সমাজ ও দেশের নানা ক্ষেত্রে তরুণেরা রাখছেন অবদান, আনছেন ইতিবাচক পরিবর্তন, অন্যদের কাছে হয়ে উঠছেন অনুকরণীয় ও অনুপ্রেরণার উৎস। তবে নানা কারণে তাঁদের অনেকেই থেকে যান আড়ালে, আমাদের জানা হয়ে ওঠে না তাঁদের অর্জন, উদ্যোগ ও সাফল্যের গল্প। তেমনই ১০ জন স্বপ্নজয়ী সফল তরুণের খোঁজে চলছে ‘স্টারশিপ ইন্সপায়ারিং টেন’ শীর্ষক বিশেষ আয়োজন।

৩৫ বছরের কম বয়সী যেকেউ নিজের জন্য অথবা পরিচিত অন্য কারও জন্য আবেদন করতে পারবেন। inspiring10.

com ওয়েবসাইটে থাকা ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে ২৫ জুলাই ২০২৫-এর মধ্যে।

ব্যক্তিগত অর্জন বা কোনো উদ্যোগের মাধ্যমে সফল হয়েছেন—এমন নয়টি ক্যাটাগরিতে আবেদন করা যাবে। সেগুলো হলো-

১. শিক্ষা: নতুন শিক্ষাপদ্ধতি, অনলাইন শিক্ষা, বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, বাল্যশিক্ষা সম্প্রসারণ, শিক্ষা-প্রযুক্তি, শিক্ষাভিত্তিক অ্যাপ ইত্যাদি।

২. স্বাস্থ্য: কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা, মা ও শিশুস্বাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রম, স্বাস্থ্য উদ্ভাবন, স্বাস্থ্যভিত্তিক গবেষণা, পশু-স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি।

৩. কৃষি: স্মার্ট কৃষি, টেকসই কৃষি, কৃষি প্রযুক্তি, ছাদ কৃষি, কৃষিপণ্য বিপণন, কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন, জলবায়ু সহনশীল কৃষি, কৃষি উদ্ভাবন ইত্যাদি।

৪. প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন: সফটওয়্যার বা অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিকস ও অটোমেশন, সাইবার নিরাপত্তা, উদ্ভাবনী পণ্য, ব্লক চেইন প্রযুক্তি ইত্যাদি।

৫. পরিবেশ: জলবায়ু পরিবর্তন, বর্জ্য-ব্যবস্থাপনা, সবুজ প্রযুক্তি, পানি সংরক্ষণ, বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, নবায়নযোগ্য শক্তি, দূষণরোধী কার্যক্রম, বৃক্ষরোপণ উদ্যোগ ইত্যাদি।

৬. সামাজিক উদ্যোগ: দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের সেবা, নারী ক্ষমতায়ন, শিশুশ্রম নিরসন, মানবাধিকার রক্ষা, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর সেবা, সমাজ সচেতনতামূলক কার্যক্রম, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি/পাঠাগার কার্যক্রম ইত্যাদি।

৭. সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতা: লোকজ সংস্কৃতি সংরক্ষণ, সৃজনশীল লেখালেখি, সংগীত, চিত্রকলা, ফ্যাশন ও ডিজাইন, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, চলচ্চিত্র নির্মাণ, তাঁত, কারু ও হস্তশিল্প ইত্যাদি।

৩৫ বছরের কম বয়সী যেকেউ নিজের জন্য অথবা পরিচিত অন্য কারও জন্য আবেদন করতে পারবেন

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অবশেষে সৎকার হলো হিমাগারে থাকা ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের হিমাগারে দীর্ঘদিন ধরে থাকা ভারতীয় নাগরিক রাজনের (৬৩) মরদেহের সৎকার করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে পৌরসভার মনোহরবাজার শ্মশানঘাটে মরদেহটি সৎকার করা হয়। প্রায় ৭ মাস ধরে এই মরদেহ সদর হাসপাতালের হিমাগারে রাখা ছিল।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সাংবাদিকের ভাইয়ের মৃত্যু

নবাবগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে বৃদ্ধের মৃত্যু, ভস্মীভূত ১১ ঘর 

রাজন ভারতের দিল্লি প্রদেশের দিলিপের ছেলে। তবে তার জেলার নাম জানা যায়নি।

শরীয়তপুর কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, রাজন নামে এই ব্যক্তিকে ২০২২ সালের আগস্ট মাসের ২৫ তারিখে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা এলাকা থেকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর ওই মামলায় তাকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি আর পি বন্দী হিসেবে কারাগারে ছিলেন। 

গত ১৮ মে রাজন অসুস্থ হয়ে পড়লে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই রাজনের মরদেহ সদর হাসপাতালের হিমাগারে রাখা ছিলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মরদেহটি সৎকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

শরীয়তপুরের জেল সুপার বজলুর রশিদ বলেন, “রাজন নামের ওই ব্যক্তি আর পি বন্দী ছিলেন। হঠাৎ করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এরপর থেকে তার মরদেহ হিমাগারে রাখা ছিল। পরে দুই দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) উচ্চ পর্যায়ে সভার মাধ্যমে মরদেহটি দাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সৎকার শেষে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়ে দেব।” 

ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ