লক্ষ্মীপুরে ডাকাতির সময় গৃহবধূকে ধর্ষণ, মামলার পর দুজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ
Published: 23rd, June 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে ডাকাতি করতে গিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. সোহেল (২৪) ও নুর করিম (২৬)।
এর আগে গতকাল রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে সদর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনায় রোববার রাতে গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার গভীর রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার একটি বাড়িতে ৬ সদস্যের ডাকাত দল প্রবেশ করে। দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ডাকাত দল গৃহকর্তার হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে তারা ঘরে থাকা টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে। একপর্যায়ে তারা গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এর মধ্যে দুজনকে পরিবারের লোকজন চিনতে পারেন।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ঝলক মোহন্ত বলেন, ধর্ষণের মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের রিমান্ডে এনে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর লক ষ ম প র গ হবধ ক
এছাড়াও পড়ুন:
মামদানির জয়, ট্রাম্পকে বার্তা
প্রথম মুসলমান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জোহরান মামদানি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির অভিজাতদের একটি বড় অংশের তীব্র বিরোধিতাকে ছাপিয়ে ইতিহাস গড়া জয় পেয়েছেন তিনি। তরুণ ও স্বল্প আয়ের ভোটারদের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে বিজয়ী হওয়া মামদানি শত বছরের মধ্যে নিউইয়র্কের সবচেয়ে কম বয়সী মেয়র হচ্ছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার ১০ মাসের মাথায় অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ৩৪ বছর বয়সী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী মামদানির জয় দেশটির জাতীয় রাজনীতিতেও নতুন বার্তা দিচ্ছে। মামদানি ছাড়াও ভার্জিনিয়া ও নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত গভর্নর পদে নির্বাচনেও উদারপন্থী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আবিগেইল স্প্যানবার্গার ও মিকি শেরিল রিপাবলিকান প্রার্থীদের হারিয়েছেন। এ ব্যর্থতা রিপাবলিকানদের জন্য আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। দ্রব্যমূল্য কমানোর ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় বসা ট্রাম্পের এবারের শাসনামলে উল্টো পণ্যের দাম বেড়েছে। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে তাঁর কঠোর অবস্থানও অনেকের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করেছে।
নির্বাচনে রিপাবলিকানরা ধরাশায়ী হওয়ার পর গতকাল ট্রাম্প বলেছেন, নির্বাচন ছিল ‘খুব নাটকীয়’। এটা রিপাবলিকানদের জন্য ‘ভালো ছিল না’। এই নির্বাচন থেকে তাঁরা অনেক কিছু শিখেছেন।
ট্রাম্প আরও বলেন, জনমত জরিপগুলোর তথ্য অনুযায়ী সরকারের অচলাবস্থা নির্বাচনে রিপাবলিকানদের জন্য একটি বড় নেতিবাচক বিষয় ছিল। তা ছাড়া ব্যালটে তাঁর নাম না থাকাটা ছিল ‘সবচেয়ে বড় বিষয়’। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয়ের বিল কংগ্রেসে পাস না হওয়ায় ১ অক্টোবর থেকে সরকারের অচলাবস্থা চলছে।
এমন সময়ে মামদানিসহ ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের জয়ে ভবিষ্যৎ ‘কিছুটা উজ্জ্বল’ দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মঙ্গলবারের নির্বাচনে বিজয়ী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেছেন, দলের জন্য এখনো বহু কাজ করতে হবে। এক্সে এক পোস্টে ওবামা লিখেছেন, ‘এটা মনে করিয়ে দিচ্ছে যে যখন আমরা বলিষ্ঠ, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতাদের ঘিরে একত্র হই, যাঁরা পরিবর্তন আনতে পারার মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেন, সে সময় আমরা জয়ী হতে পারি।’
ভারতীয় মা-বাবার সন্তান জোহরান মামদানির জন্ম উগান্ডায়। সাত বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে যান তিনি। এ নিয়ে ট্রাম্পের কাছ থেকে কটু কথাও শুনতে হয়েছে তাঁকে। মামদানি ‘অবৈধ অভিবাসী’ হতে পারেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করে তাঁকে দেশ থেকে তাড়ানোর হুমকিও দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
তবে নিজেকে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট পরিচয় দেওয়া মামদানি তাঁর নীতিতে অটল ছিলেন। স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলে গেছেন তিনি। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি। এমনকি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এক সাক্ষাৎকারে যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিউইয়র্ক সফরে এলে তিনি কী করবেন। জবাবে মামদানি বলেছিলেন, ‘একজন মেয়র হিসেবে আমি তাঁকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেব।’
মামদানি যেভাবে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন, তেমনটি বারাক ওবামার প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকে আর দেখা যায়নি বলে উল্লেখ করেছেন ওবামার সাবেক উপ–জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক বেন রোডস। গতকাল বুধবার রেডিও ফোরের টুডে অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, মামদানি নিউইয়র্ক শহরের তরুণ ভোটার ও অভিবাসীদের ভোট দিতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে নির্বাচনের চিত্র বদলে দিয়েছেন।
ভোটের রেকর্ডনিউইয়র্ক শহরের মঙ্গলবারের মেয়র নির্বাচনে প্রায় ২০ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন, যা ৫৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। নিউইয়র্ক সময় গতকাল সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত ৯১ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৫০ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মামদানি। তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১০ লাখ ৩৬ হাজার ৫১।
মামদানির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমো পেয়েছেন ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট। তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯৯৫। আর ৭ দশমিক ১ শতাংশ ভোট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ১৩৭ ভোট।
নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করে মামদানিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অ্যান্ড্রু কুমো। ভবিষ্যতে যেকোনো প্রয়োজনে নগর কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটের খরা চলছিল। বলা যায়, মামদানি তা ঘুচিয়ে দিয়েছেন। ১৯৬৯ সালের পর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে এবারই প্রথম প্রায় ২০ লাখ ভোট পড়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে ১০ লাখের বেশি ভোট আর কেউ পাননি। চার বছর আগে নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ভোট পড়েছিল মাত্র ১১ লাখ।
যেখানে বাজিমাত করেছেন মামদানিনিউইয়র্কের বুশউইক ও উইলিয়ামসবার্গের মতো যেসব এলাকায় উচ্চবিত্তদের আগমনে স্বল্প আয়ের মানুষদের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়ছে, সেসব এলাকার তরুণ বাসিন্দা, ট্যাক্সিচালক, বোডেগা (ছোট দোকান) মালিক এবং কুইন্স ও ব্রোঙ্কসে বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের মধ্যে শ্রমজীবী শ্রেণির লোকেরা ব্যাপকভাবে মামদানিকে ভোট দিয়েছেন। এত দিন এসব ভোটারের বিষয়ে খুব বেশি গুরুত্ব দেননি ডেমোক্র্যাটরা।
নিউইয়র্কের কুইন্সের জ্যামাইকায় অনেক বাংলাদেশির বসবাস। সেখানে মঙ্গলবার রাতেই স্লোগান ওঠে, ‘আমার মেয়র—তোমার মেয়র, মামদানি মামদানি’, ‘নিউইয়র্কের মেয়র—মামদানি মামদানি’, ‘শ্রমিকশ্রেণির মেয়র—মামদানি মামদানি’।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন লিখেছে, রাস্তায় নেমে স্লোগানমুখর এই বাংলাদেশিদের হাতে ব্যানারে লেখা ছিল, ‘জ্যামাইকার বাংলাদেশি–আমেরিকানরা মামদানির জন্য।’ জোহরান মামদানি ভোটের প্রচার শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশিদের সমর্থন পাচ্ছিলেন। তাঁর পক্ষে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রচার বেশ সাড়া ফেলেছিল। মামদানি নিজেও বাংলায় কথা বলে তাঁদের মন জয় করে নেন।
দল-মতনির্বিশেষে ভোটারদের আস্থার প্রতিদান দিতে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়েছেন মামদানি। বিজয় ভাষণে তিনি বলেছেন, ‘আমি প্রতিদিন সকালে জেগে উঠব একটিই লক্ষ্য নিয়ে। সেটা হলো, শহরটিকে আগের দিনের চেয়ে ভালো করে তোলা।’
অনেক রেকর্ডের মালিক হবেন মামদানিআগামী বছরের ১ জানুয়ারি মামদানি যখন নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে শপথ নেবেন, তখন তিনি হবেন এক শতকের মধ্যে এই পদে সবচেয়ে কম বয়সী ব্যক্তি। নিউইয়র্কের কুইন্স থেকে নির্বাচিত রাজ্য আইনসভার সদস্য মামদানি হবেন নিউইয়র্কের প্রথম মুসলমান মেয়র। শহরটির ৪০০ বছরের ইতিহাসে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত প্রথম মেয়রও তিনি। প্রথম দফায় নিউইয়র্কের মেয়র হওয়া এরিক অ্যাডামসের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি। একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে জনসমর্থন হারানো অ্যাডামস এবার মেয়র নির্বাচনের দৌড় থেকে ছিটকে পড়েন।
মঙ্গলবার রাতে উৎফুল্ল সমর্থকদের সামনে মামদানির ভাষণের সময় পাশে ছিলেন তাঁর বাবা মাহমুদ মামদানি ও মা মীরা নায়ার। মাহমুদ মামদানির (৭৯) জন্ম ভারতের মুম্বাইয়ে। তিনি বেড়ে উঠেছেন উগান্ডায়, সেখানে জন্ম জোহরান মামদানির। নৃবিজ্ঞানী মাহমুদ যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক।
মীরা নায়ার (৬৮) একজন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি ভারতের আধুনিক সমাজে রূপান্তর ও দেশের বিশাল প্রবাসী জনগোষ্ঠীর পরিচয়সংক্রান্ত সংগ্রাম নিয়ে একাধিক আন্তর্জাতিক সফল চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন। তাঁর সর্বাধিক পরিচিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ডেনজেল ওয়াশিংটন অভিনীত মিসিসিপি মাসালা এবং ২০০১ সালের কমেডি ড্রামা মনসুন ওয়েডিং।
উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় ১৯৯১ সালে জন্মগ্রহণ করেন মামদানি। সাত বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে এসে পড়াশোনা করেন। মেইন অঙ্গরাজ্যের বোডোইন কলেজ থেকে আফ্রিকান স্টাডিজে স্নাতক করেন জোহরান মামদানি। রাজনীতিতে আসার আগে আবাসনবিষয়ক পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। মূলত স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোকে উচ্ছেদের হাত থেকে রক্ষায় কাজ করেন তিনি।
২০২০ সালে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি নির্বাচনে কুইন্স থেকে নির্বাচিত হন। এ বছরের শুরুর দিকে নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে বসবাস করা সিরিয়ান চিত্রশিল্পী রামা দুয়াজিকে বিয়ে করেন। দ্য নিউ ইয়র্কার, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর মতো বিখ্যাত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই চিত্রশিল্পীর কাজ প্রকাশিত হয়েছে।
‘আশাবাদের জয়’জোহরান মামদানির জয় যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতেও মনোযোগ কেড়েছে। লন্ডনের মেয়র সাদিক খান দুজনের মধ্যে মিল খুঁজে পেয়েছেন। বলেছেন, ‘নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের সামনে আশা ও আতঙ্ক—এই দুটির একটিকে বেছে নেওয়ার স্পষ্ট সুযোগ ছিল এবং আমরা যেমনটি লন্ডনে দেখেছি, আশা বিজয়ী হয়েছে।’ লন্ডনের মেয়রের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রও দুই নেতার অভিন্ন মুসলিম বিশ্বাস এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছ থেকে একই ধরনের আক্রমণের শিকার হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও মামদানির জয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এক্সে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, মামদানির নির্বাচনী প্রচার ছিল অনুপ্রেরণাদায়ক। বিশ্বজুড়ে প্রগতিশীলদের জন্য এখানে শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। যুক্তরাজ্যের গ্রিন পার্টির নেতা জ্যাক পোলানস্কি বলেছেন, তিনিও মামদানির মতো বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন।
নিউইয়র্ক হবে ‘আলোকবর্তিকা’মেয়র নির্বাচিত হয়ে নতুন দিনের আশাবাদ জানিয়েছেন মামদানি। নিউইয়র্কবাসীর জন্য বিনা মূল্যে বাসসেবা, সর্বজনীন শিশু পরিচর্যাসেবা এবং শহরকে আরও বাসযোগ্য করে তোলার জন্য বাসা ভাড়া বৃদ্ধিতে লাগাম টানার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
আশার বার্তা দিয়ে বিজয়ী ভাষণে জনতার উদ্দেশে জোহরান মামদানি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক অন্ধকারের এই সময়ে নিউইয়র্ক হবে আলোকবর্তিকা।’
অভিবাসীসহ সবার জন্য কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন মামদানি। ইহুদি সম্প্রদায়ের যেসব সদস্য ইহুদিবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন, তাঁদেরও পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।