ছক্কার ঝড় তুলে ৫০ বছরের পুরনো রেকর্ড ভাঙল ভারত
Published: 13th, July 2025 GMT
ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলতে এসে ব্যাট হাতে একের পর এক ইতিহাস লিখে চলেছে ভারত। এবার ছক্কার ঝড় তুলে গুঁড়িয়ে দিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫০ বছরের পুরনো এক নজির। বিদেশের মাটিতে এক টেস্ট সিরিজে সর্বাধিক ছক্কার রেকর্ডটি এতদিন ছিল ক্যারিবিয়ানদের দখলে, এবার সেটি নিজেদের করে নিল টিম ইন্ডিয়া।
লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ভারতীয় ব্যাটারদের ব্যাট থেকে বেরিয়ে এসেছে মোট ৩৬টি ছক্কা। ১৯৭৪-৭৫ সালে ভারতে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের করা ৩২ ছক্কার রেকর্ড এতদিন ছিল সর্বোচ্চ। সেই তালিকার শীর্ষে এখন ভারতের নাম।
শুধু রেকর্ড নয়, মাঠের পারফরম্যান্সেও এক কথায় দুর্দান্ত ভারতীয় দল। চলতি ইংল্যান্ড সফরে তারা এখন পর্যন্ত পাঁচটি ইনিংসেই ৩৫০-র বেশি রান তুলেছে, যা বিদেশের মাঠে ধারাবাহিক সাফল্যের স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি। ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকিয়েছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ঋষভ পন্ত, যার নামের পাশে ইতিমধ্যেই যোগ হয়েছে ১৩টি ছক্কা ও ৪০০-রও বেশি রান। তার ঠিক পরেই রয়েছেন অধিনায়ক শুভমান গিল—১২টি ছক্কার মালিক এই তরুণ ব্যাটারও সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন।
আরো পড়ুন:
পাঁচ বলে পাঁচ উইকেট! ইতিহাস গড়লেন আয়ারল্যান্ডের ক্যাম্ফার
রুটের ব্যাটে ইতিহাস, ভাঙলেন দ্রাবিড়-স্মিথের রেকর্ড
রান বাড়ানোর পাশাপাশি আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের চাপে রেখেছে পুরো ভারতীয় লাইনআপ। প্রতিটি ইনিংসেই দেখা গেছে স্বাধীনভাবে খেলতে নামা ব্যাটারদের, যারা সুযোগ পেলে ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করছেন না। সে কারণেই হয়তো এত ছক্কার বন্যা।
বিদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজে সর্বাধিক ছক্কা হাঁকানো শীর্ষ পাঁচ দল:
ভারত: ৩৬ ছক্কা (ইংল্যান্ড সফর, ২০২৫),
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩২ ছক্কা (ভারত সফর, ১৯৭৪–৭৫),
নিউ জিল্যান্ড: ৩২ ছক্কা (পাকিস্তান সফর, ২০১৪–১৫),
ইংল্যান্ড: ৩২ ছক্কা (দ.
অস্ট্রেলিয়া: ৩১ ছক্কা (ভারত সফর, ২০০০–০১)।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড র কর ড ছক ক র
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় শয়নকক্ষ থেকে নারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
কুমিল্লায় মিলন আক্তার (৫৪) নামে এক নারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর উত্তর রেসকোর্সের কাঠেরপুল এলাকায় নিজ শয়নকক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মিলন আক্তারের বাড়ি বুড়িচং উপজেলার নিমসার (শিকারপুর) গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাঠেরপুল এলাকায় মজুমদার ভিলার দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে মিলন আক্তারের বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি ঘটে। এরপর থেকে তিনি একাই থাকতেন। সম্প্রতি তার মা চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী যান। ফলে গত কয়েকদিন ধরে তিনি বাসায় একাই ছিলেন।
নিহতের তিন মেয়ের একজন ইউরোপে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করেন। একজন নোয়াখালীতে ও ছোট মেয়ে তানজিনা আক্তার থাকেন রেসকোর্স এলাকারই একটি ভাড়া বাসায়।
তানজিনা জানান, গতকাল থেকে মিলন আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। শুক্রবার সন্ধ্যায় মায়ের বাসায় আসেন। দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে মাকে না পেয়ে খাটের নিচে তাকান। এ সময় রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তদন্ত চলছে, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।”
ঢাকা/রুবেল/রাজীব