সুনামগঞ্জে ধোপাজান নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন বন্ধ ঘোষণা
Published: 9th, November 2025 GMT
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় সুনামগঞ্জের ইজারাবিহীন ধোপাজান (চলতি) নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।
সভায় ধোপাজান নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ। তাঁরা বালু লুট বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া সভায় বলেন, সকালে জেলা কোর কমিটির সভায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর পক্ষ থেকে ধোপাজান নদীতে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কার কথা জানানো হয়। তাই আজ থেকে এই নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকবে।
সভায় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো.
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুনজিত চন্দের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশ সুপার মো. তোফায়েল আহাম্মেদ, সুনামগঞ্জে বিজিবির ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সুনামগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর মল্লিক মো. মইন উদ্দীন, জেলা জামায়াতের আমির তোফায়েল আহমদ খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক মামলার পর ২০১৮ সাল থেকে নদীটির ইজারা বন্ধ রয়েছে। এরপরও বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হয়েছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে প্রকাশ্যে বালু লুট শুরু হয়। টানা আড়াই মাসে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বালু লুট হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
গত আগস্টে ‘লিমপিড ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এক কোটি ২১ লাখ ঘনফুট বালু (বিটি বালু) উত্তোলনের অনুমতি দেয়। প্রতিষ্ঠানটি সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের চলমান কাজে এই বালু ব্যবহার করবে বলে জানানো হয়।
তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরবর্তী সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়, ধোপাজান নদীতে বিটি বালু নেই; এখানে সিলিকা বালু রয়েছে, যা উন্নতমানের। এখন এভাবে বালু তোলার অনুমতি দিলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ধ প জ ন নদ স ন মগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
যৌথ বাহিনীর অভিযান সারা দেশে গ্রেপ্তার ১৯৪
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
এই তথ্য তুলে ধরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ অক্টোবর ২০২৫ থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে।
আরো পড়ুন:
আবারো জেলেদের ধরে নিল আরাকান আর্মি
মুন্সীগঞ্জে ড্রেনের ভেতরে মিলল ২৩টি ককটেল, আটক ১
এসব যৌথ অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করার তথ্য দিয়েছে আইএসপিআর।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার করা অপরাধীদের কাছ থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য, দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দেশব্যাপী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটবর্তী সেনা ক্যাম্পে তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল