ময়মনসিংহের ফুলপুরে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি আসনের অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বেপরোয়া গতিতে ছোটার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেছেন এক যাত্রী। তাঁর ভাষ্য, বাসটি দাঁড়ানো যাত্রী দিয়ে ঠাসাঠাসি অবস্থা ছিল। এ অবস্থায় চালকের এক সহকারী এটি চালাচ্ছিলেন।

শ্যামলী বাংলা পরিবহনের দুর্ঘটনাকবলিত বাসে ময়মনসিংহ শহরে আসছিলেন হালুয়াঘাটের জুগলি এলাকার বাসিন্দা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত। গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি থাকায় রাস্তা স্যাঁতসেঁতে ছিল। বেপরোয়া গতিতে আসা মাহিন্দ্রা, বাসে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও অদক্ষ চালক দিয়ে বাস চালানোয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে আমি মনে করেছি।’

আরও পড়ুনময়মনসিংহে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮১ ঘণ্টা আগে

ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘ঢাকাগামী বাসটিতে সিটে যাত্রী নিলেও ২০ থেকে ২৫ জন দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর এটি চালাচ্ছিলেন ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী এক তরুণ। তাঁকে দেখে হেলপার (চালকের সহকারী) মনে হয়েছে। যাত্রীতে ঠাসাঠাসি অবস্থায় আমি বাসের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে ছিলাম। ফুলপুরের কাজিয়াকান্দা এলাকায় বাসটি যখন পৌঁছায়, তখন সামনে দ্রুতগতিতে আসছিল মাহিন্দ্রা গাড়িটি। মুহূর্তেই এই দুই গাড়ির সংঘর্ষ হয়। আমি খুব শক্ত করে হাতল ধরে রাখলেও প্রায় তিন হাত সামনের দিকে চলে যাই। যখন নিজে স্থির হই, আমার সামনে কাউকে আর দাঁড়ানো দেখিনি। সবাই আহত অবস্থায় গড়িয়ে নিচের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন দ্রুত বাস থেকে নেমে যাই। আশপাশের লোকজনও ছোটাছুটি করে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মাহিন্দ্রাটি ছিটকে বিদ্যুতের খুঁটিতে গিয়ে চ্যাপটা হয়ে যায়। আর বাসটি রাস্তার বিপরীত দিকে একটি গাছে ধাক্কা দিয়ে আটকে যায়।’

এ প্রসঙ্গে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, বাসটি চালক নাকি তাঁর সহকারী চালাচ্ছিলেন, তা তদন্তে বের হবে। তাঁদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। আপাতত বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

এদিকে ওই দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় কারও গাফিলতি ছিল কি না, তা বের করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুনময়মনসিংহে দুই স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০১৪ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ য় দ র ঘটন স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

আনন্দ মোহনের অধ্যক্ষকে ওএসডি, অভিযোগ—তিনি আওয়ামী লীগের ‘দোসর’

ময়মনসিংহের সরকারি আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ আমান উল্লাহকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল ৪টায় দায়িত্ব হস্তান্তর করে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন তিনি। এ সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন উপাধ্যক্ষ সাকির হোসেন।

এর আগে ৩১ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে উপসচিব (সরকারি কলেজ-২) আ. কুদদুসের সই করা একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে রোববার বিকেলের আগে উপাধ্যক্ষকে অধ্যক্ষ পদের দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বলা হয়। আমান উল্লাহকে ২০২১ সালের ৮ আগস্ট অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছিল। তিনি একই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করে আসছিলেন।

গতকাল বিকেলে দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাকির হোসেনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (কমিটি স্থগিত) নেতারা। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়। তাঁদের একজন আনোয়ার হোসেন (যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা শাখার আহ্বায়ক) দাবি করেন, ‘সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ আওয়ামী লীগের দোসর ছিলেন।’ তাঁরা লিখিতভাবে সচিবালয়ে ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর।

আমান উল্লাহকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাকির হোসেন বলেন, ‘গতকাল বিকেল ৪টার দিকে আমি দায়িত্ব বুঝে পেয়েছি। কলেজে যেন সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে পারি, এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৃষ্টির দাপট চলবে আরো কয়েকদিন, কমবে পরের সপ্তাহে
  • চার জেলায় বন্যার সতর্কতা
  • আনন্দ মোহনের অধ্যক্ষকে ওএসডি, অভিযোগ—তিনি আওয়ামী লীগের ‘দোসর’
  • চার বিভাগে বৃষ্টি বাড়তে পারে