পুরান ঢাকার চকবাজারে তিন তলা আবাসিক ভবনে আগুন
Published: 1st, December 2025 GMT
পুরান ঢাকার চকবাজারের রহমতগঞ্জ এলাকার ডালপট্টিতে একটি তিন তলা আবাসিক ভবনের তৃতীয় তলায় আগুন লেগেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা ৪২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এক খুদে বার্তায় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স জানায়, সংবাদ পাওয়ার পর লালবাগ ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট বিকেল চারটা ৪৮ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে সাহায্যের জন্য আরও পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, পলাশী, হাজারীবাগ ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশন থেকে যোগ দেওয়া ইউনিটসহ এখন মোট চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। বাকি তিনটি ইউনিট এখনও পথে রয়েছে।
আগুনের উৎস, ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি ফায়ার সার্ভিস।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
মাহিদুল নাকি শামীম?
ড্রেসিংরুমে বিশ্বাসের রেণু ছড়িয়ে দিতে মুশতাক আহমেদ সর্বদা প্রস্তুত থাকেন। স্পিন বোলিং কোচের সঙ্গে অনুশীলন শেষে সময় কাটাচ্ছিলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। পায়ে প্যাড জোড়া খুলেননি। ওটা নিয়েই মাঠ চক্কর দিচ্ছিলেন কয়েকবার। দুজনের গুরুগম্ভীর কথা যেন শেষ-ই হচ্ছিল না। কি নিয়ে কথা তা জানার উপায় নেই। তবে সুযোগের অপেক্ষায় থাকা মাহিদুলের সুযোগ আসবে, সেই বিশ্বাস দিচ্ছিলেন মুশতাক এতোটুকু নিশ্চিত। সঙ্গ এটা-ওটা নিয়ে কথা তো আছেই।
মাহিদুলকে বিশ্বাস দেওয়া ছাড়া বেশি কিছু করারও মুশতাকের নেই। যেমনটা নেই পেস বোলিং কোচ শন টেইটেরও। তাইতো সোজাসাপ্টা উত্তর দিলেন, ‘‘আমি নির্বাচক নই যে কাউকে দলে নেব।’’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টির জন্য তাকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি দলে নেওয়া হয়েছিল। এর আগেই তার টেস্ট ও ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল। শেষ ম্যাচেও তাকে রাখা হয়েছে স্কোয়াডে। কিন্তু খেলার সুযোগ হবে কিনা নিশ্চিত নন মাহিদুলও।
এর মধ্যে আবার স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে। যাকে নিয়ে রীতিমত উত্তাপ, বিতর্ক, টালমাটাল হয়ে গেছে দেশের ক্রিকেট। নির্বাচকরা মাহিদুলকে দলে নিয়েছেন। শামীমকে বাদ দিয়েছিলেন। কিন্তু অধিনায়ক শামীমকে দলে চেয়েছিলেন। কেন বাদ পড়েছিলেন সেই কারণটা লিটন জানতেন না। সংবাদ সম্মেলনে বোমা ফাঁটানোর পর দুই মেরুতে চলে যান অধিনায়ক ও নির্বাচকরা।
যাকে ঘিরে এতো কিছু, শামীমের পরিবর্তে নেওয়া মাহিদুল কি শেষ ম্যাচে সুুযোগ পাবেন। টেইট বাড়তি এক লাইন যোগ করেছিলেন, ‘‘‘যারা দল ঠিক করে, তাদের জিজ্ঞেস করুন।’’ বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে দল দেন শুধু নির্বাচকরা। একাদশ তৈরি করেন কোচ ও অধিনায়ক। তবে উপমহাদের বাইরের সেই রীতি অনেকটাই পরিবর্তিত।
শন টেইট যেই জায়গা থেকে এসেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় দল বাছাই, একাদশ গঠনে নির্বাচকরা বড় ভূমিকা রাখেন। দল বাছাইয়ে অধিনায়ক ও কোচেরও থাকে ভূমিকা। এখানে সব কিছুই অধিনায়ক-কোচ কেন্দ্রিক। তৃতীয় ম্যাচে মাহিদুল কিংবা শামীমের খেলাটা নির্ধারণ করবেন তারাই।
তবে মাহিদুল নিজের কাজ করে রাখছেন। গতকাল দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া শামীমও তাই। দুজন আজ চট্টগ্রামে কড়া রৌদ উপেক্ষা করে টানা ব্যাটিং করেছেন নেটে। মাহিদুল দুই দফা নেটে ঘাম ঘরিয়েছেন। সেন্টার উইকেটে চলে তার প্রস্তুতি। আর শামীম ড্রেসিংরুমের কোনে পশ্চিমের নেটে অনুশীলন শেষে উল্টো পাশে এসে আশরাফুলের থ্রো ডাউন খেলেছেন।
শামীম, মাহিদুল কেউই ফর্মে নেই। নির্বাচকরা তাকে পারফরম্যান্সের কারণেই দল থেকে বাদ দিয়েছিল। সবশেষ পাঁচ ইনিংসে ১, ১, ০, ৩৩, ০ এই রান করেছেন শামীম। এর আগে কার্যকরী ইনিংস ছিল। কিন্তু দল থেকে বাদ পড়ার পর যথেষ্ট কারণ ছিল।
মাহিদুল কোথায়, কবে রান করেছেন সেটাও প্রশ্ন। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। বছরখানেক আগে বিপিএলে তার উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স নেই। এ বছর ২৪ ইনিংস খেলে তার কোনো ফিফটি নেই। সেই ব্যাটসম্যানকেই নেওয়া হয়েছে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দলে। কাতারে রাইজিং স্টার্স টুর্নামেন্টে ৫ ইনিংসে ১১৬ রান করেছেন। ফাইনালে প্রথম বলে রিভার্স সুইপ করে দলকে ডুবিয়ে আসেন।
প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বকাপের আগে শেষ ম্যাচে কাকে খেলাবে বাংলাদেশ? নাকি দুজনই থাকবে ডাগআউটে! প্রস্তুতিতে স্পষ্ট কোনো ছাপ পাওয়া যায়নি। পরিশ্রমে দুজনই দুজনকে টেক্কা দিয়েছেন। সেরা একাদশে কে থাকবেন সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামীকাল দুপুর ২টা পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন