2025-06-02@07:00:17 GMT
إجمالي نتائج البحث: 149

«ব স তবত য়»:

    রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা খাতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।  রবিবার (১ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের কাছে এই দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। পরবর্তীতে স্মারকলিপিটি উপাচার্য প্রধান উপদেষ্টা বরাবর প্রেরণ করবেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম এ কাউসার, স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাহবুবা সুলতানা, শামসুন্নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিনুর...
    গ্ল্যামার জগতের জনপ্রিয় মুখ সারিকা সাবরিন। মডেলিং ও অভিনয়ে দীর্ঘদিনের সরব উপস্থিতি তাকে করে তুলেছে দর্শকের প্রিয় তারকা। তবে সম্প্রতি এক বিস্ময়কর গুঞ্জনে সরগরম হয়েছে মিডিয়াপাড়া। সারিকা নাকি পরকীয়ায় জড়িয়েছেন, আর সে কারণেই ভাঙনের মুখে তার দ্বিতীয় সংসার! এক সময়ের আলোচিত এই অভিনেত্রীর ঘরোয়া জীবনে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এমন গুঞ্জন নতুন নয়। শোনা যাচ্ছিল, স্বামী আহমেদ রাহীর সঙ্গে বিচ্ছেদ নাকি এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। এবার যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। গুলশানের এক কেমিক্যাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে সারিকার পরকীয়ার অভিযোগ। তবে এসব গুঞ্জনের জবাব দিতে আর চুপ থাকলেন না সারিকা। সম্প্রতি এক বক্তব্যে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমাদের দাম্পত্য জীবনের চতুর্থ বছর চলছে। এই চার বছরে আমরা এক রাতও আলাদা থাকিনি, এটাই বাস্তবতা।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় চার বছরে কখনোই আমরা আলাদা থাকিনি। অনেক...
    বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ নয়। তাই স্বাধীনতার পর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বিকল্প উৎসের সন্ধান করতে হয়েছে। আমাদের প্রবৃদ্ধির ভিত্তি দাঁড়িয়েছে স্বল্প মজুরির শ্রম ও রপ্তানিনির্ভর শিল্পের ওপর একটি মডেল– যা অদক্ষ বা অর্ধদক্ষ শ্রমনির্ভর এবং প্রযুক্তিগতভাবে স্থিতিশীল নয়। দক্ষ মানবসম্পদের অভাব ও গবেষণা উদ্ভাবনের প্রতি অবহেলার ফলে এ প্রবৃদ্ধি হয়েছে অস্থির ও ক্ষণস্থায়ী। এমনকি প্রযুক্তিনির্ভর বর্তমান বিশ্বেও এই ঐতিহ্যগত কাঠামো অপরিবর্তিত থাকায় বাংলাদেশ আজ এক গভীর ও মৌলিক পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বর্তমানে আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নামে এক যুগান্তকারী বাস্তবতায় প্রবেশ করছি, যা পূর্ববর্তী শিল্পবিপ্লবগুলোর তুলনায় অনেক বেশি দ্রুতগামী ও ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টিকারী। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেশন, বিগ ডেটা, জিন প্রকৌশল ও রোবটিক্সের মতো প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠিত এই বাস্তবতায় বিশ্বজুড়ে শিল্প, কর্মসংস্থান ও জ্ঞান অর্জনের ধরন আমূলভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। এই পরিবর্তনের কেন্দ্রে...
    আলজেরিয়া আর ফ্রান্সের মধ্যকার সম্পর্ক যেন পুরোনো প্রেমিক-প্রেমিকার মতো। এককালে ভালোবাসা ছিল। এখন তা অস্বীকারও করা যায় না। আবার সম্পর্ক রাখাও যায় না। এমন কোনো সপ্তাহ যায় না যে দুই দেশের মধ্যে নতুন কোনো ঝামেলা না ঘটে। কয়েক দিন আগে আলজেরিয়া প্যারিসে তাদের এক কনস্যুলেট কর্মীকে গ্রেপ্তারের জবাবে ফরাসি দূতাবাসের কর্মীদের বহিষ্কার করেছে। এমন সব ঘটনা এখন যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এক পক্ষ কিছু করলে অন্য পক্ষ পাল্টা জবাব দেয়।১৯৬২ সাল পর্যন্ত আলজেরিয়া ছিল ফ্রান্সের উপনিবেশ। স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে লুকানো ক্ষোভ আর অবিশ্বাস এখন এক জটিল মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে। অনেকে মনে করছেন, ফ্রান্স-আলজেরিয়া সম্পর্কের এতটা খারাপ সময় আর কখনো আসেনি।তবে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন অনেকটাই অনুচ্চারিত থেকে যাচ্ছে—কার কাকে বেশি প্রয়োজন? ফ্রান্স কি এখনো আলজেরিয়াকে শর্ত চাপিয়ে দিতে পারে? নাকি...
    বাংলাদেশের সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থা একটি বিস্ময়কর দ্বৈত বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি: একদিকে কিছু দৃঢ়তা ও ইতিবাচক অগ্রগতি, অন্যদিকে প্রকট বিশৃঙ্খলা ও কাঠামোগত দুর্বলতা। দীর্ঘদিনের চিহ্নিত সমস্যা, যেমন অপ্রতুল বাজেট বরাদ্দ, ব্যাপক দুর্নীতি, কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, অনুন্নত অবকাঠামো ও ভিড়ভাট্টা স্বাস্থ্য খাতকে কার্যকরভাবে পরিচালনার পথে বড় বাধা হিসেবে বিরাজ করছে।এসব সমস্যার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ ও বহিঃপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগত জটিলতা পুরো ব্যবস্থাকে আরও দুর্বল করে তুলেছে। তবে এই দৃশ্যমান বাস্তবতার আড়ালে দুটি অজানা সত্য লুকিয়ে রয়েছে, যেগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত ও নিরূপণ করা গেলে স্বাস্থ্যব্যবস্থার দক্ষতা ও জনগণের আস্থা পুনর্গঠনে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে পারে। এই দুটি হলো—সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রদানকৃত স্বাস্থ্যসেবার প্রকৃত মূল্য; এবং ব্যবস্থাগত অপচয়ের আর্থিক মূল্য। এই গোপন সত্যগুলো উন্মোচন করতে পারলে স্বাস্থ্য খাতের কার্যকারিতা ও জনমনে আস্থা বাড়ানোর জন্য বাস্তবসম্মত সংস্কারের পথ...
    উনিশ শতকের বাংলা সাহিত্য নিয়ে আলাপ তুললে আলোচনার কেন্দ্র হিসেবে কলকাতার কথা মনে না এসে উপায় থাকে না। তখন কলকাতাই ছিল আধুনিক অর্থে আমরা যাকে বাংলা সাহিত্য বলে প্রায় সর্বসম্মত স্বীকৃতি দিয়েছি, তার প্রধানতম চর্চাস্থল। সে কলকাতায় বাঙালি মুসলমানের তুলনায় উর্দুভাষী মুসলমানরা কেবল সংখ্যায় নয়, প্রভাব-প্রতিপত্তির দিক থেকেও বেশ অগ্রসর ছিল। এমতাবস্থায় ‘বাংলা সাহিত্যে’র সাপেক্ষে আলাপ তুলে আমরা বাঙালি মুসলমানকে যতই আলাদা করতে চাই না কেন, দুটি সংশ্লিষ্ট ও প্রতাপশালী জনগোষ্ঠীর হিস্যা বাদ দিয়ে সে আলাপ পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না।এর প্রথমটি যদি হয় বাংলা অঞ্চলের অবাঙালি মুসলমান সম্প্রদায়, অন্যটি হবে হিন্দু ভদ্রলোক সমাজ। উনিশ শতকের বাংলা ভাষাচর্চা, সাহিত্যচর্চা এবং পশ্চিমা অর্থে আধুনিকতার চর্চা প্রধানত শেষোক্ত সমাজটিই করেছিল। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এবং চর্চাকারীরা সংখ্যায় খুব কম হলেও সে চর্চার ফলাফল বর্ণাঢ্য...
    বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) প্রতিনিধিদের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্যরা। তাদের মতে, সিপিডির মতো স্বনামধন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য খুবই অপ্রত্যাশিত। তারা যদি বাস্তবতার নিরিখে সঠিত তথ্য-উপাত্ত জেনে মিডিয়াতে বক্তব্য দিত, তাহলে ভালো হতো। কোনো বিষয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে নিজেদের পপুলার করার কিছু নেই। নিজেদের পপুলার করতে গিয়ে, মিডিয়াতে ভুল তথ্য প্রকাশ করা ঠিক নয়। বুধবার (২৮ মে) রাইজিংবিডি ডটকমের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স সদস্যরা এমন মন্তব্য করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর অবস্থান (তৃতীয় পাঠ)’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, “পুঁজিবাজার সংস্কারে একটা টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। কিন্তু, সেখানে খুব একটা অগ্রগতি দেখা...
    প্রতিটি নতুন প্রাণের আগমন যেমন আনন্দের, তেমনি প্রতিটি মায়ের সুস্থভাবে সন্তানের জন্ম দেওয়া যেন এক যুদ্ধ জয়ের নামান্তর। অথচ সেই যুদ্ধে এখনো প্রতিদিন বাংলাদেশে অনাকাঙ্ক্ষিত পরাজয় ঘটে। হারিয়ে যায় একেকটি সম্ভাবনাময় জীবন। আজ বুধবার (২৮ মে) নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। অথচ এই দিনে যখন মাতৃত্বের মর্যাদা আর সুরক্ষা নিয়ে কথা বলার কথা, তখন পরিসংখ্যান বলছে—দেশের অর্ধেকের বেশি মা এখনো নিরাপদ প্রসবের সেবা থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশে এখনো প্রতি লাখ জীবিত শিশুর জন্মে মারা যান ১৩৬ জন মা। অথচ ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৭০-এ নামিয়ে আনার অঙ্গীকার রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতার সঙ্গে সেই অঙ্গীকারের ব্যবধান এখনও চোখে পড়ার মতো। আরো পড়ুন: মা দিবসে গদ্য-গল্প লেখা প্রতিযোগিতায় সেরা লেখক হলেন যারা কারখানায় ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে দাম দিতে হবে...
    শাড়ি না হলে বাঙালি নারীদের উৎসব যেন পূর্ণতা পায় না। সেই উৎসব যদি হয় ঈদ তাহলে তো কথাই নেই। কাজকর্মের চাপে কোরবানি ঈদের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন হলেও নতুন পোশাকের রয়েছে আলাদা আবেদন। বিশেষ করে শাড়ির সাজে নারীর সৌন্দর্য কিংবা ব্যক্তিত্বে আলাদা মাত্রা যোগ করে।   শাড়ি, যা শুধু একখণ্ড কাপড় নয়। এটি এক আত্মিক পরিচয়, যা নারীকে তাঁর মাটি,  শিকড় আর নিজস্বতাকে আলিঙ্গন করতে শেখায়। কোরবানির ঈদের মতো একটি শান্ত, গভীর ভাবনার দিনে শাড়ির ফ্যাশন হয়ে ওঠে আরও বেশি অর্থবহ । এটি শুধু সৌন্দর্যের নয়, রুচির, পরিপক্বতা ও দায়িত্বশীলতারও বহিঃপ্রকাশ। ঈদের ব্যস্ততায় আরামের ছোঁয়া  কোরবানির ঈদের সকালের চিত্রটা বেশ ব্যতিক্রম। একদিকে ধর্মীয় আবহ, অন্যদিকে মাংস কাটা, রান্নাবান্না, অতিথি আপ্যায়ন– সব মিলিয়ে নারীর ব্যস্ততা যেন চারদিকেই ছড়িয়ে থাকে। তবুও সারাদিনের কর্মব্যস্ততা...
    আমার খুব কাছের কিছু বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষের সঙ্গে মাঝেমধ্যে কথা হয়। নতুন এই ডিজিটাল বিশ্বে তাঁদের রয়েছে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, কেউ কেউ গুগলে গিয়ে নির্দিষ্ট কিছু খুঁজেও বের করতে পারেন। হোয়াটসঅ্যাপে ফাইল শেয়ার করতে কিছুটা ঝামেলা হলেও অনায়াসে অডিও-ভিডিও কল করতে পারেন। এর মাধ্যমে দূর পরবাসে অবস্থিত স্বজনের সঙ্গে যেমন তাঁরা কথা বলতে পারছেন, তেমনি আবার মুঠোফোনে পাঠাতে পারছেন বাড়ি থেকে দূরে থাকা সন্তানের মাসের খরচ। ডিজিটাল এই পরিষেবা পরিণত বয়সে এসে তাঁদের জীবনে যুক্ত করেছে নতুন মাত্রা।সমস্যাটা শুরু হয় ডিজিটাল জীবনযাপনের আলোচনা আরেকটু এগিয়ে নিলে। নিজেদের প্রতি বেজায় সন্তুষ্ট থেকে ওনারা বুঝতে থাকেন, উনি যে রাজনৈতিক বা আদর্শিক জায়গা থেকে চিন্তা করেন, পুরো ইন্টারনেট সেভাবেই চিন্তা করছে। অন্য সবার সঙ্গে তাঁদের চিন্তাধারা এতটাই মিলে যাচ্ছে, গোটা জীবদ্দশায় কেন জানি সেটি শুধু...
    সপ্তাহখানেক আগে পোস্টার প্রকাশ করে জানানো হয় আগামী ঈদুল আজহায় সারাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আদর আজাদ ও পূজা চেরির সিনেমা ‘টগর’। এবার প্রকাশ পেল সিনেমাটির প্রথম গান ‘হান্ড্রেড পার্সেন্ট দেশি’। গানটি ইতোমধ্যে দর্শক-শ্রোতার মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলতে শুরু করেছে। রণক ইকরামের কথায় এবং কামরুজ্জামান রাব্বি ও কর্ণিয়ার কণ্ঠে গাওয়া এই গানটিতে রয়েছে দেশীয় উৎসবের রং ও প্রাণ। গানটির সুর ও গায়কির সঙ্গে দারুণ মিল রেখে তৈরি করা হয়েছে চিত্রায়ণ। গানটির কোরিওগ্রাফি করেছেন হাবিব রহমান। ভিডিওতে প্রাণবন্ত ও ছন্দময় নৃত্যে দর্শকের মন জয় করেছেন আদর আজাদ ও পূজা চেরী। তাদের সঙ্গে পারফর্ম করেছেন ৭০ জনেরও বেশি পেশাদার নৃত্যশিল্পী, যারা স্ক্রিনজুড়ে এনেছেন বর্ণিল দৃশ্য ও প্রাণচাঞ্চল্য। গানটি নিয়ে অভিনেতা আদর আজাদ বলেন, ‘এমন এনার্জি-ভরা গানে পারফর্ম করা সত্যিই এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা।...
    নিশ্চিতভাবে বলা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ায় দুনিয়ায় বড় রকমের পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। ১৯৪৫ সালে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জেতার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল (আর যা ১৯৮৯ সালে শীতল যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর আরও দৃঢ় হয়েছিল), সেই সম্পর্ক ট্রাম্পের নেওয়া নানা সিদ্ধান্তের কারণে এখন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই বড় পরিবর্তন এমনভাবে শুরু হয়েছে, যার জন্য আগে থেকে কারও কোনো প্রস্তুতিই ছিল না। আর এই পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে ইউরোপ। ইউরোপ আবার যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছে—ইউক্রেনে যে যুদ্ধ চলছে, সেটিই তার স্পষ্ট প্রমাণ। অথচ এ পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসন ইউরোপে থাকা মার্কিন সেনাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে চাচ্ছে। এর মানে হচ্ছে, ইউরোপকে এখন নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে একাই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।আমাদের কী হবে?...
    লাহোর কালান্দার্স ফ্র্যাঞ্চাইজি যেন এক টুকরা বাংলাদেশ। এই দলে এখন বিদেশি ক্রিকেটার আছেন ছয়জন, এর মধ্যে তিনজনই বাংলাদেশের—রিশাদ হোসেন, সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। যদিও একসঙ্গে এখনো তিন বাংলাদেশিকে খেলতে দেখা যায়নি। কোয়েটা গ্লাডিয়েটরসের বিপক্ষে পিএসএল ফাইনালে কি এমন কিছু দেখা যেতে পারে?এমনটা হলে এটা বিশেষ কিছুই হবে। কারণ, এমনিতেই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খুব একটা সুযোগ পান না। এক দলে সুযোগ তো পরের কথা। আজকের পিএসএল ফাইনালের বাস্তবতাও কঠিনই। বাস্তবতা হচ্ছে, ফাইনালের একাদশে তিনজন বাংলাদেশিকে দেখার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে লাহোরে বিদেশি হিসেবে খেলেছেন কুশল পেরেরা, ভানুকা রাজাপক্ষে, সাকিব ও রিশাদ। রাজাপক্ষে এলিমিনেটরে ১২ বলে ২৩ রানের অপরাজিত ইনিংসের পর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে করেন ১৩ বলে ২২ রান। রান পাচ্ছেন কুশল পেরেরা
    বেওয়ারিশ প্রাণী আমাদের পরিবেশের অদৃশ্য সৈনিক। প্রাকৃতিক ভারসাম্যের অংশ হিসেবে প্রাণীরা আমাদের পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর মধ্যে কিছু প্রাণী রয়েছে, মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রাখে। আবার কিছু প্রাণী আছে, আমাদের অবহেলার কারণে ‘বেওয়ারিশ’ হয়ে গেছে। এসব প্রাণী বিশেষত শহরাঞ্চলে, রাস্তার ধারে, পার্কে কিংবা বাসাবাড়ির আশপাশে ঘুরে বেড়ায়। তাদের জীবনের প্রতি দায়িত্ব ও সহানুভূতির দৃষ্টিভঙ্গি এখনও অনেকের মধ্যে গড়ে ওঠেনি। এরা কখনোই নিজেদের জীবনধারণের জন্য অপরাধী নয়, বরং মানব সভ্যতার অবহেলার শিকার। এসব প্রাণীর অবস্থা নিয়ে আমাদের ভাবা উচিত। ‘বেওয়ারিশ’ শব্দটি শুনলে অনেকেই ধারণা করি, এই প্রাণীরা কোনো অপরাধ করেছে অথবা তাদের কোনো অধিকার নেই। কিন্তু আমরা কি জানি, এসব বেওয়ারিশ প্রাণী একইভাবে জীবন ধারণের অধিকারী, ঠিক যেমন আমরা মানুষ হিসেবে অধিকারী? তাদের প্রতি আমাদের অবহেলা নয়; ভালোবাসা ও সহানুভূতির...
    ‘কর্ণাটকের সমাজ বাস্তবতাই আমাকে গড়ে তুলেছে’– বানু মুশতাক আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার ২০২৫ বিজয়ী ‘হার্ট ল্যাম্প’ গ্রন্থের ১২টি গল্পে বানু মুশতাক দক্ষভাবে তুলে ধরেছেন দক্ষিণ ভারতের মুসলিম নারীদের দৈনন্দিন জীবন ও অভিজ্ঞতা। ১৯৯০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে কন্নড় ভাষায় প্রকাশিত এই গল্পগুলোতে বাস্তবের যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, সেখানে রসবোধ ছিল প্রশংসিত। পরিবার ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে নারীর দ্বন্দ্বের চিত্র যেমন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, তেমনি তা বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইন্টারন্যাশনাল বুকার সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেছে। এটি এমন একটি সংগ্রহ, যা বহু বছর পাঠকদের হৃদয়ে থাকবে। বুকার কর্তৃপক্ষের নেওয়া এই সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করেছেন শাহেরীন আরাফাত ১. ‘হার্ট ল্যাম্প’-এর পেছনের অনুপ্রেরণা এবং আমার লেখার ধরন বানু মুশতাক: আমার গল্পগুলো নারীদের সম্পর্কে– কীভাবে ধর্ম, সমাজ ও রাজনীতি তাদের কাছ থেকে প্রশ্নাতীত আজ্ঞাবহতা দাবি করে; আর এভাবে অমানবিক...
    নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন নিয়ে চলমান বিতর্কে অশালীন ভাষা ও গালাগাল ব্যবহারের কারণে আলোচনা সঠিক পথে অগ্রসর হতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, কিছু আলেমের কটু ভাষা আলোচনাকে নীতিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক করে তুলেছে, যা উভয় পক্ষেরই ক্ষতি করেছে।আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘নারীর ন্যায্যতা ও নারী সংস্কার কমিশন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথাগুলো বলেন ফরহাদ মজহার। গণশক্তি সভা নামের একটি সংগঠন এ সভার আয়োজন করে।ফরহাদ মজহার বলেন, নারী সংস্কার কমিশনকে খুব খারাপ ভাষায় গালাগালের বিষয়টা আলোচনাটাকে খারাপ দিকে নিয়ে গেছে এবং এতে উভয় পক্ষেরই ক্ষতি হয়েছে। এটা পশ্চাৎপদ সমাজের লক্ষণ, যেখানে যুক্তির চেয়ে গালাগাল প্রাধান্য পাচ্ছে। এতে একটি যুক্তিনির্ভর ও নৈতিক আলোচনার সুযোগ হারিয়ে যাচ্ছে।যৌনকর্মকে শ্রম হিসেবে স্বীকৃতির দাবির পেছনে থাকা বাস্তবতা...
    চলতি বছরের শুরুতে ‘টগর’ ছবির কাজ শুরু হয়। আগামী ঈদে ছবিটি মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। মুক্তির আগে প্রকাশিত হলো ‘টগর’-এর প্রথম অফিশিয়াল পোস্টার। রোমাঞ্চ আর রক্তাক্ত প্রতিশোধের গল্প নিয়ে নির্মিত এই ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আদর আজাদ ও পূজা চেরী।আজ প্রকাশিত পোস্টারে দেখা গেছে, রক্তমাখা শরীর, ছুরি হাতে আগুনে জ্বলন্ত থাকা শিল্পাঞ্চলের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন আদর আজাদ। তাঁর ঠিক পেছনে পূজা চেরী, যাঁর চোখে-মুখে ভয়, ভালোবাসা আর বেদনার মিশ্র অনুভূতি। চারদিকে ছড়িয়ে আছে মৃতদেহ, যা সিনেমার ভয়াবহতার ইঙ্গিত দেয়। দুজনের ঠিক পেছনে আগুনের শিখা এবং কনটেইনার ইয়ার্ডের দৃশ্য ছবির কনটেন্ট ও প্রেক্ষাপটকে আরও গভীর করে তুলেছে। পোস্টার প্রকাশের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।ছবির পরিচালক আলোক হাসান জানান, ‘টগর’ শুধু একটি গল্প নয়, এটি এক তরুণের...
    একটি জ্বলন্ত শিল্পাঞ্চলের পরিবেশে রক্তমাখা ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন ছেলেটি। চোখে-মুখে ভয়, ভালোবাসা আর বেদনার মিশ্র অনুভূতি নিয়ে তার পেছনে একটি মেয়ে। দুজনের পেছনে জ্বলছে আগুনের ফুলকি। এভাবে ‘টগর’ সিনেমার প্রথম পোস্টারে নায়ক আদর আজাদ ও নায়িকা পূজা চেরিকে হাজির করলেন নির্মাতা অলোক হাসান। পোস্টার প্রকাশ করে নির্মাতা জানান, আগামী ঈদুল আজহায় সারাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। দেখা হচ্ছে সবার সঙ্গে। আলোক হাসান বলেন, “টগর’ শুধুমাত্র একটি গল্প নয়, এটি এক তরুণের যন্ত্রণাময় বাস্তবতা ও তার ভিতরে লুকিয়ে থাকা আগুনের প্রতিচ্ছবি। দর্শকরা এই ছবিতে অ্যাকশন, প্রেম, সমাজের বাস্তবতা—সব কিছু একসঙ্গে খুঁজে পাবেন।” রোমাঞ্চ আর রক্তাক্ত প্রতিশোধের গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি নিয়ে আদর আজাদ বলেন, ‌“এর আগে অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছি। তবে ‘টগর’ আমার ভিন্ন। কারণ, ক্যারিয়ারের এখন পর্যন্ত এমন চরিত্র...
    ফার্মগেট শুধু ঢাকার একটি এলাকা নয়, এটি শিক্ষার একটি প্রাণকেন্দ্র। এখানে রয়েছে হলি ক্রস কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, বিএএফ শাহীন কলেজসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। শুধু কলেজপড়ুয়াই নন, এই এলাকায় আশ্রয় নেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থী, কোচিং–নির্ভর মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার্থী, বিসিএস ও অন্যান্য চাকরিপ্রত্যাশীরা। সবার লক্ষ্য একটাই—একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠন। কিন্তু সেই ভবিষ্যতের পথে প্রথম ধাক্কা তাঁরা খান ফার্মগেটের হোস্টেলগুলোতে এসে। এসব হোস্টেলের নেই সরকারি নিবন্ধন, নেই ন্যূনতম পরিবেশগত মানদণ্ড। হোস্টেলে ভর্তির সময় মালিকেরা চটকদার ভাষায় প্রতিশ্রুতি দেন—সুস্বাদু খাবার, নিরবচ্ছিন্ন ওয়াই-ফাই, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রুমসহ আরও নানা সুবিধার।কিন্তু বাস্তবতা যেন এক নির্মম ঠাট্টা। প্রতিদিন পাতলা ডাল, পচা ভাত, পুষ্টিহীন তরকারি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বহু শিক্ষার্থী। অভিযোগ করলেও নেই কোনো সমাধান; উল্টো সহ্য করতে হয় হোস্টেল কর্তৃপক্ষের বাজে ব্যবহার ও অপমান। অথচ এসব...
    শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত বরাবরই অবহেলিত থেকে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা ছিল—এ দুটি খাতে বরাদ্দ বাড়বে, সংস্কার হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য হলো, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ কমছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, চলতি অর্থবছরের এডিপির চেয়ে আগামী অর্থবছরের এডিপিতে শিক্ষায় বরাদ্দ কমছে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কমছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। বাস্তবতা হলো, এবারও ভিন্নভাবে বাজেট তৈরির চেষ্টাটা দেখা গেল না। বাজেট তৈরির প্রক্রিয়ায় যে গতানুগতিকতা কিংবা আমলাতান্ত্রিকতা আমরা এত দিন দেখে আসছিলাম, সেই ধারাবাহিকতার একটা প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি। এটা সত্যি যে অন্তর্বর্তী সরকারকে সম্পদের স্বল্পতার মধ্যে বাজেটটা করতে হচ্ছে। বাজেটের ক্ষেত্রে উচ্চাভিলাষী শব্দটি বহুল ব্যবহৃত একটা শব্দ। উচ্চাভিলাষী বাজেট তৈরি করার মতো সম্পদের বাস্তবতা আমাদের নেই। কিন্তু ছাত্র-জনতার...
    কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হল ‘ওয়ার্ল্ড ওমেন কান অ্যাজেন্ডা’। যেখানে সমতার নতুন এক বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরল  ওয়ার্ল্ড ওমেন ফাউন্ডেশন।  এখানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ব্রাজিলের সংস্কৃতি মন্ত্রী ও কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মার্গারেথ মেনেজেস। কানের প্রথম দিনেই চালু হয় ‘Equality Moonshot’— এর মত একটি বৈপ্লবিক উদ্যোগ। এটির লক্ষ্য: গল্প, মিডিয়া, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে সমতার শক্তিশালী ভিত্তি নির্মাণ করা।  আয়োজক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই ১.৫ বিলিয়নের বেশি মিডিয়া ইমপ্রেশন অর্জন করেছে। উদ্বোধনী দিনে ওয়ার্ল্ড ওমেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও রূপা ড্যাশ, ফরাসি অভিনেত্রী মারিয়ান বোরগো এবং কাউন্টেস কিয়ারা মোডিকা ডোনা দালে রোজের নেতৃত্বে শুরু হয় আলোচনা পর্ব। তারা পিতৃতন্ত্রকে “বিটা ভার্সন” বলে আখ্যা দিয়ে নারী-নেতৃত্বাধীন সংস্কৃতিকে "ভার্সনসন ২.০ বলে অভিহিত করেন। যাকে একটি োর্বজনীন নতুন অপারেটিং সিস্টেম। নারী...
    কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হল ‘ওয়ার্ল্ড ওমেন কান অ্যাজেন্ডা’। যেখানে সমতার নতুন এক বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরল  ওয়ার্ল্ড ওমেন ফাউন্ডেশন।  এখানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ব্রাজিলের সংস্কৃতি মন্ত্রী ও কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মার্গারেথ মেনেজেস। কানের প্রথম দিনেই চালু হয় ‘Equality Moonshot’— এর মত একটি বৈপ্লবিক উদ্যোগ। এটির লক্ষ্য: গল্প, মিডিয়া, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে সমতার শক্তিশালী ভিত্তি নির্মাণ করা।  আয়োজক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই ১.৫ বিলিয়নের বেশি মিডিয়া ইমপ্রেশন অর্জন করেছে। উদ্বোধনী দিনে ওয়ার্ল্ড ওমেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও রূপা ড্যাশ, ফরাসি অভিনেত্রী মারিয়ান বোরগো এবং কাউন্টেস কিয়ারা মোডিকা ডোনা দালে রোজের নেতৃত্বে শুরু হয় আলোচনা পর্ব। তারা পিতৃতন্ত্রকে “বিটা ভার্সন” বলে আখ্যা দিয়ে নারী-নেতৃত্বাধীন সংস্কৃতিকে "ভার্সনসন ২.০ বলে অভিহিত করেন। যাকে একটি োর্বজনীন নতুন অপারেটিং সিস্টেম। নারী...
    কান চলচ্চিত্র উৎসবের আলোচিত চলচ্চিত্র “এডিংটন”-এর প্রেস কনফারেন্সে মার্কিন অভিনেতা পেদ্রো পাসকাল সরব হলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকট নিয়ে। তার বক্তব্যে ছিল সাহস, প্রতিবাদ আর সামাজিক সচেতনতার ডাক। উপস্থিত আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ভয় দেখিয়ে যারা তোমাকে কাবু করতে চায়, তাদের হারাও। ওদের জিততে দিও না। গল্প বলো, প্রতিবাদ করো, নিজেকে প্রকাশ করো—এটাই আমাদের হাতিয়ার।” পাসকালের এই বক্তব্য শুধুমাত্র একটি অভিনেতার দায়িত্ববোধের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং অভিবাসী অভিজ্ঞতা থেকে উঠে আসা এক অন্তর্দৃষ্টির প্রতিফলন। তিনি বলেন, “আমি নিজে একজন অভিবাসী। আমার বাবা-মা চিলির স্বৈরশাসন থেকে পালিয়ে আসেন। প্রথমে ডেনমার্ক, পরে আমেরিকায় এসে আমরা নতুন জীবন পাই। সে সুযোগ না পেলে আজকের আমি কখনই হতাম না। তাই আমি অভিবাসী নিরাপত্তার পক্ষে, মানবাধিকারের পক্ষে, ইতিহাসের সঠিক দিকেই দাঁড়াতে চাই।” ‘এডিংটন’ ছবির প্রেক্ষাপট...
    আদিম যুগ থেকেই আমরা শিল্পে বাঁচি এবং আমাদের চারপাশে সবদিকেই আমরা শিল্পের উৎস কিংবা শিল্পের প্রয়োগ দেখতে পাই। তবে একবিংশ শতাব্দির এই পর্যায়ে এসে যখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিন্তা করতে ও চিন্তার প্রয়োগ করতে শুরু করেছে, তখন তা আমাদের ভাবায়—শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে। মানুষের চেতনা বা চিন্তা কৌশল কি তবে এবার প্রয়োজনের অতীত কিংবা অপ্রচলিত হতে চললো? এই প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করতে হলে আমাদের বর্তমান বাস্তবতাই যথেষ্ট নয়। আমাদেরকে একটু অতীতে ফিরে গিয়ে আবার বর্তমানের দিকে তাকিয়ে দেখতে হবে। হোমো স্যাপিয়েন্সের উদ্ভব ঘটে আজ থেকে প্রায় বিশ তিরিশ লাখ বছর আগে। এরমধ্যে মস্তিষ্কের নানান পরিবর্তন ও অন্যান্য হোমিনিডের সাথে পার্থক্যগুলো প্রকট হতে থাকে যার ফলাফল আজকের আধুনিক যুগের মানুষ। মানুষের আজকের বিবর্তিত রূপ হচ্ছে ভাষার আবিষ্কার যা আমাদের মস্তিষ্কের বাম অংশটিকে সক্রিয়...
    রাখাইন রাজ্যের চলমান সংকট এবং জাতিসংঘের মানবিক করিডোর গঠনের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এক নাজুক ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। দেশের ভৌগোলিক অবস্থান, মানবিক দায়বদ্ধতা, নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ এবং কূটনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে ভারসাম্য খোঁজা জরুরি হয়ে উঠেছে। একদিকে যেমন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবিক সংকট নিরসনে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে, অন্যদিকে রয়েছে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও প্রতিরক্ষা-সংক্রান্ত উদ্বেগ। রাখাইনে নতুন বাস্তবতা ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বর অভিযানের মুখে পালিয়ে আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, যার বেশির ভাগ কক্সবাজারে অবস্থান করছে। এদের একটি অংশকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হলেও সমাধান এখনও সুদূরপরাহত। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বহু বছর ধরেই আলোচনা চলমান। এরই মধ্যে রাখাইন রাজ্যে রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তির ভারসাম্যে বড় রকমের পরিবর্তন এসেছে।...
    জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে দুটি নতুন বিভাগ—রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত সাহসী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এই সংস্কারের ফলে বাংলাদেশের কর প্রশাসনের আধুনিকীকরণ, রাজস্ব বৃদ্ধি ও ব্যবস্থাপনা আরও দক্ষ হবে—এমন সম্ভাবনা আছে।নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম আলাদা করার সিদ্ধান্ত ভালো পদক্ষেপ। এটি আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত উত্তম রীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। একটি বিভাগ নীতি প্রণয়ন ও আইন তৈরির কাজে যুক্ত থাকবে, অন্যটি আদায় ও বাস্তবায়নের কাজ করবে—এভাবে দায়িত্ব বণ্টনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও গতিশীলতা বাড়ানো সম্ভব। এই কাঠামো বাংলাদেশের রাজস্বব্যবস্থাকে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও ক্রমবর্ধমান রাজস্ব চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে সহায়ক হতে পারে।তবে এই সংস্কারের সফলতা অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে। বাংলাদেশের সামগ্রিক করব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার দরকার। বাড়াতে হবে করের আওতা। করছাড় কমাতে ও পরোক্ষ করের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা...
    ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি নারীর পূর্ণতা তাঁর মাতৃত্বে। অর্থাৎ, সন্তান জন্ম দিতে না পারলে তাঁর নারীসত্তা অপূর্ণ। সম্ভবত, সভ্যতা কিংবা ভদ্রতার খাতিরে ‘অপূর্ণ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের সামাজিক বাস্তবতায় মা হতে অপারগ নারীকে যে করুণ এবং কখনো কখনো নিষ্ঠুর জীবনচিত্র দেখতে হয়, তা কখনোই ‘অপূর্ণতার’ বেলায় হওয়ার কথা নয়। ব্যাপারটা বোঝা যাবে পুরুষকে তাঁর বাবা হওয়ার ক্ষমতা বা সৌভাগ্য দিয়ে পূর্ণতার মাপকাঠিতে কতটা মাপা হয় সেই চিত্রটি দেখলেই। এখনো আমাদের দেশে কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সন্তান না হওয়ার দায় ও ব্যর্থতা চাপানো হয় নারীর ওপর। আর যারা সন্তান জন্ম  দিতে পারেন, সেখানেই তাদের সাফল্যের চূড়ান্ত নয়। বরং সন্তান জন্ম নেওয়ার পর প্রতিটি নারী এক অনিবার্য লক্ষ্য অর্জনের মাঠে বিরামহীন প্রতিযোগিতায় নিক্ষেপিত হন। সেই প্রতিয়োগিতা ‘ভালো মা’ হওয়ার।...
    বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বড় অগ্রগতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অর্থাৎ চীনের বিপুল হারে শুল্ক আরোপ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল, তা প্রশমিত হয়েছে।নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘সুইজারল্যান্ডে আজ চীনের সঙ্গে ভালো বৈঠক হয়েছে। অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে; অনেক ক্ষেত্রেই ঐকমত্য হয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক পদ্ধতিতে পুরো বিষয়টি নতুন করে সাজানো হয়েছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের কল্যাণে আমরা দেখতে চাই, মার্কিন ব্যবসার-বাণিজ্যের জন্য চীন দুয়ার খুলে দিচ্ছে। বড় অগ্রগতি হয়েছে।’গত কয়েক দিন ধরে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা চলছে। এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রির প্রমুখ। এই বৈঠক সম্পর্কে অবগত একটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, এই বৈঠক চলবে।তবে মার্কিন...
    সংঘাত বন্ধে ভারত ও পাকিস্তানকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে। দুই দেশকেই বিবেক, বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে জনগণ ও সম্পদের ক্ষতি এড়াতে উত্তেজনা কমাতে হবে। উভয় দেশের জন্য তা হবে মঙ্গলজনক। চলমান সংঘাত পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নিলে সমগ্র বিশ্বেই এর প্রভাব পড়বে। গতকাল শুক্রবার এসব কথা বলা হয় পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য ডনের সম্পাদকীয়তে।       এতে বলা হয়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের কারণে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিরাজ করছে ভয় ও উত্তেজনা। হামলা-পাল্টা হামলায় উভয় দেশ প্রতিশোধমূলক নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে। দুই ভূখণ্ডেই এখন বিমানবন্দর বন্ধ; স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত এবং বাজারে ছন্দপতন ঘটেছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ভারত থেকে ছোড়া ইসরায়েলের তৈরি ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এর বাইরে কিছু কিছু ড্রোন হামলায় সম্পদের...
    যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির তহবিল কমার কারণে এ সংস্থার অর্থায়নে বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত বাংলাদেশের ২০ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। কমে যাওয়া তহবিলের পরিমাণ ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশের প্রতিবছর পাওয়া বৈদেশিক সহায়তার ১৮ শতাংশ।বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে একশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘স্ট্রেনদেনিং কমিউনিটি সাপোর্ট এমিড চেঞ্জিং ফান্ডিং ল্যান্ডস্কেপ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। বৈদেশিক সহায়তা কমার প্রেক্ষাপটে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে বিকল্প পথ খোঁজার উপায় নিয়ে এ গোলটেবিলের আয়োজন করা হয়।সেখানে একটি উপস্থাপনায় বলা হয়, বাংলাদেশ প্রতিবছর নানা উৎস থেকে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন (১১০ কোটি) মার্কিন ডলার তহবিল পায়। ইউএসএআইডির তহবিল কমার কারণে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষভাবে ৮ হাজার আর পরোক্ষভাবে আরও ১২ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন।সেখানে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সামনে আরও তহবিল কমবে।...
    ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে এক বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ভারত মঙ্গলবার (৬ মে) রাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে। দিল্লি এই হামলার নাম দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতের দাবি, তারা পাকিস্তানে থাকা সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। তবে পাকিস্তান বলছে, এতে অন্তত ৩১ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫৭ জন। তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও  ইসরায়েলে নির্মিত ২৫টি হারপ ড্রোন ধ্বংসেরও দাবি করে। এই হামলা এমন সময়ে ঘটল, যখন বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ-সংঘাত যেন এক স্বাভাবিক বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। ইউক্রেন, গাজা, ইরান-ইসরায়েল কিংবা উত্তর কোরিয়া– প্রতিটি অঞ্চলে একে অপরের ওপর হামলা যেন রুটিন ঘটনায় পরিণত হয়েছে এবং এই সহিংসতাকে থামানোর মতো কার্যকর কূটনৈতিক প্রতিরোধ প্রায় অনুপস্থিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ অতীতের ২০১৬ ও ২০১৯...
    ছাত্রদের বাদ দিয়ে দ্বিদলীয় বন্দোবস্তে ফেরার জন্য এস্টাবলিশমেন্ট অপেক্ষমাণ—এমন মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘এস্টাবলিশমেন্ট দ্বিদলীয় বৃত্তে ফিরতে এবং ছাত্রদের মাইনাস করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ছাত্রদের পরিপূর্ণ অসহযোগিতার মুখে ইতিমধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’ মাহফুজের দৃষ্টিতে এ অবস্থার সমাধান হলো রাষ্ট্র ও এস্টাবলিশমেন্টে ছাত্রদের ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করা এবং ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তার দালালদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আঘাত করা।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে ‘কৈফিয়ত কিংবা বাস্তবতা’ শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সেখানে তিনি এসব কথা বলেছেন।স্ট্যাটাসে মাহফুজ আলম লিখেছেন, ক্ষমতার ভরকেন্দ্র অনেকগুলো। ফলে কাজের দায় সরকারের, কিন্তু কাজ করে ক্ষমতার অন্যান্য ভরকেন্দ্র। জোড়াতালি দিয়ে গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্ভব না, সম্ভব নয় রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। রাজনৈতিক দলগুলো ডিসেম্বরের পর সহযোগী ভূমিকায় নেই।...
    জুলাই অভুত্থানের ছাত্র-জনতা বিভক্ত ও দ্বিধান্বিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হলেন মো. মাহফুজ আলম। ৫ আগস্ট অভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন ছাত্র জনতার সরকারের রূপরেখা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অংশীজন নির্ধারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা এই ছাত্র উপদেষ্টা বলেন, ছাত্রদের কয়েকটি দল হয়ে যাওয়াতে তারা এখন বিভক্ত। তারপরও অন্য রাজনৈতিক দলের মতই তারা ট্রিটেড হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমএফসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেছেন।  ‌‘কৈফিয়ত কিংবা বাস্তবতা’ শিরোনামে তাঁর ফেসবুকটি পোস্টটি নিচে উল্লেখ করা হলো। তিনি লিখেছেন, ‘ক্ষমতার ভরকেন্দ্র অনেকগুলো। ফলে কাজের দায় সরকারের, কিন্তু কাজ করে ক্ষমতার অন্যান্য ভরকেন্দ্র। জোড়াতালি দিয়ে গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্ভব না, সম্ভব নয় নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। রাজনৈতিক দলগুলো ডিসেম্বরের পর সহযোগী ভূমিকায় নেই। কিন্তু...
    ভূমি অফিসে সাধারণ মানুষের হয়রানি এখন এক নিত্যদিনের বাস্তবতা। খতিয়ান সংগ্রহ, নামজারি, খারিজ, হোল্ডিং নম্বর সংশোধন কিংবা জমির উন্নয়ন কর দিতে গেলেই দেখা দেয় নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা। মানুষের সহজলভ্য অধিকারটুকু পেতে হয় দীর্ঘ অপেক্ষা, অনিশ্চয়তা ও অশোভন ব্যবহারের মুখোমুখি হয়ে। মাঠপর্যায়ের অনেক ভূমি অফিসে কর্মকর্তাদের অবহেলা, অযথা বারবার ঘোরানো, জটিল কাগজপত্রের অজুহাতে হয়রানি ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এর সঙ্গে আরও ভয়ানক বাস্তবতা হলো দালালদের দাপট। ভূমি অফিসের আশপাশে গড়ে ওঠা এসব দালাল চক্র অফিসের ভেতরের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা আদায় করছে।চক্রটি বিশেষ করে গরিব, অশিক্ষিত ও প্রান্তিক মানুষদের টার্গেট করে। অনেকে জমির প্রকৃত মালিক হয়েও সেবা না পেয়ে দালালের দ্বারস্থ হন, এতে যেমন হয় অর্থের অপচয়, তেমনি অনেক সময় ভুল ও জাল কাগজপত্র তৈরি হয়...
    বিশ্ব রাজনীতি অনেক আগেই বুঝে গেছে, বাম আর ডান– এই দুই মেরুর সংঘাত কোনো বাস্তব সমাধান দিতে পারে না। নতুন শতাব্দীর চ্যালেঞ্জগুলো এতটাই জটিল, বাম বা ডান ঘরানার আদর্শিক কাঠামো দিয়ে উত্তর মেলে না। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত নির্ভরতা, তথ্যযুদ্ধ, গণমনস্তত্ত্বের অস্থিরতা– এসব একুশ শতকের এমন প্রশ্ন, যার উত্তর দিতে গেলে প্রয়োজন দেশকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের জন্যও সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক স্লোগান হতে পারে– ‘বাংলাদেশপন্থির হবে বাংলাদেশ’। বাম-ডানের ভাঙা আয়না রাজনৈতিক দর্শনে ‘বাম’ বলতে বোঝায় সমাজতান্ত্রিক, সমতানির্ভর, রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে। আর ‘ডান’ নির্দেশ করে ব্যক্তিস্বাধীনতা, মুক্তবাজার অর্থনীতি ও ঐতিহ্যভিত্তিক মূল্যবোধ। যদিও ফ্রেডরিক নিটশে বলেছিলেন, ‘সমস্ত সত্যই দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়’। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট ‘ইজম’ দিয়ে সব ব্যাখ্যা করা যায় না। বাংলাদেশের বাস্তবতা এই দার্শনিক সত্যটি আরও জীবন্ত করে তোলে। এখানে বামপন্থিরা বিপ্লবের...
    শনিবার সন্ধ্যায় অস্ট্রেলিয়া আবারও তার রাজনৈতিক মঞ্চ, মসনদ, ক্ষমতা আর দায়িত্ব কার তা নতুন করে এঁকে ফেলল। ৮০ বছরের নির্বাচনী ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিরোধীদলীয় লিবারেল পার্টি এমন একটি বিপর্যয় দেখল, যার অভিঘাত শুধু একটি দল বা একজন নেতার নয়—এটা গোটা রক্ষণশীল রাজনীতির এক চরম আত্মসমালোচনার উপলক্ষ হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে অ্যান্থনি আলবানিজের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টির চমকপ্রদ বিজয় এটি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই লেবার পার্টি হয়ে উঠেছে আরও আত্মবিশ্বাসী, আরও দায়িত্বশীল।কিন্তু ফলাফলের আগে চমকপ্রদ জয়-পরাজয় নিয়ে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে ছিল অনিশ্চয়তার এক দোলাচল। সন্ধ্যা থেকে ভোটের ফলাফল আসামাত্রই টেলিভিশন পর্দায় চোখ রাখতেই দেখা গেল, কুইন্সল্যান্ডের ডিকসন আসনে ফলাফলের টালমাটাল সূচক হঠাৎ এক লাল রেখায় রঙিন হয়ে উঠেছে। পিটার ডাটন,...
    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণপ্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের বাস্তবতায় মাস্টারপ্ল্যানের গুরুত্ব ও বাস্তবতাবিষয়ক একটি উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রবিবার (৪ মে) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে ‘জাহাঙ্গীরনগরে মাস্টারপ্ল্যান: অতীত ও বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ও পরিকল্পনাবিদ আকতার মাহমুদ, সহযোগী অধ্যাপক আফসানা হক, পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামালউদ্দিন রুনু, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মুশফিক উস সালেহীন, মাহাথির মোহাম্মদ, মারিয়াম ছন্দা, শৌমিক বাগচী প্রমুখ।  আরো পড়ুন: জাবিতে বই সহজলভ্য করছে ‘গ্রন্থাশ্রম’  জাবি উপ-উপাচার্যের ফেসবুক আইডি হ‍্যাক সভার প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান। তিনি বলেন, “মাস্টারপ্ল্যান...
    ‘তুমি রবে নীরবে’– এক মা-মেয়ের গল্প। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী এ গান এবার রূপ পাচ্ছে একটি মিউজিক ভিডিওতে। এই ভিডিওটি নির্মাণ করছেন চলচ্চিত্র ও নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। তিনি নিজ হাতে গড়েছেন এক নিঃসঙ্গ মায়ের অন্তর্জগৎ ও হারিয়ে যাওয়া মেয়ের ফিরে আসার করুণ বাস্তবতা। দেশের কিংবদন্তি মডেল, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ প্রথমবারের মতো একটি পূর্ণাঙ্গ গল্পভিত্তিক মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করছেন। যেখানে তিনি তুলে ধরেছেন নিঃশব্দ ভালোবাসা, প্রতীক্ষা ও মাতৃত্বের ব্যথা। কানাডার টরন্টো প্রবাসী, যিনি বর্তমানে ফ্লোরিডায় বসবাসরত একজন গজল সংগীতশিল্পী শিরিন চৌধুরীর গানটি গেয়েছেন, যাঁর প্রতিটি সুরে লুকিয়ে আছে ব্যক্তিগত বাস্তবতার ছোঁয়া। প্রযোজনা সংস্থা সিংগিস্টিক-এর ব্যানারে ভিডিওটি নির্মিত হয়েছে। নতুন প্রতিভাবান মডেল নিদ্রিতা সরকার থাকছেন মৌয়ের মেয়ের চরিত্রে। ভিডিওটি চিত্রগ্রহণ করেছেন সুমন হোসেন। এটি মুক্তি পাবে আসছে ১১ মে আন্তর্জাতিক...
    ‘তুমি রবে নীরবে’– এক মা-মেয়ের গল্প। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী এ গান এবার রূপ পাচ্ছে একটি মিউজিক ভিডিওতে। এই ভিডিওটি নির্মাণ করছেন চলচ্চিত্র ও নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। তিনি নিজ হাতে গড়েছেন এক নিঃসঙ্গ মায়ের অন্তর্জগৎ ও হারিয়ে যাওয়া মেয়ের ফিরে আসার করুণ বাস্তবতা। দেশের কিংবদন্তি মডেল, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ প্রথমবারের মতো একটি পূর্ণাঙ্গ গল্পভিত্তিক মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করছেন। যেখানে তিনি তুলে ধরেছেন নিঃশব্দ ভালোবাসা, প্রতীক্ষা ও মাতৃত্বের ব্যথা। কানাডার টরন্টো প্রবাসী, যিনি বর্তমানে ফ্লোরিডায় বসবাসরত একজন গজল সংগীতশিল্পী শিরিন চৌধুরীর গানটি গেয়েছেন, যাঁর প্রতিটি সুরে লুকিয়ে আছে ব্যক্তিগত বাস্তবতার ছোঁয়া। প্রযোজনা সংস্থা সিংগিস্টিক-এর ব্যানারে ভিডিওটি নির্মিত হয়েছে। নতুন প্রতিভাবান মডেল নিদ্রিতা সরকার থাকছেন মৌয়ের মেয়ের চরিত্রে। ভিডিওটি চিত্রগ্রহণ করেছেন সুমন হোসেন। এটি মুক্তি পাবে আসছে ১১ মে আন্তর্জাতিক...
    বিএনপি বরাবরই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতে থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকুক আর না থাকুক বিএনপি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করবে। কখনোই অন্যায়ভাবে অন্যের মতকে চাপিয়ে দেওয়াকে সমর্থন করব না।’আজ রোববার দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। সম্পাদক পরিষদ এই সভার আয়োজন করে।আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা নির্দ্বিধায়, দৃঢ় চিত্তে, স্পষ্ট করে বলতে পারি— আমরা বরাবরই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতে থাকব। ক্ষমতায় থাকি আর না থাকি, যেখানেই থাকি, এই ব্যাপারে আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি।’গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনাদের প্রতি অতীতে যে নির্যাতন নিপীড়ন হয়েছে, আপনাদের আইনকানুন যে পুরোপুরি ফ্যাসিবাদী চরিত্র দেওয়া হয়েছে, এ...
    সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীপুর কুড়িকাউনিয়া এলাকায় কপোতাক্ষ নদের পাউবোর বেড়িবাঁধে আবার ভয়াবহ ভাঙনের খবর গভীর উদ্বেগজনক। গেল শুক্রবার ভোররাতে আচমকা এই ভাঙনে ২০০ ফুটের অধিক স্থানে বাঁধে চিড় ধরেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নদের লবণাক্ত জল প্রবেশ করে অন্তত পাঁচটি গ্রামের মাঠ-ঘের, পুকুর, বসতভিটা ও ফসলের জমি সম্পূর্ণ তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতিবছর এমন বিপর্যয়ের পুনরাবৃত্তি উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর নিত্যদিনের বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।বস্তুত আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়ন একাধিক দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ। এর পূর্ব-দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত পাউবোর বেড়িবাঁধ বারবার ভেঙে মানুষকে সর্বস্বান্ত করে তুলছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জোয়ারের প্রবল চাপ এবং অপরিকল্পিত ও দুর্বল নির্মাণ—সব মিলিয়ে এই বাঁধগুলো প্রতিবছর একাধিকবার ধসে পড়ে। ফলে মানুষ ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই নতুন বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়।প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধের জন্য উপকূলীয় অঞ্চলে নির্মিত বেড়িবাঁধের অধিকাংশই প্রকৌশলগত...
    গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত উঠে আসে সমাজের বহুমুখী সংকটের চিত্র। এসব সংকটের ভিড়ে খোদ গণমাধ্যমের সংকটই আড়ালে পড়েছে। সংকট নিয়েই গণমাধ্যমের যাত্রা শুরু। সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে দিন দিন এই সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। সংকটের সুযোগ নিয়ে একটি শ্রেণি গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভখ্যাত এই গণমাধ্যমকে সংকটে রেখে দেশে কখনো সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।গত তিন দশকে বেসরকারি খাতের গণমাধ্যমে যে ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে, তা মূলত অপরিকল্পিত। যারা যেভাবে পেরেছে, গণমাধ্যমে বিনিয়োগ করেছে। গণমাধ্যমে বিনিয়োগের উৎস নিয়ে তেমন কোনো প্রশ্ন তোলা হয়নি। এর ফলে গণমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাব পড়েছে। অনেকেই নিজেদের ব্যবসাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য গণমাধ্যমকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। আবার একই গোষ্ঠীর মালিকানায় একাধিক সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন ও অনলাইন পত্রিকা পরিচালিত হচ্ছে। এর ফলে গণমাধ্যমে গোষ্ঠীগত প্রভাব কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। এতে গণমাধ্যমে সুষ্ঠু...
    গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত উঠে আসে সমাজের বহুমুখী সংকটের চিত্র। এসব সংকটের ভিড়ে খোদ গণমাধ্যমের সংকটই আড়ালে পড়েছে। সংকট নিয়েই গণমাধ্যমের যাত্রা শুরু। সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে দিনদিন এই সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। সংকটের সুযোগ নিয়ে একটি শ্রেণি গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভখ্যাত এই গণমাধ্যমকে সংকটে রেখে দেশে কখনো সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। গত তিন দশকে বেসরকারি খাতের গণমাধ্যমে যে ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে, তা মূলত অপরিকল্পিত। যারা যেভাবে পেরেছেন, গণমাধ্যমে বিনিয়োগ করেছেন। গণমাধ্যমে বিনিয়োগের উৎস নিয়ে তেমন কোনো প্রশ্ন তোলা হয়নি। এর ফলে গণমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাব পড়েছে। অনেকেই নিজেদের ব্যাবসাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য গণমাধ্যমকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছেন। আবার, একই গোষ্ঠীর মালিকানায় একাধিক সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইন পত্রিকা পরিচালিত হচ্ছে। এর ফলে গণমাধ্যমে গোষ্ঠীগত প্রভাব কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। এতে...
    গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই ৩৫ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সারা ক্রিকেট দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বৈভব সুরিয়াবানশি। অথচ পরের ম্যাচেই মুদ্রার ওপিঠ দেখে ফেললেন এই ১৪ বছর বয়সী কিশোর। বৃহস্পতিবার (১ মে) মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে বাস্তবতার জমিতে আছড়ে পড়তে হল তাঁকে। রানের খাতা খুলার আগেই সাজঘরে সুরিয়াবানশি। এই বিধ্বংসী কিশোর ওপেনারের ব্যাট হাসল না, তার দল রাজস্থান রয়্যালসেও ছিটকে গেল প্লে’অফের দৌড় থেকে। আইপিএল ৫০তম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে মুম্বাই ২ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রানের বিশাল পুঁজি পায়। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই দিশাহীন হয়ে পড়ে রাজস্থান। ২৩ বল আগে অল আউট হয়ে যাওয়ার আগে তাদের সংগ্রহ ছিল ১১৭ রান। ১০০ রানের বিশাল জয়ে টেবিলের চূড়ায় উঠে গেল মুম্বাই। জয়পুরে ঘরের মাঠে টস জিতে প্রতিপক্ষকে...
    তরুণ নির্মাতাদের উৎসাহ দিতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি। ভিন্ন ভাবনা ও নির্মাণের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যার পরিপ্রেক্ষিতে চরকিতে মুক্তি পেয়েছে পাঁচজন তরুণ নির্মাতার পাঁচটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। পাঁচটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হলো- আহসান স্মরণ নির্মিত ‘আকাশে’, আবীর ফেরদৌস মুখর পরিচালিত ‘সুব্রত সেনগুপ্ত’, মাহমুদুল হাসান আদনানের ‘দ্য স্কাই গেটস গ্লুমি অ্যাট নাইট’, মাহমুদ হাসানের ‘ইতিবৃত্ত কিংবা বাস্তবতার পুনরারম্ভ’ এবং নির্মাতা ফুয়াদুজ্জামান ফুয়াদের ‘শব্দের ভেতর ঘর’। প্ল্যাটফর্মটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রেদওয়ান রনি বলেন, ‘‘সাধারণত দেখা যায় তরুণদের বানানো শর্টফিল্মগুলো চলচ্চিত্র উৎসবকেন্দ্রিক হয়ে থাকে বা নির্দিষ্ট কিছু দর্শক–শ্রেণির মধ্যে প্রদর্শন করতে হয়। এরপর সেগুলো আর দেখানোর বা দেখার উপায় থাকে না। সেই সুযোগ তৈরি করতেই চরকির এই উদ্যোগ।’’ আরো পড়ুন: প্রথম দিনে কত আয়...
    জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে নারীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ব শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুর রহমান এ কথা বলেন। ঢাকার পুরানা পল্টনে এই সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।সমাবেশে জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রতিপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়ায়, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে নারীদের আর কোনো কাজ করতে দেবে না, ঘর থেকে বের হতে দেবে না। আমরা বোনদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, তাঁরা তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী পছন্দের কর্মক্ষেত্রে কাজ করবেন।’ এখন দেশে নারীদের কোনো সম্মান, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নেই, বলেন জামায়াতের আমির।শ্রমিক দিবসের সমাবেশেশফিকুর রহমান বলেন, ‘মিল-ফ্যাক্টরির উদ্যোক্তারা (মালিকপক্ষ) সহকর্মী শ্রমিক-কর্মচারীদের উপযুক্ত মূল্যায়ন করেন না, তাঁদের শ্রমের মর্যাদা দেন না। এটি যেমন বাস্তবতা, আরেকটি বাস্তবতা হলো,...
    মে দিবস শুধু একটি তারিখ নয়, এটি শ্রমজীবী মানুষের শতবর্ষব্যাপী সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতীক। ১৮৮৬ সালে শিকাগো শহরে শ্রমঘণ্টা নির্ধারণের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল দিনটি। আজ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই দিনটি পালিত হয় শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদার প্রতীক হিসেবে। বাংলাদেশেও মে দিবস পালিত হয় আনুষ্ঠানিকতা ও প্রতীকী উদ্‌যাপনের ভেতর দিয়ে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, দেশের শ্রমিকশ্রেণির জীবনমান, অধিকার ও কর্মপরিবেশ এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। এই প্রবন্ধে মে দিবসের তাৎপর্য, বাংলাদেশের শ্রমিকদের বর্তমান অবস্থান, শ্রমিক আন্দোলনের ধারা ও শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বাস্তবতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।বাংলাদেশের শ্রমিকশ্রেণি: পরিসংখ্যান ও বাস্তবতাবাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৃহৎ অবদান রাখা সত্ত্বেও শ্রমিকেরা চূড়ান্ত পর্যায়ের অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার। দেশের প্রায় ছয় কোটি শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে একটি বড় অংশ পোশাক কারখানা, নির্মাণ, পরিবহন,...
    জাপানের সঙ্গে বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ (বিগ-বি) প্রকল্প এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে বিগ-বি পরিকল্পনা হাতে নেয় জাপান। ২০২৩ সালে এর ব্যাপ্তি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত বাড়ায় দেশটি। তবে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকলেও এ প্রকল্প থামিয়ে রাখতে চায় না ঢাকা। আগামী ১৫ মে টোকিওতে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ষষ্ঠ ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের এই বৈঠকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে কথা বলবে। জাপানের দিক থেকে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি, মাতারবাড়ী প্রকল্প এগিয়ে নেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে কথা হবে।   এফওসি বৈঠক সামনে রেখে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে...
    ১৮৮৬ সালের ১ মেÑএকটি দিন, একটি দাবি, আর হাজারো শ্রমিকের আত্মত্যাগের মাধ্যমে ইতিহাসে রক্তাক্ত দাগ কেটে দিয়েছিল যে মুহূর্ত, তা আজ বিশ্বব্যাপী ‘মে দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। তখনকার দাবিটি ছিল স্রেফ ৮ ঘণ্টা শ্রমের অধিকার। কিন্তু আজ ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে শ্রমিকের দাবি শুধু সময় নয়Ñমর্যাদা, সুরক্ষা ও ন্যায্যতার প্রশ্নও। এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য “শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এদেশ নতুন করে”Ñএ যেন সময়ের এক গুরুত্বপূর্ণ পাঠ। উন্নয়নশীল বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই বার্তা কেবল প্রাসঙ্গিক নয়, বরং তা রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান ও সমাজের জন্য এক যৌথ দিকনির্দেশনা। বাংলাদেশের শ্রমচিত্র ও বাস্তবতা বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত শ্রমনির্ভর। তৈরি পোশাক শিল্পে প্রায় ৪০ লাখ, কৃষি ও নির্মাণ খাতে আরও কয়েক কোটি মানুষ নিয়োজিত। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে শ্রমনির্ভর খাত থেকে। কিন্তু যাঁরা এই অর্থনীতির ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করছেন, সেই শ্রমিকরা...
    ‘বর্তমান সমাজের সঙ্গে মিল আছে এ নাটকের’, ‘এখনকার সময়ের বাস্তবচিত্র..’, এমন হাজারো মন্তব্যে ছেয়ে গেছে ইউটিউবে একটি নাটকের মন্তব্যের ঘর। মহিদুল মহিম পরিচালিত ‘হ্যালো গায়েজ’ নাটকের কথা বলছি। নাটকটি দেখে ইউটিউবে মন্তব্য করেছেন প্রায় সাত হাজার দর্শক। শুধু তা–ই নয়, নাটকটি এখন ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে তিনে রয়েছে, আর নাটকের মধ্যে প্রথমে। ইউটিউবে নাটকটির ভিউ ছাড়িয়েছে ৫৬ লাখ।‘হ্যালো গায়েজ’ নাটকের গল্প আবর্তিত হয়েছে এক কনটেন্ট ক্রিয়েটর পরিবারকে ঘিরে। যারা জীবনের সব মুহূর্ত ভাগ করে নেয় অনলাইনে। পরিবারের বিভিন্ন সংকট থাকলেও দর্শকের সামনে চাকচিক্য উপস্থাপন করেন। তবে একটা সময় পড়ে তাদের ভুল ভাঙে। তারা বাস্তবতা উপলব্ধি করে। রিলস যে আমাদের জীবনের সুন্দর মুহূর্ত কেড়ে নিচ্ছে, তা ওঠে এসেছে নাটকটিতে। এর প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুশফিক আর ফারহান ও কেয়া পায়েল।‘হ্যালো গায়েজ’ নাটকের...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির জেরে চীনের ব্যবসা–বাণিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে। সব দেশই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, কিন্তু সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চীন। সেই তুলনায় চীনের প্রতিবেশী ও প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারতের ওপর শুল্ক অনেকটাই কম। চীনের ওপর শুল্ক যেখানে ১৪৫ শতাংশ, সেখানে ভারতের পণ্যে শুল্ক মাত্র ২৬ শতাংশ। এ বাস্তবতায় নতুন এক সমীকরণ তৈরি হয়েছে।এই বাস্তবতায় চীনের ব্যবসায়ীরা ভারতের রপ্তানিকারকদের দ্বারস্থ হয়েছেন। লক্ষ্য হলো, চীনের তৈরি পণ্য ভারতীয় কোম্পানির মাধ্যমে মার্কিন মুলুকে পাঠানো। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গ্রাহক ধরে রাখতে মরিয়া চীনা কোম্পানিগুলোর ভরসা এখন ভারত।চীনের গুয়াংজু শহরে চলছে বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য মেলা ক্যান্টন ফেয়ার। ২৭ এপ্রিল এই মেলার দ্বিতীয় পর্ব শেষ হয়েছে। আগামী ৫ মে থেকে এর তৃতীয় পর্যায় শুরু হবে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সহায় জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য...
    ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১—এই ২৪ বছর ধরে পূর্ব বাংলা তথা পূর্ব পাকিস্তানকে তদানীন্তন পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী যেভাবে ‘অভ্যন্তরীণ কলোনি’ হিসেবে লুণ্ঠন, শোষণ, বঞ্চনা, পুঁজি পাচার ও অমানুষিক নিপীড়নের অসহায় শিকারে পরিণত করেছিল, সে সম্পর্কে নিচে কয়েকটি নজির উপস্থাপন করছি। এগুলো জানার পর বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী কারোরই পাকিস্তানপ্রেমী হওয়া অযৌক্তিক। কেউ যদি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভারতবিরোধী হয়, সেটাকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হিসেবে অভিহিত করলে দোষণীয় নয়। কিন্তু পাকিস্তান তো এখনো বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। ১৯৪৭ সালে পূর্ব বাংলার জনগণ ছিল পাকিস্তানের জনগণের ৫৬ শতাংশ, কিন্তু উপস্থাপিত তথ্য-উপাত্তগুলো প্রমাণ করছে, কত নির্মমভাবে পাকিস্তানের শাসকমহল পূর্ব পাকিস্তানকে (‘পূর্ব বাংলা’ থেকে যার নাম ১৯৫৫ সালে হয়েছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান’) বঞ্চনা, শোষণ, লুণ্ঠন, পুঁজি-পাচার ও বৈষম্যের শিকার করেছিল—১. প্রাথমিক পর্যায়ে পাকিস্তানের রপ্তানি আয়ের ৭৫-৭৭ শতাংশই...
    “সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করছে প্রেস কাউন্সিল। সে ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে।”  বলেছেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম।   তিনি বলেন, “সেমিনার-সিম্পোজিয়াম ও সভার বক্তব্য আর বাস্তবতা ভিন্ন। সুন্দর সুন্দর কথা বলা যায় কিন্তু বাস্তবতায় এর কোন প্রতিফলন নেই। সংস্কারে যার যার জায়গা থেকে অল্প কিছু হলেও এগোতে হবে এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা নিশ্চিত করতে হবে।” সোমবার (২৮ এপ্রিল) লক্ষ্মীপুর সার্কিট হাউজে ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রেসকাউন্সিলের উপসচিব মো. আব্দুস সবুর, লক্ষ্মীপুর...
    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙা শিল্পে বর্তমানে যে শোচনীয় অবস্থা চলছে, তার মধ্যে সেখানে নতুন জাহাজভাঙা কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব গভীর উদ্বেগ ও বিস্ময়ের বিষয় হিসেবে দেখা দিয়েছে।১৫০টি অনুমোদিত ইয়ার্ডের মধ্যে ১২৫টি যখন কার্যত অচল; অধিকাংশ মালিক নিজ উদ্যোগ পরিত্যাগ করে যখন ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন এবং যখন মাত্র সাতটি কারখানা প্রয়োজনীয় ‘গ্রিন সনদ’ অর্জনে সক্ষম হয়েছে, তখন নতুন করে জাহাজভাঙা কারখানা বিস্তৃতির প্রস্তাব যুক্তিহীন ও বাস্তবতাবিবর্জিত বলেই প্রতীয়মান হয়।প্রথম আলোর অনুসন্ধান অনুযায়ী বোয়ালিয়া মৌজায় প্রায় ২০০ একর জমি জাহাজভাঙার জন্য বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে। এর যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠায় ভাঙা বেড়িবাঁধ সংরক্ষণ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মতো অজুহাত উত্থাপিত হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা বলছে, এ অঞ্চলে এর আগে বিপুল পরিমাণ জমি অব্যবহৃত পড়ে আছে, যেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করলেই অনুরূপ ফলাফল অর্জন করা সম্ভব।নতুন ইয়ার্ডের জন্য সংরক্ষিত...
    বাংলাদেশ সফররত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সংস্কার নিয়ে এনসিপির ভাবনা, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।গত ২৫ এপ্রিল (শুক্রবার) রাজধানী ঢাকায় এই বৈঠক হয়। এনসিপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্যসচিব আলাউদ্দীন মোহাম্মদ ও তাহসীন রিয়াজ। বৈঠকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন দলের দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের পেং জিউবিন। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন চেন জুয়ানবো, চেন ইয়াংপেই ও ঝাং গুইউ।আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি জানিয়েছে এনসিপি। এতে বলা হয়, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তাদের...
    আমি যখন অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে গিয়েছিলাম, তখন মেলবোর্ন শহরের বাইরে একটু গ্রামীণ পরিবেশে একটি বাসায় ভাড়া থাকতাম। সেই বাসার মালিক ছিলেন বেশ ধনী একজন লোক; তাঁর সম্ভবত ৮ থেকে ১০টি বাড়ি ছিল। তাঁর একটাই মেয়ে ছিল, যাকে তিনি তখনই তাঁর উত্তরাধিকার হিসেবে একটি বাড়ি দিয়েছিলেন। একদিন আমি ‘বাঙালি স্বভাব’ অনুযায়ী লোকটিকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘আপনি কি আপনার সব সম্পত্তি মেয়েকে দিয়ে যাবেন?’ তিনি হেসে বলেছিলেন, ‘না, সব দেব না। আমাদের দেশে এটা ঠিক নয়। এখানে সন্তানেরা নিজেরাই গড়ে ওঠে। সরকার আর সমাজ তাদের পাশে থাকে। তাই সবকিছু সন্তানের নামে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এরপরও কেউ যদি নিজের সব সম্পদ সন্তানদের দিতে চায়, তখন আমরা তাকে নেতিবাচকভাবে দেখি।’এমন দৃষ্টিভঙ্গি শুধু অস্ট্রেলিয়ার নয়, আমেরিকা–ইউরোপেও দেখা যায়। বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট, ইলন মাস্কদের মতো ধনী ব্যক্তিরাও...
    সমুদ্রের তীরে দুই পায়ের পাতায় ভর দিয়ে বসে আছেন এক ব্যক্তি। গভীর মনোযোগ দিয়ে তাঁর চুল-দাড়ি কাটছেন আরেকজন। কিছুক্ষণ পর পর ঢেউ এসে দু’জনের পায়ের পাতা ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। পাশে চোখ ফেরালেই আরেক দৃশ্যে নজর আটকায়। পরিত্যক্ত এক জোড়া জুতা পায়ে ময়লার বিশাল স্তূপ থেকে লাফিয়ে নামছেন এক মধ্যবয়সী নারী। তাঁর হাতে নোংরা প্লাস্টিকের বস্তা। আরেকটু দূরের ফ্রেমে নজর রাখলে দেখা মেলে নিখাদ আনন্দের। রেলপথের পাশের দুটি খুঁটিতে দড়ি বেঁধে দোলনা বানিয়ে একে অপরের মুখোমুখি বসে দুলছে দুই পথশিশু। তাদের চোখেমুখে উচ্ছ্বাস। এমনই বিচিত্র সব দৃশ্যের প্রদর্শনী চলছে রাজধানীর পান্থপথের দৃকপাঠ ভবনে। জুলাই আন্দোলন থেকে শুরু করে নিত্যজীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা, যেগুলো সহজেই চোখ এড়িয়ে যায়, সেই সব দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে দর্শকদের সামনে তুলে এনেছেন আলোকচিত্রীরা। এর মধ্যে কিছু ছবি...
    মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে গত শনিবার পর্যন্ত নতুন করে ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। ইতোমধ্যে যৌথভাবে তাদের আঙুলের ছাপও নিয়েছে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর)। এদের নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মোট রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়াল অন্তত ১৩ লাখ ১৩ হাজারে। তবে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের আইরিশের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের অনুমতি এখনও দেয়নি সরকার।    নতুন আসা রোহিঙ্গাদের আবাসস্থলের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশকে চিঠি দিয়েছে ইউএনএইচসিআর। গত সপ্তাহে তারা শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়কে এ চিঠি দেয়। গতকাল রোববার রাতে সংশ্লিষ্ট একটি দায়িত্বশীল সূত্র সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করে।  সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে শনিবার পর্যন্ত দেড় বছরে আসা রোহিঙ্গাদের নতুন হিসাবে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছে গত বছরের মে-জুনের পর। চলতি বছরের প্রায় প্রতিদিন...
    শেয়ারবাজারে মার্জিন অ্যাকাউন্টে মূলধনি লোকসানি হিসাবগুলোর কী হবে এবং বিনিয়োগকারীদের জমা অর্থের বিপরীতে সুদ আয় কে পাবে– তার সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত ইস্যুর সমাধান করতে গিয়ে বিএসইসি নতুন সমস্যা তৈরি করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএসহ সংশ্লিষ্টরা এমনটি জানিয়েছেন।  তারা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের জমা করা অর্থের সমন্বিত ব্যাংক হিসাবের (সিসিএ) সুদ বাবদ আয় কে পাবে, সে বিষয়ে সমাধান দিতে গিয়ে বিএসইসি নতুন সংকট ও বিতর্ক তৈরি করছে। গত কমিশন এ আয়ের শতভাগ বিনিয়োগকারীদের ফেরত দিতে বলেছিল, যার বাস্তবতা বা বাস্তবায়ন উভয়ই ছিল অসম্ভব। বর্তমান কমিশন বলছে, সিসিএ থেকে সুদ আয়ের ২৫ শতাংশ বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিলে জমা দিয়ে বাকি ৭৫ শতাংশ বিনিয়োগ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে ব্যয় করতে হবে। আবার এ অর্থ আয় খাতে নেওয়া যাবে...
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আবারও জানিয়েছেন, তারা দেশের ইতিহাসে ‘সেরা নির্বাচন’ আয়োজন করবেন। ১৯ এপ্রিল এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনসের (এএনএফআরইএল) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই, এ নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা এবং দেশে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এক মাইলফলক।’ এর আগেও তিনি একই কথা বলেছিলেন। সরকারপ্রধানের আসন থেকে আসা এ বক্তব্যকে সরকারের অঙ্গীকার হিসেবে ধরে নেওয়া সংগত হবে। পরপর তিনটি একতরফা ও কলঙ্কিত নির্বাচনের পর একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন শুধু রাজনৈতিক দল নয়, দেশবাসীর কাছে বহুল প্রত্যাশিত। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, রাজনীতির মাঠের বাস্তবতা কী এ অঙ্গীকার পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা তুলে ধরে?  অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানকে শুরু থেকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চলতে হচ্ছে। কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনার ধ্বংস করে যাওয়া নির্বাচন ব্যবস্থা, লুটপাট ও চৌর্যতন্ত্রের...
    বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক সময়ে চালু হয়েছে আউটকামভিত্তিক শিক্ষা (আউটকামবেজড এডুকেশন-ওবিই)। এই কাঠামো উচ্চশিক্ষাকে আরও দক্ষ, জবাবদিহিমূলক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়। তবে তাড়াহুড়ো না করে, এই শিক্ষা কাঠামোর প্রয়োগ প্রশ্নে দেশীয় প্রেক্ষাপটে পরিপক্বতা ও প্রজ্ঞার সঙ্গে অগ্রসর হওয়া জরুরি। নিছক বিদেশি মডেল অনুসরণ না করে, আমাদের নিজস্ব শিক্ষাদর্শন, ঐতিহ্য ও প্রাত্যহিক বাস্তবতাকে গুরুত্ব দিয়ে ওবিই বাস্তবায়ন করতে হবে। বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা দেখায় সুস্পষ্ট দর্শন, কাঠামো এবং মূল্যায়ন পদ্ধতির সমন্বয় ছাড়া এই মডেল টেকসই হয় না। উদাহরণস্বরূপ, আশির দশকে যুক্তরাষ্ট্রে কে-১২ স্তরে ওবিই চালুর সময় কিছু অভিভাবক, শিক্ষক ও নীতিনির্ধারকের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তাদের আশঙ্কা ছিল, নির্ধারিত আউটকাম শিক্ষার স্বাভাবিক প্রবাহে কৃত্রিম কাঠামো চাপিয়ে দেয়, শিক্ষককে পেশাগতভাবে সীমাবদ্ধ করে এবং শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুসন্ধানী মানসিকতা বাধাগ্রস্ত...
    কর্মসংস্থানের প্রধান চালিকা শক্তি হলো বিনিয়োগ। যত বেশি বিনিয়োগ, তত বেশি উৎপাদন এবং সেই অনুপাতে সৃষ্টি হয় কর্মসংস্থান। বাংলাদেশে এই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেশি–বিদেশি—উভয় ধরনের বিনিয়োগই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) পরিসংখ্যান বলছে, কর্মসংস্থান তৈরিতে দেশীয় বিনিয়োগের অবদানই তুলনামূলকভাবে বেশি।যদিও এ অভিযোগ বেশ পুরোনো যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এ দেশে তুলনামূলকভাবে বেশি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। বিডার বিনিয়োগসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করলে একটি স্পষ্ট চিত্র উঠে আসে।বিডার বিনিয়োগবিষয়ক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০০৯-১০ সালে ৩৯৩ কোটি ১০ লাখ ডলার দেশীয় বিনিয়োগের বিপরীতে কর্মসংস্থান হয়েছে ২ লাখ ৯১ হাজার ৪১৮ জনের; সেই বছর ৮৯ কোটি ডলার বিদেশি বিনিয়োগের বিপরীতে কর্মসংস্থান হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৫ জনের।২০২০-২১ সালে ৬৬৬ কোটি ৬৯ লাখ ডলার বিদেশি বিনিয়োগের বিপরীতে কর্মসংস্থান হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ১০০...
    ‘মোহ কাঠের নৌকা’ উপন্যাসে আধুনিক সমাজের জটিলতা, পেশাগত টানাপোড়েন, ব্যক্তিগত সংকট ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় চরিত্র রবীন গ্রাম থেকে শহরে এসে উচ্চশিক্ষা শেষে এক অখ্যাত অনলাইন সংবাদমাধ্যমে যোগ দেয় বড় স্বপ্ন নিয়ে। বাস্তবতা তাকে হতাশ করে তোলে। অফিসের রাজনীতি, অনিয়মিত বেতন ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা তাকে এক ধরনের পেশাগত দুঃখবোধে ফেলে। এ ছাড়া রবীনের জীবনে একের পর এক সংকট আসে– নিজের একাকিত্ব, পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং সমাজের নানা অসংগতি। একসময় তার পরিচয় হয় জলি নামে এক মেয়ের সঙ্গে, যার বাবা গুমের শিকার। জলি চরিত্রের মাধ্যমে লেখক তুলে ধরেন গুম হওয়া পরিবারের কষ্ট, অনিশ্চয়তা ও অবহেলার যন্ত্রণা। অন্যদিকে, গ্রামের স্মৃতি রবীনের মনে গভীরভাবে গেঁথে থাকলেও বাস্তবতা সেখানে গিয়ে বদলে গেছে। বিদেশের অর্থে বদলে যাওয়া গ্রামীণ সমাজ,...
    দীর্ঘ অসুস্থতার পর পোপ ফ্রান্সিস গতকাল ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুর ঠিক আগের দিন ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে ইস্টার সানডের ভাষণে রোমান ক্যাথলিকদের এই শীর্ষ ধর্মগুরু বলেছিলেন, তিনি ‘ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের খ্রিষ্টানদের কষ্ট এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি সব মানুষের দুঃখের’ সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করছেন।এই বক্তব্য ছিল গাজায় ইসরায়েলের চলমান নিধনযজ্ঞ নিয়ে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫১ হাজার ২০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন সেখানে। এই ভয়াবহ সংঘাত নিয়ে পোপের শেষ বার্তা ছিল, ‘আমি যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে আহ্বান জানাই, যুদ্ধবিরতি করুন, জিম্মিদের মুক্ত করুন এবং শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ কামনা করছে যে ক্ষুধার্ত জনগণ, তাদের পাশে দাঁড়ান।’গাজায় চলমান বিভীষিকার চিত্র তুলতে পোপ ফ্রান্সিস যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তাকে যথাযথ বলা যায় না। কারণ, গণহত্যাকে ‘সংঘাত’ বলা যায় না।...
    ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অহনা রহমান ও অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত আবারো জুটি বেঁধেছেন। তাদের অভিনীত নতুন নাটক ‘ভাঙা সংসার’। আগামী ২৩ এপ্রিল বিকেলে লেজার ভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে এটি। নাটকটি রচনা করেছেন জান্নাতারা ফেরদৌস মিলা এবং পরিচালনা করেছেন জিয়াউদ্দিন আলম। এতে গ্রামের এক গৃহবধূর জীবনের করুণ বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। অহনা রহমান এমন এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যে শ্বশুরবাড়িতে সীমাহীন নির্যাতনের শিকার হন। নির্মাতা জানিয়েছেন, বাস্তব জীবনের নানা পারিবারিক কষ্ট ও সামাজিক সচেতনতাই নাটকের মূলবার্তা। নাটক প্রসঙ্গে পরিচালক জিয়াউদ্দিন আলম বলেন, “অহনা অসাধারণ অভিনয় করেছেন। তার আবেগময় পারফরম্যান্স দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাবে। নাটকটির মাধ্যমে আমরা সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।” আরো পড়ুন: ‘জামিল এসে বলল, আপা চলেন প্রেম করি’ ব্যাচেলর...
    ‘শেষের কবিতা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি অনন্য অসমাপ্ত প্রেমের উপন্যাস, যাকে লেখকের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। প্রেমের পরিণতি হবে আনন্দের, একে অপরের সঙ্গে আবদ্ধ হবে এটাই স্বভাবিক। এ উপন্যাসে প্রেম ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত হয়। যেখানে নবশিক্ষিত রুচিশীল সমাজের চিত্র ফুটে উঠেছে। আমি চোখ মেললুম আকাশে,/ জ্বলে উঠল আলো/ পুবে-পশ্চিমে।/ গোলাপের দিকে চেয়ে বললুম ‘সুন্দর’ সুন্দর হলো সে। পঙ্‌ক্তিগুলো  উচ্চারিত হয় সুহৃদদের কণ্ঠে। পঁচিশে বৈশাখ কবিগুরুর ১৬৫তম জন্মদিন। দিবসটি সামনে রেখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাস নিয়ে পাঠচক্র করেছেন তিতুমীর কলেজের সুহৃদরা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’ বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য সৃষ্টি। এখানে প্রেমের প্রকৃতি, আত্ম-অন্বেষণ এবং সম্পর্কের জটিলতা অত্যন্ত শিল্পিত ভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছেন রবীন্দ্রনাথ।  সে সময়ের শহুরে অভিজাত ও শিক্ষিত সমাজের সাহিত্যপ্রেমী তরুণ-তরুণীদের কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে উপন্যাসের কাহিনি।...
    ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ’ করার অভিযোগে মামলায় সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই ধারার অপরাধ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার মধ্যেই থাকবে। কিন্তু আলাদা একটা সেকশনে বিচার হবে। এটা আলাদা অপরাধ না, একই অপরাধ। একই আইনের আওতায় পৃথকভাবে এটা হলো। অর্থাৎ এ অপরাধের অভিযোগে আলাদা করে মামলা হবে, যেটির সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছর। বিষয়টির আইনগত সংজ্ঞা এবং বাস্তবিক প্রয়োগ নিয়ে আমাদের যথেষ্ট চিন্তাভাবনার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ’ বাক্যের ফলে ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধ লঘু হয়ে যেতে পারে।  ‘প্রলোভন দেখানো’– এটাকেও ধর্ষণের সংজ্ঞায় ঢুকিয়ে রেখেছে। অর্থাৎ এফআইআরে যখন লেখা হয় বিয়ের-প্রেমের নামে প্রতারণা বা শারীরিক সম্পর্ক করা হয়েছে, এর ফলে যে...
    ‘‘একটা জাতীয় দলের যতটুকু প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার ছিল, সিলেটে এসে আমরা সেটা পেয়েছি। আমরা ভালো করতে পারিনি এটা আমাদের ব্যর্থতা।’’ ‘‘নিজেদের উন্নতির ব‌্যাপারে তারা অনেক বেশি সচেতন। হয়তো আমরা খুবই খারাপ খেলেছি। তাদের বড় হওয়ার ইচ্ছা নেই, এটা বলা যাবে না।’’ ‘‘আজকে ব্যাটিং মোটেও ভালো হয়নি। বোলিংও ভালো হয়নি। চেষ্টা করবো এই জায়গা থেকে আমরা কিভাবে ম‌্যাচে তাড়াতাড়ি ফিরতে পারি।’’ আরো পড়ুন: গা-ছাড়া ক্রিকেটে ডুবল আশার সূর্য অবশেষে জিম্বাবুয়ে সিরিজ সম্প্রচারকারী চ্যানেল পেলো বিসিবি বাংলাদেশের যে কোনো ব‌্যর্থতার দিনে দলের প্রতিনিধিরা যে সকল কথা গণমাধ‌্যমে এসে বলেন বিগত কয়েক বছর কিংবা তার-ও বেশি সময় আগে, আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সেই কথাগুলোই বললেন। তাইতো সংবাদ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে...
    যুক্তরাষ্ট্রের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করে বিশ্বের প্রায় সব দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেই শুল্ক ঘোষণা ও তারপর স্থগিতের ঘোষণার ফল হয়েছে উল্টো। সেটা হলো, যে ডলার ছিল তার অন্যতম হাতিয়ার, সেই ডলার শক্তি হারাতে শুরু করেছে।ডলার অবশ্য কয়েক মাস ধরেই শক্তি হারাচ্ছে। গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারের শেষ কর্মদিবসে (১৮ এপ্রিল) ইউএস ডলার ইনডেক্সের মান ছিল ৯৯ দশমিক ২৩। অথচ জানুয়ারি মাসে এই সূচকের মান ছিল ১১০। সেই হিসাবে দেখা যাচ্ছে, জানুয়ারি মাসের পর ডলার ইনডেক্সের মান কমেছে ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। ১১ এপ্রিল এই সূচকের মান ২০২৩ সালের জুলাই মাসের পর এই প্রথম ১০০-এর নিচে নেমে যায়। খবর দ্য গার্ডিয়ান।শুধু এপ্রিলের শুরু থেকেই ইউরো, পাউন্ডের সাপেক্ষে ডলারের দরপতন হয়েছে ৫ শতাংশ, ইয়েনের...
    নানা চড়াই-উতরাই, পরিবর্তন আর বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে পথ চলছে আমাদের এ নীল গ্রহ। মানুষের আগমনের আগেও ছিল এ পৃথিবী, ছিল প্রাণের বিকাশ। ২২ এপ্রিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখার জন্য ১৯৭০ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে এ দিবস। অথচ একদিকে যুদ্ধ, দখলদারিত্ব, দাবানল, ভোগবাদী আগ্রাসন, অন্যদিকে এর প্রতিফল জলবায়ু পরিবর্তনের কঠিন বাস্তবতা। প্রকৃতি আজ ক্ষতবিক্ষত। জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে, গলে যাচ্ছে হিমবাহ, ডুবে যাচ্ছে উপকূল। পৃথিবীর ছোট একটি দেশ বাংলাদেশ, যার অস্তিত্ব জড়িয়ে আছে প্রকৃতির সঙ্গে। এখানেও আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি– নদীভাঙন, ঘূর্ণিঝড়, লবণাক্ততা, খরার প্রকোপ দিন দিন বেড়ে চলেছে। কিছুদিন আগে উত্তরবঙ্গজুড়ে দেখা দেয় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে না পেতে উপকূল ও পাহাড়জুড়ে ব্যাপক পানি সংকট দেখা দেয়। পানির জন্য...
    ২৫ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি ফটো সাংবাদিক ফাতিমা হাসসুনার জন্য ফটোগ্রাফি ছিল পেশার চেয়েও বেশি কিছু। এটি ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাস্তবতা তুলে ধরার এক অভিযান। গত ১৮ মাসে যুদ্ধের নামে ইসরায়েলি গণহত্যার কারণে ক্যামেরা হাতে ফাতিমা গাজার অলিগলিতে ঘুরতেন। ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনে মানবিক ক্ষয়ক্ষতি সংরক্ষণ করতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত বাড়িঘর, শোকাহত পরিবার এবং ধ্বংসের মধ্যে শিশুর চোখে আশার আলো খুঁজে বেরিয়েছে তাঁর ক্যামেরা। ফাতিমার তোলা হাজার হাজার ছবি সারাবিশ্বে গাজায় জীবন ও মৃত্যুর এক অম্লান জানালা খুলে দিয়েছিল। তাঁর লেন্স দেখিয়েছে ধ্বংসযজ্ঞ ও মর্যাদা, বেদনা ও অদম্যতা, মৃত্যু আর সেই ছোট্ট আনন্দের সময়, যা বেঁচে থাকার সাহস জোগায়। তাঁর তোলা ছবিগুলো শুধু ইমেজ নয়, সেগুলো ছিল গাজাবাসীর অবিচ্ছিন্ন সংগ্রাম ও মানবিকতার গল্প। তিনি বিশ্বাস করতেন, ক্যামেরাই তাঁর শক্তিশালী অস্ত্র; যা ইতিহাসকে রক্ষা...
    বিশ্ব চলচ্চিত্রের মর্যাদাপূর্ণ আসর ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে ক্যামেরা দ’অর পুরস্কারের জুরি সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইতালির খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার অ্যালিস রোরওয়াচার। এ পুরস্কারটি দেওয়া হয় উৎসবে নির্বাচিত সেরা প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে, যা কান উৎসবের অফিশিয়াল সিলেকশন, ক্রিটিকস উইক, অথবা ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট বিভাগে প্রদর্শিত হয়ে থাকে। অ্যালিস বলেন, ‘‘প্রথম অভিজ্ঞতা আমাদের জীবনের সেরা স্মৃতিগুলোর একটি। যেভাবে কেউ প্রথমবার ভালোবাসায় পড়ে, অথবা অজানা কোনো ভূখণ্ডে পা রাখে–সেই সোনালি অনুভূতি আমাদের মনে গেঁথে থাকে। হয়তো এজন্যই এ পুরস্কারটির নাম ক্যামেরা দ’অর, অর্থাৎ সোনার ক্যামেরা।” এর আগে, ২০২৪ সালের ক্যামেরা দ’অর জিতেছিলেন নরওয়ের পরিচালক হাফদান উলমান টন্ডেল, তাঁর ছবি ‘আরমান্ড’-এর জন্য। অ্যালিসের কান উৎসবে যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালে। সে বছর ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটে প্রদর্শিত তাঁর নির্মিত প্রথম সিনেমা ‘কর্পো সেলেস্তে’। এরপর...
    গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি বহুপক্ষীয় মত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। এর অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনপ্রক্রিয়া। বর্তমানে প্রচলিত নির্বাচনসংক্রান্ত আইন ও ২০০৮ সালের নিবন্ধন বিধিমালার অন্তর্নিহিত কঠোরতা সদ্য গঠিত কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিবন্ধনের সব শর্ত পূরণ করাকে প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে। রক্তস্নাত গণ অভ্যুত্থান-পরবর্তী রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ‘শত ফুল ফুটতে দাও’ নীতির হাত ধরে যখন নতুন নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশের আকাঙ্ক্ষায় উজ্জীবিত হচ্ছে, সে মুহূর্তে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে যে সময়সীমা নির্ধারণ করতে দেখা গেছে, তা বাস্তবতার নিরিখে অসংগত, অপর্যাপ্ত এবং নবীন রাজনৈতিক শক্তিগুলোর জন্য কার্যত একপ্রকার নিষেধাজ্ঞারই নামান্তর।এমন প্রেক্ষাপটে সদ্যোজাত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি (বিএজেপি) এবং নতুনধারা বাংলাদেশ (এনডিবি) নিবন্ধনের সময়সীমা বৃদ্ধিসংক্রান্ত যে দাবি তুলেছে, তা বিবেচনা করতে হবে...
    আত্মনিয়ন্ত্রণে জাপানিরা নানা রকম পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে। সেই সব পদ্ধতি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। অধুনা বিশ্ব-বাস্তবতায় দেখা যায়, জটিল জীবন যাপন পদ্ধতি আমাদের মানসিক অবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই নেতিবাচকতা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য জাপানিরা একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে। এই পদ্ধতির নাম রুইকাতসু।  আমরা সাধারণত কাউকে কান্না করতে দেখলে বলি, কান্না থামাও, দুঃখ করো না, মেনে নাও, এটাই বাস্তবতা-থেমে যাও। কিন্তু জাপানিরা বলছে, মন খারাপ হয়েছে, কাঁদো। কাঁদলে মন ভালো হয়ে যায়। তাদের ভাষায়, কাঁদো এবং কান্নার অভ্যাস করো। তবে কান্নার উদ্দেশ্য যেন হয়, কষ্ট কমিয়ে নিজেকে মুক্তি দেওয়া, মনকে শক্ত করা, এবং নতুন শক্তি খুঁজে পাওয়া। তথ্য-প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা জাপানে মানুষ এক সময় আবেগ প্রকাশের সঠিক উপায় হারিয়ে ফেলতে শুরু করেছিল। এরপর তারা কান্নাকে...
    সালভাদর দালি ঠিক কোন দিন থেকে আমার মনের গভীরে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছেন, সেটা মনে করতে পারি না। তবে এটুকু স্পষ্ট মনে আছে– প্রায় এক যুগ আগে, যখন প্রথম তাঁর আঁকা ‘দ্য পারসিসটেন্স অব মেমোরি’ ছবিটা দেখেছিলাম, তখনই চোখের সামনে এক অদ্ভুত জগৎ খুলে গিয়েছিল! ছবিটা ছিল অদ্ভুত! ক্যানভাসের ওপরে মোমের মতো গলে পড়ছিল তিনটি ঘড়ি; যা সময় বয়ে যাওয়ার প্রতীক, আর ছবির কোণে ছড়িয়ে থাকা পিঁপড়াগুলো যেন জীবনের ক্ষণস্থায়িত্বের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। এ ছাড়া কিছু একটা ছিল ছবিটায়; যা পুরোপুরি আবিষ্কার করতে না পারলেও উপলব্ধি করে আমি অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম। বিশ্বখ্যাত ভিনসেন্ট ভ্যান গগের আঁকা ছবি আমার বহু আগে থেকেই পছন্দ ছিল। গগের তুলির আঁচড়, রং, প্রকৃতি আমাকে মুগ্ধ করত। কিন্তু দালির চিত্রকর্ম আমাকে চিরচেনা পরিধির বাইরে কল্পনা-বাস্তবতার মিশেলে অন্যরকম...
    বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত। একই সঙ্গে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের কারণে ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রক্রিয়া থেকে ভারত লাভবান হবে। চীন থেকে যেসব কারখানা সরে আসবে, তার বড় একটি অংশ হয়তো ভারতে যাবে। কিন্তু তার বাস্তবতা কতটা।সংবাদ বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ভারত কার্যত বাণিজ্যবান্ধব রাষ্ট্র নয়। দেশটিতে শুল্কের হার অনেক বেশি; বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তারা সুরক্ষাবাদী। যে কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলে আসছেন, ভারত হলো শুল্কের রাজা। কিন্তু ভারতের সুবিধা হলো বিশ্বের বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ বাজার। এ ক্ষেত্রে ভারত প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলেছে। ভারতের প্রবৃদ্ধি মূলত তার এই বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজারের কল্যাণে। যে কারণে বৃহৎ অর্থনীতিগুলোর মধ্যে ভারত সবচেয়ে দ্রুত এগোচ্ছে। এই যে তার নীতিগত অবস্থান, সে জন্য বিশ্ববাণিজ্যের এই টালমাটাল সময়ে তারা কিছুটা সুরক্ষিত,...
    স্টেশনে দুই রেললাইনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন পেঁয়াজচাষি মীর রুহুল আমিন (৭০) নামের এক ব্যক্তি। ট্রেন আসামাত্রই তিনি লাইনে শুয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। গত সোমবার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।মীর রুহুল আমিনের আত্মহত্যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। আত্মহত্যা নিয়ে নেটিজেনরা ধুয়ে দিচ্ছেন তাঁর পরিবারকে। তাঁরা লিখছেন, পরিবারের অবহেলার শিকার হয়েছে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ভিন্ন ঘটনা।মীর রুহুল আমিনের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মাঝপাড়া বাউসা গ্রামে। আড়ানী রেলস্টেশনে ঢাকাফেরত ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে শুয়ে পড়ে তাঁর আত্মহত্যার সময় কয়েকজন তরুণ টিকটক করছিলেন। তাঁদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে তাঁর আত্মহত্যার দৃশ্য। এতে দেখা যায়, স্টেশনে একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। আরেকটি ট্রেন স্টেশনে ঢুকছে। ট্রেন কাছে আসামাত্রই মীর রুহুল আমিন লাইনের ওপরে শুয়ে পড়েন। ট্রেনের চাকা তাঁর...
    বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন যে প্রকৃতপক্ষেই কঠিন বা আপাত-অসম্ভব এক বাস্তবতা, সে বিষয় আবারও উঠে এল যোগাযোগ পেশাজীবী ও শিক্ষক খান মো. রবিউল আলমের প্রকাশিত লেখায়। ‘হাসিনার পতনে গ্রামেগঞ্জে প্রভাব ও আওয়ামী কর্মীদের ভাবনা কী’ শীর্ষক ওই লেখায় তিনি দেশের গ্রামাঞ্চলের নির্জলা বাস্তবতাই তুলে ধরেছেন।খান মো. রবিউল আলমের লেখার মূল বক্তব্য হলো, বাংলাদেশের মানুষ এখনো দ্বিদলীয় বা বড়জোর তৃতীয় দলের বাইরে যে কিছু ভাবতে পারে না, এর নানা কারণ আছে। সেই কারণগুলো দেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবন থেকে তুলে এনেছেন তিনি। সে জন্য তাঁর বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য।খান মো. রবিউল আলমের লেখা থেকে উদ্ধৃত করা যাক, ‘স্থানীয় জনগণ নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টায় জনগণ বিএনপিকে আগামী দিনের প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচনা করছে। গ্রামীণ রাজনৈতিক ক্ষমতাকাঠামোয় আওয়ামী...
    নামাজ-রোজার মতোই পহেলা বৈশাখ-পাহাড়ি উৎসব আমাদের সংস্কৃতি। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সরকার। প্রতি বছর এপ্রিলে সংস্কৃতি আলোচনায় আমরা মেতে উঠি। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করেই আমাদের এ মেতে ওঠা। কেন এই মেতে ওঠা? মেতে ওঠার ইতিহাসটি নতুন তো নয়ই, উল্টো এই মেতে ওঠার সঙ্গে ১৯৭১-এর  মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরস্পরের হাত ধরে চলছে, কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা এখনও পূর্ণতা পায়নি বলে প্রতি বছর এই মেতে ওঠা। সাধারণ ধারণায় ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে লাখ লাখ পাকিস্তানি এ দেশে রয়ে গেছে। পরাজিত জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি ও তাদের তৎপরতা যে কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূমিতে একটি বাস্তবতা। মধ্যযুগে বা সামন্তকালে এমন পরাজিতদের সাধারণত হত্যা করা হতো অথবা ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হতো। এ বাস্তবতার মোকাবিলায় আদালত বা...
    অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের এবারের জাতীয় বাজেটটি যাতে ব্যবসা এবং বিনিয়োগের জন্য সহায়ক হয়। করকাঠামোযাতে সেভাবেই সাজানো হয়। সাধারণত, যারা নিয়মিত কর দেন তাদের ওপরই  বারবার করের বোঝা চাপানো হয়। অন্তত আগামী বাজেটে যেন এ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসে সরকার। যৌক্তিক করহার নির্ধারণ এবং হয়রানিমুক্ত করসেবা নিশ্চিত করা গেলে ব্যবসা–বিনিয়োগের সঙ্গে রাজস্বও বাড়বে। আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে আজ রোববার এক আলোচনা সভায় অর্ন্তবর্তী সরকারের কাছে এসব দাবি তুলে ধরেছেনে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। ছোট–বড় প্রায় সব খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যৌথভাবে এ আয়োজন করেছে ঢাকা চেম্বার, সমকাল ও চ্যানেল– ২৪ । ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ সভা পরিচালনা করেন। ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার...
    অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের এবারের জাতীয় বাজেটটি যাতে ব্যবসা এবং বিনিয়োগের জন্য সহায়ক হয়। করকাঠামোযাতে সেভাবেই সাজানো হয়। সাধারণত, যারা নিয়মিত কর দেন তাদের ওপরই  বারবার করের বোঝা চাপানো হয়। অন্তত আগামী বাজেটে যেন এ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসে সরকার। যৌক্তিক করহার নির্ধারণ এবং হয়রানিমুক্ত করসেবা নিশ্চিত করা গেলে ব্যবসা–বিনিয়োগের সঙ্গে রাজস্বও বাড়বে। আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে আজ রোববার এক আলোচনা সভায় অর্ন্তবর্তী সরকারের কাছে এসব দাবি তুলে ধরেছেনে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। ছোট–বড় প্রায় সব খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যৌথভাবে এ আয়োজন করেছে ঢাকা চেম্বার, সমকাল ও চ্যানেল– ২৪ । ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ সভা পরিচালনা করেন। ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার...
    যুক্তরাষ্ট্রের কারণে এখন আন্তর্জাতিক রাজনীতির এক আলোচিত শব্দ হয়ে উঠেছে ‘শুল্ক’। হোয়াইট হাউস একের পর এক ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে। সব আমদানি করা স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক, চীনা পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আর সারা বিশ্বের বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর পাল্টা শুল্ক বসানোর হুমকি। এই সিদ্ধান্তগুলো আন্তর্জাতিক মহলে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। প্রায় সব দেশই এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। কেউ কেউ পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু এ নীতির পেছনে যুক্তরাষ্ট্র আসলে কী চায়, তা নিয়ে সবাই দ্বিধায়। আরও অবাক করার বিষয় হলো, এই কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রেরই সবচেয়ে কাছের দুই প্রতিবেশী—কানাডা ও মেক্সিকো। তাদের ওপরও ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে, তা–ও কোনো ছাড় ব্যতিরেকেই। প্রশ্ন ওঠে, দীর্ঘদিনের প্রতিবেশী সহযোগিতার সম্পর্ক গেল কোথায় এবং রাজনীতিবিদেরা যেভাবে...
    এক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন। তাঁর চাপিয়ে দেওয়া শুল্কনীতি বিশ্ববাজারে তোলপাড় সৃষ্টি করলেও তিনি ছিলেন নির্বিকার। শেয়ারবাজার রক্তাক্ত হলেও বলেছেন, সমস্যা হলে ওষুধ দিতে হয়। সেই ওষুধ দেওয়া হয়েছে। ওষুধ কাজ শুরু করেছে।শুল্ক নিয়ে সমঝোতা করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্টরা ফোন করেছেন। সেটিও তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন তিনি। বলা বাহুল্য, তিনি সেটাই চাচ্ছিলেন। সেই সঙ্গে বাজারের অমোঘ বাস্তবতার কারণেও তিনি আপাতত ৯০ দিনের জন্য শুল্ক বাস্তবায়ন স্থগিত করলেন বলে নিউইয়র্ক টাইমসের সংবাদে বলা হয়েছে। এ ঘোষণার পর অবশ্য বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরেছে।বিশেষ করে সরকারি বন্ডের সুদের হার হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় আর্থিক ব্যবস্থায় অস্থিরতা শুরু হয়। অনিশ্চয়তার মধ্যে সাধারণত বন্ডের সুদহার বেড়ে যায়। মার্কিন বন্ডের সুদহার গতকাল ৪ দশমিক ৫ শতাংশে উঠে যায়।...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ফিরে এসে আবারও তাঁর পুরোনো অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন—ট্যারিফ বা শুল্কের বেড়া। ২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে তিনি ‘জাতীয় অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছেন। নতুন শুল্ক আরোপ করেছেন আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইনের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের সব বাণিজ্য অংশীদারের ওপর।৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব দেশের ওপর ১০ শতাংশ ‘বেজলাইন’ শুল্ক বসানো হয়েছে। তবে যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য–ঘাটতি বেশি, তাদের ওপর বাড়তি শুল্কও রয়েছে। চীনের জন্য সেটা গিয়ে ঠেকেছে ৩৪ শতাংশে, জাপানের ২৪, দক্ষিণ কোরিয়ার ২৫ আর তাইওয়ানের জন্য ৩২ শতাংশ।ট্রাম্প যেটা ভাবছেন সেটা হলো, এই শুল্ক দিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প ও কর্মসংস্থানের স্বার্থ রক্ষা করবেন, বাণিজ্যে ‘অন্যায্যতা’ দূর করবেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তাঁর এই একতরফা কৌশল হয়তো উল্টো ফল দেবে। বিশেষ...
    প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভোটাধিকার প্রয়োগের পদ্ধতি নির্ধারণে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কর্মশালা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) এ কর্মশালা শুরু হয়। কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) শিক্ষক এবং সরকারি-বেসরকারি-উন্নয়ন সহযোগীদের মতামত নেওয়া হচ্ছে।প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল, অনলাইন ও প্রক্সি ভোটিং—এই তিনটি বিকল্প পদ্ধতি প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করে ইসি। বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা শেষে ইসি একটি পদ্ধতি চালু করার কথা বলছে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে ইসি প্রক্সি ভোটিংকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।আজ সকালে এ কর্মশালা উদ্বোধনের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এই ওয়ার্কশপ থেকে একটি বা কোন কোন দেশে পাইলট প্রোগ্রাম করা যায়, সেই পরামর্শ আপনারা দিন। প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে...
    ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার দেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ নামে রাষ্ট্রের সংস্কার অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের সিংহভাগ মানুষ সংস্কারের পক্ষে। দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দেশের পুলিশ, প্রশাসন, আইন, বিচার, আর্থিক খাত, নির্বাচন, গণমাধ্যম প্রভৃতি ক্ষেত্র সংস্কারের উদ্দেশ্যে কমিশন গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ কমিশন তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এগুলোর ওপর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেই কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে সব রাজনৈতিক দল ও সমাজের নানা পেশার মানুষের মতামত নিয়ে একটি জুলাই-আগস্ট চার্টার্ড তৈরি করা; পরবর্তীকালে রাজনৈতিক সরকার এর পূর্ণ বাস্তবায়ন করবে এবং মেনে চলবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশীজনের কাছ থেকে কখনও প্রকাশ্যে আবার...
    মার্কিন প্রেসিডেন্টের পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন পর্যন্ত যা হয়েছে, তা মূলত আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ—এটাই বাস্তবতা। গত শনিবার বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডায় দীর্ঘ একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে আমরা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করেছি, কী করতে হবে বা কী করা দরকার। আমরা আশা করেছিলাম, শনিবার রাতেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে চিঠি দেওয়া হবে, কিন্তু শেষমেশ তা হয়নি। অনেকেই আবার অনেক রকম কথা বলছেন। এখন পর্যন্ত এই হচ্ছে পরিস্থিতি।এ মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি কাজ হচ্ছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ট্রাম্প প্রশাসনকে চিঠি পাঠানো—যেসব বিষয় আমরা চিহ্নিত করেছি বা বিভিন্ন পক্ষ যেসব কথা বলেছে, তার আলোকে সেই চিঠি পাঠানো দরকার। সবচেয়ে ভালো হতো যদি প্রধান উপদেষ্টা ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি...
    বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরের সময়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। ১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগের ভেতর থেকে একদল তরুণ রাজনীতিবিদের নেতৃত্বে গঠিত এই দল মূলধারার রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি হতাশ হয়ে বিকল্প রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়তে চেয়েছিল। তারা মনে করত, আওয়ামী লীগ প্রকৃত সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে; বরং তারা সরকার চালানোর পুরোনো পদ্ধতি চালু করেছে।বাংলাদেশ: সামরিক শাসনের কালো অধ্যায়, জাসদের উত্থান ও পতন, রাষ্ট্র বনাম রাজনীতি—এই বইগুলো অনুসারে মহিউদ্দিন আহমদের বক্তব্য হচ্ছে, স্বাধীনতার পরের সময়টি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের একদিকে সম্ভাবনাময়, অন্যদিকে অত্যন্ত জটিল ও অস্থির একটি অধ্যায়। তিনি দেখিয়েছেন, কীভাবে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী তরুণ প্রজন্ম সমাজতান্ত্রিক পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে পথে নেমেছিল, কিন্তু তাদের কৌশলগত ভুল এবং বাস্তবতা বিচারের ঘাটতির কারণে সেই স্বপ্ন অনেকাংশেই ভেঙে পড়ে।প্রায় ৫০ বছর পর, বাংলাদেশ আবারও...
    ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ (আমেরিকাকে আবার মহান করো) নীতিগুলো কি উল্টো ফল দেবে? মানে, ট্রাম্প কি আসলে তাঁর নিজের দেশের বদলে এশিয়াকে—বিশেষ করে পূর্ব এশিয়াকে—আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী করে তুলছেন? বর্তমানে যা দেখা যাচ্ছে, তাতে পরিস্থিতি তেমনই দেখাচ্ছে। কারণ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক ও বাণিজ্যনীতি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোকে দূরে ঠেলতে গিয়ে মিত্রদেরও সরিয়ে দিচ্ছে। আর এই নীতিগুলোর ফলে পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপ পরস্পরের কাছাকাছি আসার সুযোগ পাচ্ছে। একটা সম্ভাব্য জোটের কথা এখন অনেকেই বলছেন। এর নাম সিপিটিপিপি। এই কাঠামো গড়ে উঠলে তা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও সক্রিয় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলগুলোর একটি হয়ে উঠতে পারে। আর তেমন হলে আমেরিকার একঘরে হয়ে পড়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।ট্রাম্পের শুল্কনীতি যদি চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চোখে অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক মনে হয়, তাহলে...
    তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, এখনও হাসিনা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছেন। ভারত খুবই আনফরচুনেটলি হাসিনা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে আশ্রয় দিচ্ছে। আমরা শুনতে পেয়েছি- লাখের কাছাকাছি ‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী’ ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মানবাধিকার সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ এর কার্যালয়ে ‘গুম ও খুনের’ শিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও মিলনমেলায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মাহফুজ আলম বলেন, এখানে আওয়ামী লীগ শুধু বাংলাদেশের জনগণের শত্রু। এ ভিন্ন এদের কোনো পরিচয় নেই। এটা কোনো রাজনৈতিক দল না, এটা একটা মাফিয়া গোষ্ঠী ছিল। এর প্রধান ছিলেন শেখ হাসিনা। যিনি বাবা হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার নামে দেশের জনগণের ওপর ভারতের সহযোগিতায় এ অত্যাচার নিপীড়ন চাপিয়ে দিয়েছিলেন। তথ্য উপদেষ্টা বলেন, কোনোদিন আর আওয়ামী লীগকে এ দেশে রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে...
    ‘দেহায় মুরগি, খাওয়ায় ডাইল’—কথাটি প্রচলিত ছিল আশির দশকের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। তরুণ বয়সে পরিবারের বাইরে আবাসিক হলের জীবনে কিছুটা হাস্যরস ছিল এ ধরনের উচ্চারণে।আজকের বাস্তবতা আরও ভিন্ন, মিথ্যার উর্বর বিশ্বে দেখছি ঘটনা ঘটছে এক, চেষ্টা হচ্ছে আরেক গল্প বলার। বাংলাদেশেও তা-ই।মানুষ ব্যস্ত রোজা আর ঈদ নিয়ে। রটানো হচ্ছে যে উত্তাল পরিস্থিতিতে দেশ। বাস্তবে ক্ষমতায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আর ভার্চ্যুয়াল ওয়ার্ল্ডে শিগগির ‘প্রত্যাবর্তন’ করছেন পতিত শেখ হাসিনা! এই বুঝি ঘটে যাচ্ছে প্রতিবিপ্লব!মনে হয় কিছু লোক ধরে নিয়েছে, ‘সেই সত্য যা রচিবে তুমি, যা ঘটে তা সব সত্য নয়’। যেন গোয়েবলসের পুনরুত্থান হচ্ছে এখানে–সেখানে মিনিটে মিনিটে। সত্য যেন মিশে আছে মিথ্যায়, হায়!এই তো কয়েক দিন আগেই মাগুরার শিশুটির ধর্ষণ ও মৃত্যু নির্বাক করে দিয়েছিল সারা জাতিকে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করা...
    মুন্সীগঞ্জে বিসিক কেমিকাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের আগে কাজের পরমর্শক নিয়োগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পে ভেরিয়েশন প্রস্তাবসহ তিন ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ। এই তিন প্রস্তাবে ব্যয় হবে ২২৯ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৪৩৪ টাকা। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের আওতায় কনসালটেন্সি সার্ভিসেস ফর ডিজাইন, সুপারভিশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কাজের পরামর্শক সেবা ক্রয়ের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ৭টি প্রতিষ্ঠানের কাছে রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল ইস্যু করা হলে ৭টি প্রতিষ্ঠানই প্রস্তাব দাখিল...
    শহুরে জীবনের সঙ্গে অভ্যস্ত এই আমরাই মাঝেমধে৵ হাঁপিয়ে উঠি নাগরিক যান্ত্রিকতায়। দূষণ থেকে মুক্ত বাতাসে বুক ভরে শ্বাস নিতে চাইলে আমাদের ছুটে যেতে হয় শহরের বাইরে। আমাদের এই ব্যস্ত ও কোলাহলপূর্ণ নাগরিক জীবনে ঋতু পরিবর্তনের অপরূপ সৌন্দর্য, নির্মল প্রাকৃতিক হাওয়া আর নির্জনতা যেন কল্পকথায় পরিণত হয়েছে। আর এখন তো ঢাকায় বসে ষড়্ঋতু কখন শুরু হচ্ছে, কখন শেষ—বোঝাটাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। আবার আমাদের তুমুল ব্যস্ততার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আধুনিক নানা প্রযুক্তি। জীবন ও যোগাযোগকে সহজ করতে ব্যবহার করা মুঠোফোনের স্ক্রিনে আমরা আটকে থাকছি ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এ সময়ে এসে নিজের ফোন থেকে দূরে থাকার কথা আমরা যেন একমুহূর্তের জন্যও ভাবতে পারি না। হাত থেকে ফোন রাখার কিছুক্ষণ পরেই আমাদের মনে হতে থাকে, যেন খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমাদের চোখের আড়ালে চলে যাচ্ছে!...
    বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির জগতে শ্রদ্ধা ও সমীহের সাথে উচ্চারিত একটি নাম সনজীদা খাতুন। রবীন্দ্রনাথের জন্মের সার্ধশত বছরে শান্তিনিকেতন থেকে সর্বোচ্চ স্বীকৃতির জন্যে বাংলাদেশে তিনিই যোগ্যজন। সাধনা ও সংগ্রামের মিশ্রণে এ এক অনন্য জীবন। প্রায় আশি ছুঁই ছুঁই বয়সেও পথচলার সুদীর্ঘ এই ধারায় কখনও ছেদ পড়েনি, বরং উত্তরোত্তর নতুন নতুন দায় কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি।সাহিত্য ও সংগীত সনজীদাআপার মূল দুই সঞ্জীবনী, সেই সূত্রে রবীন্দ্রনাথ প্রেরণার প্রধান উৎস, পথ চলার সহায় ও সঙ্গী।রবীন্দ্রনাথ তাঁর বিচিত্র সৃষ্টির পাশাপাশি ভাবনা ও কর্মে বাঙালিকে গ্রাম্যতার গণ্ডি কাটিয়ে নাগরিক বিশ্বপরিসরে উত্তরণের পথ দেখিয়েছেন। কবির মূল এই অভিপ্রায়ের সাথে আমাদের কৃষি-নির্ভর রক্ষণশীল সমাজের পরিচয়সাধন এবং অভীষ্ট লক্ষ্যে তার উত্তরণের পথে অচলায়তন অন্তরে-বাহিরে, এবং তা দুস্তর ও বিস্তর। রবীন্দ্র-ভাবশিষ্যা সনজীদা খাতুন আজীবন সেই বাধাসংকুল দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে চলেছেন।...
    প্রধানত কৃষি-নির্ভর গ্রামীণ জনপদের বিপন্ন জনগোষ্ঠির কল্যাণে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাংলাদেশের রয়েছে সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও অনুসরণীয় সাফল্য। তবে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে হতে যাচ্ছে। এই নতুন আর্থসামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তাই সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমকে ঢেলে সাজানো দরকার। সোমবার উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ‌‌‘সামাজিক সুরক্ষায় সংস্কার প্রসঙ্গ’ শিরোনামে প্রাক-বাজেট ওয়েবিনারে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন আলোচকরা।  ওয়েবিনারের ধারণাপত্র উপস্থাপনায় উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাদভী বলেন, জাতীয় বাজেটের ১৭ শতাংশের বেশি সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ দেয়ার কথা বলা হলেও এই বরাদ্দের এক-তৃতীয়াংশ চলে যাচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবসর ভাতা দেয়ায় এবং সঞ্চয়পত্রের সুদ বাবদ। প্রকৃতপক্ষে দরিদ্র ও বিপন্ন নাগরিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার বরাদ্দের মাত্র ১৫ শতাংশ বিনিয়োজিত হচ্ছে বলে...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির মুখপাত্র সালাহ উদ্দিন আহমদ সংস্কার বাস্তবায়নের পথ হিসেবে গণপরিষদের নির্বাচন ও গণভোটের অনুপযুক্ততার আলাপ তুললেন। যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, গণপরিষদ ব্যবহৃত হয় কেবল নতুন সংবিধান তৈরির সময়। তাই বাংলাদেশের জন্য সেটা অনুপযুক্ত। আর বর্তমান সংবিধানে যেহেতু নির্দিষ্ট করা আছে গণভোট কোন কোন ধারার ক্ষেত্রে হতে পারবে, তাই সংবিধানের অন্যান্য ধারা পরিবর্তনের এখতিয়ার গণভোটের নেই।সংবিধান তৈরির ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, সংবিধানের বড় কোনো পরিবর্তনের জন্য গণপরিষদের নির্বাচন একটি প্রচলিত পদ্ধতি। সাধারণত একটি দেশ যখন কোনো একনায়কমুক্ত হয় অথবা গৃহযুদ্ধের অবসান হয়, তখন সেই নয়া রাজনৈতিক সম্ভাবনাকে জনবান্ধব ও বিধিবদ্ধ করার জন্য গণপরিষদের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।সংবিধান সংস্কারে গণপরিষদ ব্যবহারের অনেক উদাহরণ আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্যাসিস্ট মুসোলিনির ছাপ মুছে ফেলতে ১৯৪৬ সালে ইতালির গণপরিষদ নির্বাচিত হয়েছিল, যা ১৮৪৮...
    ৪৬তম বিসিএসের আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা ৮ মে থেকে শুরু হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার সময়সূচি, হলভিত্তিক আসনব্যবস্থা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা যথাসময়ে পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। আজ সোমবার পিএসসি এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে।গত কয়েকদিন ধরেই ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পরীক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল পিএসসি চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেমের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি এ সময় বলেন, পরীক্ষার্থীদের বিষয়টি যেমন তিনি দেখার চেষ্টা করবেন তেমনি পরীক্ষার্থীদেরও বাস্তবতা দেখতে হবে। কেননা সামনে এসএসসি পরীক্ষা এরপর এইচএসসি পরীক্ষা। বিসিএসের লিখিত পরীক্ষাতে কেন্দ্র পাওয়ার একটি বিষয় আছে। আবার প্রশ্ন ছাপানোর বিষয় আছে। চাইলে প্রশ্ন ছাপিয়েও রাখা যাবে না দীর্ঘদিন। এসব বাস্তবতা রেখে পিএসসিকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ...