সাইমন হারমারকে আউট করে আসিফ আফ্রিদি যখন সবচেয়ে বেশি বয়সী অভিষিক্ত হিসেবে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন, দক্ষিণ আফ্রিকার রান তখন ৭ উইকেটে ২১০। তখনো পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ১৯৪ রানে পিছিয়ে তারা। কিন্তু দিন শেষে সেই দক্ষিণ আফ্রিকাই এখন রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে সুবিধাজনক অবস্থানে।

টেলএন্ডারদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে নিয়েছে ৭১ রানের লিড। যে লিডে উজ্জীবিত হয়ে পরে বোলাররা চাপে ফেলেছেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের। বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান যখন তৃতীয় দিনের খেলা শেষে মাঠ ছেড়েছেন, পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ৪ উইকেটে ৯৪। দক্ষিণ আফ্রিকার লিড বাদ দিলে যা কার্যত ২৩/৪।

পাকিস্তান ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কত রানের লক্ষ্য দিতে পারবে, তা অনেকটা নির্ভর করছে বাবর–রিজওয়ানের ওপর। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তান। ইমাম উল হক ও শান মাসুদ দুজনই ফিরেছেন হারমারের বলে এলবিডব্লু হয়ে। আর কাগিসো রাবাদার বলে ইয়ানসেনের ক্যাচ হয়েছেন আবদুল্লাহ শফিক।

পাঁচে নামা সৌদ শাকিলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, বাবরের সঙ্গে তাঁর ৪৪ রানের জুটি ভাঙে হারমারের বলে আউট হয়ে। দিনের বাকি সময়ে রিজওয়ানকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন থাকেন বাবর। ফিফটির দ্বারপ্রান্তে থাকা বাবরের রান ৮৩ বলে ৪৯, রিজওয়ানের ৪৯ বলে ১৬।

অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন রিজওয়ান ও বাবর.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জওয় ন ব বর র উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

পরিচয় শনাক্তে তোলা হচ্ছে ১১৪ জুলাই শহীদের লাশ 

পরিচয় শনাক্ত করতে রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ অজ্ঞাতনামা ১১৪ জনের লাশ তোলা হচ্ছে। 

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাশ উত্তোলন শুরু করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আরো পড়ুন:

এনজিওর ৬০০ কোটি টাকা প্রতারণা, সিআইডির অভিযানে তনু গ্রেপ্তার 

১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা

ঘটনাস্থল থেকে সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ বলেন, “আনাসের মতো যারা বুকের রক্ত ঢেলে দেশের জন্য রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তাদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।” 

তিনি আরো বলেন, “এই কবরস্থানে যারা নাম-পরিচয়হীন অবস্থায় শুয়ে আছেন, তাদের পরিচয় তখন যাচাই-বাছাই করা হয়নি। তাদের পরিচয় উদঘাটন করা জাতির প্রতি আমাদের একটি দায়িত্ব। আজ সেই মহান কাজের সূচনা হলো।” 

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার (ওএইচসিএইচআর) মাধ্যমে আর্জেন্টিনা থেকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুইস ফন্ডিব্রাইডার ঢাকায় এসে পুরো কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি গত ৪০ বছরে ৬৫টি দেশে এ ধরনের অপারেশন পরিচালনা করেছেন বলে বাসসের খবরে বলা হয়। 
 
সিআইডি’র প্রধান বলেন, “লাশ শনাক্তের জন্য এরইমধ্যে ১০ জন আবেদন করেছেন। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এখানে শহীদের সংখ্যা ১১৪ জনের বেশি। প্রকৃত সংখ্যা লাশ উত্তোলনের পর জানা যাবে।”

তিনি আরো বলেন, “সব লাশের পোস্টমর্টেম করা হবে এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। পরে ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করে ধর্মীয় সম্মান বজায় রেখে পুনঃদাফন করা হবে।” 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিচয় শনাক্ত হলে, পরিবার চাইলে লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও তিনি জানান। 

তিনি আরো বলেন, “ডিএনএ সংগ্রহের পর, যে কেউ আবেদন করলে সহজেই শনাক্ত করা যাবে। সিআইডির হটলাইন নম্বরগুলো জানিয়ে দেওয়া হবে, যাতে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন।” 

এ সময় ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটসের (ইউএনএইচআর) সহযোগিতায় আগত আর্জেন্টিনার আন্তর্জাতিক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুইস ফন্ডিব্রাইডার বলেন, “আমি গত তিন মাস ধরে সিআইডির সঙ্গে কাজ করছি। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।” 

ঢাকা/ইভা   

সম্পর্কিত নিবন্ধ