গাজীপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার
Published: 6th, July 2025 GMT
শিল্পকারখানায় চাঁদাবাজিসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ওই চার নেতা হলেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব উদ্দিন সরকার (পাপ্পু), গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আবদুল হালিম মোল্লা, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য জিয়াউল হাসান (স্বপন) ও টঙ্গী পূর্ব থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব সিরাজুল ইসলাম (সাথী)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুস্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ধরনের কার্যকলাপ দলীয় শৃঙ্খলা এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী। সুতরাং এসব কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত সব নেতাকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী পৃথক চিঠি দিয়ে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছেন।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ওই চারজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দল ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপিতে কোনো চাঁদাবাজ বা সন্ত্রাসীর জায়গা নেই। এসব বিষয় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন। কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই দল তাঁর বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র স র ব এনপ র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
দ. কোরিয়ায় ১ লাখ ২০ হাজার হোম ক্যামেরা হ্যাক করে গোপন ভিডিও বিক্রি
দক্ষিণ কোরিয়ায় ১ লাখ ২০ হাজারেও বেশি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভিডিও ক্যামেরা হ্যাক করার ও সেই ফুটেজ ব্যবহার করে একটি বিদেশি ওয়েবসাইটের জন্য যৌন কনটেন্ট তৈরি করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পুলিশ সংস্থার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
আরো পড়ুন:
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গোয়েন্দাপ্রধান গ্রেপ্তার
সাবমেরিন ইস্যুতে আটকে গেল দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের চুক্তি
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ইন্টারনেট প্রোটোকল (আইপি) ক্যামেরার দুর্বলতা যেমন সহজ পাসওয়ার্ড এবং অন্যান্য দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুযোগ কাজে লাগিয়ে হ্যাকিং চালাতো।
সিসিটিভির তুলনায় সস্তা হওয়ায় আইপি ক্যামেরা বা হোম ক্যামেরা সাধারণত বাড়ির নিরাপত্তা, শিশু ও পোষা প্রাণীর নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়। হ্যাক হওয়া ক্যামেরার অবস্থান ছিল ব্যক্তিগত বাসা, কারাওকে রুম, শরীরচর্চা কেন্দ্র, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ক্লিনিকসহ বিভিন্ন সংবেদনশীল স্থান।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পুলিশ সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়, চার সন্দেহভাজনের মধ্যে সমন্বয় করে হ্যাকের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারা বিচ্ছিন্নভাবে এসব অপরাধ চালিয়েছে।
গ্রেপ্তার একজনের বিরুদ্ধে ৬৩ হাজার ক্যামেরা হ্যাক করে ৫৪৫টি যৌন হয়রানিমূলক ভিডিও তৈরির অভিযোগ রয়েছে, যা তিনি ৩ কোটি ৫০ লাখ উন বা ১২ হাজার ২৩৫ মার্কিন ডলারের সমমূল্য ভার্চুয়াল সম্পদের বিনিময়ে বিক্রি করেছিলেন।
আরেকজনের বিরুদ্ধে ৭০ হাজার ক্যামেরা হ্যাক করে ৬৪৮টি ভিডিও এক কোটি ৮০ লাখ উনের বিনিময়ে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
এ দুই ব্যক্তি গত এক বছরে অবৈধভাবে আইপি ক্যামেরার ফুটেজ বিতরণকারী একটি বিদেশি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভিডিওর প্রায় ৬২ শতাংশের জন্য দায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ। কর্তৃপক্ষ এখন ওয়েবসাইটটি বন্ধ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং এর পরিচালকের বিরুদ্ধে বিদেশি সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথ তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি সাইট থেকে ভিডিও কেনা বা দেখা-এমন আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জাতীয় পুলিশ সংস্থার সাইবার তদন্ত প্রধান পার্ক উ-হিউন বলেন, “আইপি ক্যামেরা হ্যাকিং এবং অবৈধ ভিডিও ধারণ ভুক্তভোগীদের ওপর গভীর মানসিক ও সামাজিক ক্ষতি তৈরি করে। এগুলো গুরুতর অপরাধ। অবৈধভাবে ধারণকৃত ভিডিও দেখা বা রাখাও অপরাধ। আমরা সেগুলোও কঠোরভাবে তদন্ত করব।”
পুলিশ এখন পর্যন্ত ৫৮টি স্থানে ভুক্তভোগীদের সরাসরি গিয়ে বা যোগাযোগ করে অবহিত করেছে এবং দ্রুত পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে। তারা ভুক্তভোগীদের ফুটেজ মুছে ফেলা ও ব্লক করতে সহায়তা করছে এবং আরও ভুক্তভোগীদের শনাক্তের চেষ্টা করছে।
জাতীয় পুলিশ সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, যারা বাসায় বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে আইপি ক্যামেরা ব্যবহার করেন, তাদের সচেতন থাকা ও নিয়মিতভাবে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করাটা সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
ঢাকা/ফিরোজ