টানা আট বলে ছক্কা মারলেন আকাশ কুমার, গড়লেন দ্রুততম ফিফটির বিশ্বরেকর্ড
Published: 9th, November 2025 GMT
৬, ৬, ৬, ৬, ৬, ৬, ৬, ৬।
ছক্কার সংখ্যা ঠিকঠাক গুনে দেখুন—৬টি নয়, টানা ৮টি!
আর সেটাও কোনো টি–টোয়েন্টি বা ওয়ানডে ম্যাচে নয়, ভারতের আকাশ কুমার এই কীর্তি গড়েছেন চার দিনের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। টানা আট বলে আট ছক্কা—বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন রেকর্ড।
এর সঙ্গে আরেকটি রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্রুততম ফিফটি এখন আকাশের। মাত্র ১১ বলেই পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
রেকর্ড দুটি হয়েছে রঞ্জি ট্রফির প্লেট গ্রুপে মেঘালয়া–অরুণাচল ম্যাচে। সুরাটে আজ মেঘালয়ার প্রথম ইনিংসের ১২৬তম ওভারে বাঁহাতি স্পিনার লিমার দাবির বলে টানা ছয় ছক্কা মারেন আকাশ।
তথ্য–উপাত্ত সংরক্ষণ শুরু হওয়ার পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ওভারে ছয় ছক্কার কীর্তি গড়লেন তিনি তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে। এর আগে ভারতের রবি শাস্ত্রী ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্যারি সোবার্স এই কীর্তি গড়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার মাইক প্রক্টরও টানা ছয় বলে ছক্কা মেরেছিলেন, তবে সেটি ছিল দুই ওভার মিলিয়ে।
আকাশ মূলত ডানহাতি পেসার। আজ ব্যাটিংয়ে নামেন দলের অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে। শুরুটা ছিল শান্ত—একটি ডট, তারপর দুটি সিঙ্গেল। এরপরই ঝড় তোলেন। পরের আট বলকে সীমানার বাইরে পাঠান টানা ছক্কায়।
এর আগে কোনো ব্যাটসম্যান টানা ছয় বলের বেশি ছক্কা মারতে পারেননি। আকাশ সেই সীমা পেরিয়ে ১১ বলে ৫০ ছুঁয়ে ফেলেন।
এ পথে ভেঙে দেন ২০১২ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে ওয়েন নাইটের ১২ বলে ফিফটির রেকর্ড।
বলের হিসেবে আকাশ এখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের দ্রুততম ফিফটির মালিক। তবে সময়ের হিসাবে এখনও দ্বিতীয়। মাঠে নামার পর পঞ্চাশে পৌঁছাতে তাঁর লেগেছে ৯ মিনিট। ১৯৬৫ সালে কাউন্টিতে ক্লাইন ইনমান ১৩ বলে ফিফটি করেছিলেন মাত্র ৮ মিনিটে।
২৫ বছর বয়সী আকাশ এখন পর্যন্ত ৩০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৯ সালে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত রান করেছেন ১৪.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম শ র ণ র ক র ক ট ব য টসম য ন র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
আমার সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মামদানি
আমি বাংলাদেশি-মার্কিন, নিউইয়র্কের কুইন্সে থাকি। কাজ করি আর স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। সেই আমিও এমন স্বপ্ন কখনো দেখিনি যে অভিবাসী হিসেবে এই শহরের রাজনীতিতে আমাদের শক্ত কোনো অবস্থান থাকতে পারে। কারণ, এত দিন আমাদের কষ্ট বুঝে, পাশে থেকে, আমাদের পক্ষে উচ্চ স্বরে কথা বলার কেউ ছিলেন না। জোহরান মামদানির সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকে এই ধারণা বদলাতে শুরু করেছে। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার মানুষেরা ধর্ম, বর্ণ, উচ্চারণ, নাম নিয়ে পদে পদে রেসিজম বা বৈষম্যের শিকার হই। কিন্তু এসব আমরা ভুলে যেতে বাধ্য হই কাজের চাপে, নিউইয়র্ক শহরে টিকে থাকার যুদ্ধে। জীবনযাপনের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে থাকতে ক্লান্ত নিউইয়র্কবাসীর কাছে নতুন আশার নাম জোহরান মামদানি।
মামদানির সঙ্গে প্রথম দেখাহাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছেন জোহরান মামদানি