অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া বরাবরই স্পষ্ট। প্রায়ই স্পষ্ট ভাষায় নিজের মতামত তুলে ধরেন। এবার ব্যক্তিজীবনের কিছু বিষয় তুলে ধরে উপলব্ধির কথা জানালেন এই অভিনেত্রী। তার মতে, এক অদ্ভুত খেলার নাম।

আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শবনম ফারিয়া লিখেছেন, ‘জীবন যেন এক অদ্ভুত খেলার নাম। কখনো ধৈর্য পরীক্ষা করে, কখনো সহ্যশক্তি, আবার কখনো বিশ্বাস। কারও জীবন সহজেই পার হয়ে যায়, যেন পরীক্ষায় পাশ করা মাত্রই পুরস্কার পেয়ে যান। আর আমার মতো মানুষও আছে, হয়তো আল্লাহ আমাদের অন্যভাবে ভালোবাসেন। হয়তো তিনি আমাদের আরও অগ্নি পরীক্ষা করেন।

ফারিয়া আরও লিখেছেন, ‘আপনি জানেন, সুখ বা হ্যাপিনেস সবার কাছে আলাদা আলাদাভাবে ধরা দেয়। কারো কাছে এটা সম্পদ, কারো কাছে এটা ক্ষমতা। কিন্তু আমার কাছে? এটা সবসময়ই ভালোবাসা ছিল। আমার পরিবারের কাছ থেকে ভালোবাসা, বন্ধুদের কাছ থেকে ভালোবাসা, অপরিচিতদের কাছ থেকে ভালোবাসা, বিশেষ কারো কাছ থেকে ভালোবাসা।’

নিজে সাধারণ জীবন করেন উল্লেখ করে ফারিয়া বলেন, ‘আমি খুব সাধারণ জীবনজাপন করি। পাড়া-গলির খাবার, সস্তা জামা-কাপড়, মুদি দোকানের বাজার- এই নিয়েই আমার জীবন। আমার চিন্তাভাবনাও কখনো জনস্রোতের সঙ্গে মেলেনি। আমার কাছে জীবন হয় সাদা, নয়তো কালো। আমি কখনই জানতাম না কীভাবে ধূসর রঙে টিকে থাকতে হয়।’

ভালোবাসা সন্ধানী ফারিয়া বলেন, ‘তবুও জীবন যতই সরল মনে হোক না কেন, আমার হৃদয় সবসময় একটি জটিল জিনিস খুঁজত, ভালোবাসা। সত্যিকারের ভালোবাসা। এমন একটা জিনিস যেখানে কেউ ঘণ্টার পর ঘণ্টা আপনার বোকা বোকা গল্প শুনবে। ইতিহাস, রাজনীতি, সিনেমা নিয়ে আপনার সাথে বিতর্কে মেতে উঠবে।  আপনার ত্রুটিগুলো জেনেও সে আপনার সঙ্গেই থাকবে।’

এই অভিনেত্রীর মতে, ‘সত্যিকারের ভালোবাসা, আমার জীবনে খুবই প্রশ্নবোধক অথবা হয়তো সবচেয়ে বড় হতাশা। সত্যি বলতে, আমার রুচি খুবই খারাপ! এখন যখন আমি পেছনে ফিরে তাকাই, তখন এটা হাস্যকর লাগে। আমি হয়তো শেষ পর্যন্ত বেছে নেই জোরে কথা বলা, আত্মমগ্ন পুরুষদের, যারা নিজেদের নিয়ে গর্ব করতে ভালোবাসে অথবা শান্ত, মেধাবী, আবেগীয়ভাবে সহজলভ্য নয়, আসক্ত!’

ফারিয়া যা খুঁজছেন তার হয়তো অস্তিত্বই নেই। শেষে তিনি লিখেছেন, ‘কয়েকটি ব্যর্থ সম্পর্ক এবং কয়েকবার মন ভাঙার পর আমি বুঝতে পারলাম, আমি যা খুঁজছিলাম তার হয়তো অস্তিত্বই নেই। হয়তো আমি অনেক উপন্যাস পড়েছি, অনেক কোরিয়ান নাটক দেখেছি, যার ফলে আমার মাথায় একটি কাল্পনিক চরিত্র তৈরি হয়েছে। আর বাস্তব জীবনে? আমার পছন্দগুলো ছিল। আচ্ছা, ধরা যাক, বিপর্যয়কর। কিন্তু তবুও, আমার ভেতরের আশাহীন রোমান্টিক সেই ব্যাপারটি টিকে আছে, নীরবে, একদিন সে বাধা না দিয়ে শুনতে শিখবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শবনম ফ র য় আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

আমি যা খুঁজছিলাম তার হয়তো অস্তিত্বই নেই: শবনম ফারিয়া

অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া বরাবরই স্পষ্ট। প্রায়ই স্পষ্ট ভাষায় নিজের মতামত তুলে ধরেন। এবার ব্যক্তিজীবনের কিছু বিষয় তুলে ধরে উপলব্ধির কথা জানালেন এই অভিনেত্রী। তার মতে, এক অদ্ভুত খেলার নাম।

আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শবনম ফারিয়া লিখেছেন, ‘জীবন যেন এক অদ্ভুত খেলার নাম। কখনো ধৈর্য পরীক্ষা করে, কখনো সহ্যশক্তি, আবার কখনো বিশ্বাস। কারও জীবন সহজেই পার হয়ে যায়, যেন পরীক্ষায় পাশ করা মাত্রই পুরস্কার পেয়ে যান। আর আমার মতো মানুষও আছে, হয়তো আল্লাহ আমাদের অন্যভাবে ভালোবাসেন। হয়তো তিনি আমাদের আরও অগ্নি পরীক্ষা করেন।

ফারিয়া আরও লিখেছেন, ‘আপনি জানেন, সুখ বা হ্যাপিনেস সবার কাছে আলাদা আলাদাভাবে ধরা দেয়। কারো কাছে এটা সম্পদ, কারো কাছে এটা ক্ষমতা। কিন্তু আমার কাছে? এটা সবসময়ই ভালোবাসা ছিল। আমার পরিবারের কাছ থেকে ভালোবাসা, বন্ধুদের কাছ থেকে ভালোবাসা, অপরিচিতদের কাছ থেকে ভালোবাসা, বিশেষ কারো কাছ থেকে ভালোবাসা।’

নিজে সাধারণ জীবন করেন উল্লেখ করে ফারিয়া বলেন, ‘আমি খুব সাধারণ জীবনজাপন করি। পাড়া-গলির খাবার, সস্তা জামা-কাপড়, মুদি দোকানের বাজার- এই নিয়েই আমার জীবন। আমার চিন্তাভাবনাও কখনো জনস্রোতের সঙ্গে মেলেনি। আমার কাছে জীবন হয় সাদা, নয়তো কালো। আমি কখনই জানতাম না কীভাবে ধূসর রঙে টিকে থাকতে হয়।’

ভালোবাসা সন্ধানী ফারিয়া বলেন, ‘তবুও জীবন যতই সরল মনে হোক না কেন, আমার হৃদয় সবসময় একটি জটিল জিনিস খুঁজত, ভালোবাসা। সত্যিকারের ভালোবাসা। এমন একটা জিনিস যেখানে কেউ ঘণ্টার পর ঘণ্টা আপনার বোকা বোকা গল্প শুনবে। ইতিহাস, রাজনীতি, সিনেমা নিয়ে আপনার সাথে বিতর্কে মেতে উঠবে।  আপনার ত্রুটিগুলো জেনেও সে আপনার সঙ্গেই থাকবে।’

এই অভিনেত্রীর মতে, ‘সত্যিকারের ভালোবাসা, আমার জীবনে খুবই প্রশ্নবোধক অথবা হয়তো সবচেয়ে বড় হতাশা। সত্যি বলতে, আমার রুচি খুবই খারাপ! এখন যখন আমি পেছনে ফিরে তাকাই, তখন এটা হাস্যকর লাগে। আমি হয়তো শেষ পর্যন্ত বেছে নেই জোরে কথা বলা, আত্মমগ্ন পুরুষদের, যারা নিজেদের নিয়ে গর্ব করতে ভালোবাসে অথবা শান্ত, মেধাবী, আবেগীয়ভাবে সহজলভ্য নয়, আসক্ত!’

ফারিয়া যা খুঁজছেন তার হয়তো অস্তিত্বই নেই। শেষে তিনি লিখেছেন, ‘কয়েকটি ব্যর্থ সম্পর্ক এবং কয়েকবার মন ভাঙার পর আমি বুঝতে পারলাম, আমি যা খুঁজছিলাম তার হয়তো অস্তিত্বই নেই। হয়তো আমি অনেক উপন্যাস পড়েছি, অনেক কোরিয়ান নাটক দেখেছি, যার ফলে আমার মাথায় একটি কাল্পনিক চরিত্র তৈরি হয়েছে। আর বাস্তব জীবনে? আমার পছন্দগুলো ছিল। আচ্ছা, ধরা যাক, বিপর্যয়কর। কিন্তু তবুও, আমার ভেতরের আশাহীন রোমান্টিক সেই ব্যাপারটি টিকে আছে, নীরবে, একদিন সে বাধা না দিয়ে শুনতে শিখবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ