বাংলাদেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জনসমর্থনের দিক থেকে ‘আমজনতার দল’ যদি শীর্ষ ১০ দলের মধ্যে জায়গা না পায়, তবে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির সদস্য সচিব তারেক রহমান।

বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রধান ফটকের সামনে আমরণ অনশনের দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। 

তারেক রহমান বলেন, “ইসির কর্মকর্তারা আমাদের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে বসার জন্য টুল চেয়েছিলেন। আমরা দিয়েছিলাম, কিন্তু তা তাদের পছন্দ হয়নি। টিনের বেড়ার ঘরও তাদের পছন্দ হয়নি। অথচ আমরা নতুন দল হিসেবে সীমিত সামর্থ্যে কাজ করছি। ইসি যেন আমাদের প্রতিটি বিষয়ে খুঁত ধরছে।”

তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের নির্দেশেই তাদের দলের নিবন্ধন আটকে দেওয়া হয়েছে। “ইসি বলছে তারা আমাদের চেনে না, কিন্তু দেশের মানুষ চেনে। আমরা শুধু সত্য কথা বলি বলেই আমাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি,” দাবি করেন তিনি।

সরকারের উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে তারেক বলেন, “যাদের নির্বাচন না করার কথা ছিল, তারাই এখন নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। এমনকি নতুন দল গঠনের চেষ্টাও চলছে, যাতে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়।”

এ সময় তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে বই ছাপানোর নামে কয়েকশ’ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনেন।

তিনি আরো বলেন, “আমরা হয়তো বেশি ভোট পাব না, হয়তো জিতবও না; তবুও সীমিত সমর্থন নিয়ে কাজ চালিয়ে যাব।”

অন্য কোনো দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে তিনি বলেন, “আমরা নিজের দলে থাকব। আমরা ‘ঢেঁকি মার্কা’ প্রতীক চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটিও পাইনি।”

ঢাকা/এএএম/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

সালাউদ্দিনের অনুরোধে ১৩৪ ঘণ্টার অনশন ভেঙে হাসপাতালে তারেক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের অনুরোধে ১৩৪ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক ও তরুণ নেতা তারেক রহমান।

রবিবার (৯ নভেম্বর) রাতে তিনি অনশন ভাঙেন।

নিবন্ধনের দাবিতে তারেক রহমান টানা অনশন চালিয়ে যান। তার দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন না পাওয়ায় তিনি অনশন শুরু করেছিলেন।

মঙ্গলবার বিকাল থেকে তিনি ইসি ভবনের সামনে এ অনশন চালিয়ে যান। নিবন্ধন না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

তবে তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। রবিবার রাতে তাকে দেখতে ছুটে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তার অনুরোধে ১৩৪ ঘণ্টা পরে অনশন ভাঙেন তারেক। এরপর তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সন্ধ্যায় বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় তারেক রহমানকে দেখতে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে যান সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরবর্তী আপিলে নির্বাচন কমিশনকে সহানুভূতি দেখানোর আহবান জানান তিনি।

এর আগে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তাকে দেখতে ছুটে যান বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। বৃহস্পতিবার আমজনতা দলের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অনশনস্থলে উপস্থিত হন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

ওইদিন সন্ধ্যায় বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, রিজভী আমজনতা দলের নিবন্ধন দাবিতে অনশনরত মো. তারেক রহমানের পাশে অবস্থান করছেন এবং তাকে বিএনপির পক্ষ থেকে সংহতি জানাচ্ছেন।

এ সময় বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, “তারেকের আমজনতার দল নিবন্ধিত হয়নি। আমি দেখিছি কিছু গুরুত্বহীন দলও নিবন্ধিত হয়েছে। কিন্তু তারেকের দলকে নিবন্ধন দেওয়া হলো না কেন আমি বুঝতে পারলাম না। তারেক এ দেশের স্বার্থে, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছন, দেশের সার্বভৌমত্বের পক্ষে কথা বলেছেন।”

তিনি আরো বলেন, “তারেক একটি রাজনৈতিক দল গঠন এবং সেটির নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন। তিনি তো কোনো গোপন রাজনৈতিক দল করতে চাননি। তিনি আইনসম্মতভাবে রাজনীতি করতে চেয়েছেন। তিনি স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছেন। আজকে তার দলের নিবন্ধন দেবেন না, তাহলে আপনারা কাদের নিবন্ধন দেবেন?”

গত ৪ নভেম্বর চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে নির্বাচন কমিশন তিনটি দল—জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনের অনুমোদন দেয়। এরপর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়ার কথা জানানো হয়।

তবে তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় তারেক রহমানের ‘আমজনতার দল’। সেই দিন বিকাল থেকেই নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকে অনশন শুরু করেন তিনি।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সালাউদ্দিনের অনুরোধে ১৩৪ ঘণ্টার অনশন ভেঙে হাসপাতালে তারেক
  • পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপের উদ্বোধন ১৮ নভেম্বর