। শেখ হাসিনাকে আনতে ভারতীয় জনগণের সহায়তা প্রয়োজন। ভারতীয় জনগণ, পশ্চিম বাংলার লোকেরা ইনশা আল্লাহ সহায়তা করবে।

একই সময়ে হাইকোর্টের মাজার ফটকের সামনে গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা মিছিল করেন। তাঁরা ‘এই মুহূর্তে রায় এল, খুনি হাসিনার ফাঁসি হলো’, ‘হাসিনার ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’ এমন স্লোগান দেন। এতে নেতৃত্ব দেন গণ অধিকার পরিষদের নেতা মাহফুজুর রহমান খান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত প্রশান্তি আসবে না: হাসিনুর রহমান